Header Ads

কঙ্গনাকে ঘিরে 'পাওয়ার গেম'--কোণঠাসা উদ্ধবরা !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়

পিতৃপক্ষের শুরুর দিক থেকেই বলিউডে দুই অভিনেত্রীকে ঘিরে ক্রমাগত আলোচনা শুরু হয়েছে। একদিকে, সুশান্ত মামলায় রিয়া চক্রবর্তী অন্যদিকে, এই সুশান্ত মামলার হাত ধরেই কঙ্গনা রানাওয়াতও বিতর্কের মধ্যে উঠে আসেন। একদিকে , রিয়া যখন গ্রেফতার হলেন, তখন অন্যদিকে, মুম্বইয়ের বুকে ভেঙে দেওয়া হল কঙ্গনার অফিস। উল্লেখ্য, সুশান্ত মামলা ঘিরেই কঙ্গনার সঙ্গে শিবসেনার চরম সংঘাত শুরু হয়। সেই সংঘাতের হাত ধরেই মারাঠা রাজনীতির ময়দানে ফের ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামলেন 'স্ট্রং ম্যান' শরদ পাওয়ার।

মারাঠা স্ট্রং ম্যান শরদ পাওয়ার কঙ্গনা পর্ব নিয়ে অত্যন্ত বিরক্ত। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, 'আমি জানিনা সেখানে (কঙ্গনার অফিসে) কোনও অবৈধতা ছিল কি না..।' এরপরই তিনি জানান, মুম্বই পুরসভা যেভাবে কঙ্গনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি করার অবকাশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, পুরসভার নিজের নীতি রয়েছে, আর তা মেনেই অফিসারদের কাজ করা উচিত।

মহারাষ্ট্রের ইতিহাসে সম্ভবতঃ এমন পরিস্থিতি আগে দেখা যায়নি, যে একজন বলিউড অভিনেত্রীর সঙ্গে সংঘাত ঘিরে তাবড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা বৈঠকে বসছেন ! কঙ্গনা ইস্যুর হাত ধরে সেই ছবি দেখা গেল মারাঠা রাজনীতিতে। সেখানে কঙ্গনাকে ঘিরে বৈঠকে বসেন উদ্ধব ঠাকরে, শরদ পাওয়ার ও সঞ্জয় রাউতরা। সেখানেই রাজনীতির পাঠ উদ্ধবকে কার্যত পড়িয়ে দিয়েছেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। মহারাষ্ট্রের পোড় খাওয়া এই রাজনীতিবিদ বুঝিয়ে দিয়েছেন, এই ইস্যুতে তিনি কতটা বিরক্ত। শিবসেনার পদক্ষেপে জোট সরকারের শরিক কংগ্রেসও অত্যন্ত অস্বস্তিতে।
এনসিপির শরদ পাওয়ারের মতো কংগ্রেসও কঙ্গনা ইস্যুতে শিবসেনার পদক্ষেপ নিয়ে ক্ষুব্ধ। কংগ্রেসের দাবি, অযথা কঙ্গনাকে প্রচারের আলোয় এনেছে মুম্বই পুরসভার পদক্ষেপ। এদিকে, কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় নিরুপমের দাবি, 'সরকারের চেয়ারে বসে এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিতই হয়নি।’
এদিকে, কঙ্গনা ইস্যুতে ইতিমধ্যেই গা ঝাড়তে শুরু করেছেন শিবসেনার সঞ্জয় রাউত। তিনি বলেন, যা ঘটে গিয়েছে তা পুরনো। তাঁর সমস্যা শুধু কঙ্গনার ‘মিনি পাকিস্তান’ মন্তব্য নিয়ে ছিল। এদিকে, শিবসেনার একাধিক শরিকদলের নেতা ক্রমাগত কঙ্গনা ইস্য়ুতে উদ্ধব শিবিরকে কোণঠাসা করতে শুরু করে দিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.