Header Ads

করোনা মহামারির সময় আক্রান্ত অসম বাসীর পাশে থাকুন সরে যাবেন না মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই আহ্বান জানান আকসা সভাপতি দত্ত রায়

 


শিলচলঃ করোনা মহামারির সময় আক্রান্ত অসম বাসীর পাশে থাকুন সরে যাবেন না  মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই আহ্বান জানান আকসা সভাপতি প্রদীপ দত্ত রায় এক বিবৃতিতে বলেন, আসাম সরকার করোনার কাছে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে । এবং সরকার করোনার কাছে হার মেনেছে । সরকার বলছে আমাদের আর কিছু করণীয় নেই । জনতাকে করোনা নিয়েই চলতে হবে । সরকার আর পারছেনা । তাই জনসাধারণ যদি সতর্ক না হন নিয়মনীতি না মেনে চলেন তাহলে আর সরকারের কিছু করার নেই ।এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় গোটা ভারতবর্ষের মধ্যে এই প্রথম অসম রাজ্য করোনার কাছে হার মেনে নিয়েছে । ভারতবর্ষের অন্য অন্য রাজ্যে করোনার সঙ্গে লড়াই করছে এবং সঙ্গে সফলতা পাচ্ছে । বিশেষ করে কেরল, দিল্লি , মধ্যপ্রদেশ এসব রাজ্যে করোনার সংখ্যা কমতে শুরু হয়েছে। কিন্তু আসামে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন । স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা করোনা কে পরাস্ত করবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন । অনেক বড় বড় প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন । আজকের তিনি নিজেকে অক্ষম এবং ব্যর্থ বলে স্বীকার করে নিয়েছে । করোনা নিয়ে আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলাম করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার কত কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার কত কোটি টাকা খরচ করেছে তার একটা হিসাব জনসাধারণের কাছে তুলে ধরা হোক । কেননা রাজ্য সরকার এখন বলছে করোনা রোগীদের কোন খরচ  সরকার দিতে পারবে না । হাসপাতালে যদি রোগীকে যেতে হয় তাহলে অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া রোগীকে বহন করতে হবে । কোন খাবার দেওয়ার দেওয়া হবে না ।বর্তমান পরিস্থিতিতে বরাক উপত্যকায় প্রতিদিন দুশ থেকে আড়াইশো মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন এবং সারা আসামে সেটা ৩ হাজার হচ্ছে । এমনকি গুয়াহাটি শহরে ৫০০ করে রোজ আক্রান্ত হচ্ছেন । এই ক্ষেত্রে সরকার পিছিয়ে যাওয়া এবং সরকারের আত্মসমর্পণ করার অর্থ হচ্ছে সরকারের ব্যর্থতা । এই সরকার করোনা মোকাবিলায় যে ব্যর্থ হয়েছে তার অনেক উদাহরণ আছে । স্বাস্থ্যমন্ত্রী বরাক উপত্যকায় এসে বলে গিয়েছিলেন শিলচর ডি এস এতে ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট কভিড সেন্টার খোলা হবে । ৩০০ শয্যা একটি করোনা হাসপাতাল হবে । তার কিছুই হয়নি । এই ভাঁওতা এবং মিথ্যা প্রতিশ্রুতি মন্ত্রীরা কেন যে দেন এটা বুঝা যায় না । এমনকি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী পীযূষ হাজারিকার বলেছিলেন করিমগঞ্জে ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল করা হবে । তারও কিছু হয়নি ।দুদিন পরপর এসে ওরা কি বলে যায় কোন কি নির্দেশ দিয়ে যায় তাও কেউ কিছু বলতে পারে না । সরকারের এই ব্যর্থতার সুযোগে বেসরকারি নাসিংহোম গুলো করোনা হাসপাতাল করতে শুরু করে দিয়েছে । ইতিমধ্যে শিলচরের দুটি নার্সিংহোম ঘোষণা করে দিয়েছে তাদের হাসপাতালে করোনা রোগের চিকিৎসা হবে । এভাবে প্রতিটা নার্সিংহোম যদি করোনার চিকিৎসা করতে বাধ্য হয় তাহলে সাধারন রোগীরা কোথায় যাবে । ওইসব সাধারণ রোগীদের নিয়ে সরকার কোন চিন্তাই করছে না । তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমি আবেদন করছি স্বাস্থ্য দপ্তরটা উনি যেন নিজেই দেখেন । এভাবে যদি করোনা রোগীদের চিকিৎসার খরচ সরকার তুলে দেয়ে তাহলে প্রশ্ন আসবে কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার কি করছে করোনা মোকাবিলায় । সরকারের কাজ হলো শুধু প্রতিশ্রুতি দেওয়া । এই কিছুদিন আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দিসপুর ঘোষণা করেছেন বরাকে তিনটা মহিলা কলেজ হবে । এইগুলো ভাওতা ছাড়া আর কিছু নয় ।করিমগঞ্জের মেডিকেল কলেজের কি হলো আগে সেটার জবাব দিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী । আসামের দুটো পেপার মিলে পাঁচগ্রাম এবং জাগীরোড সেগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার শেষ মুহূর্তে আসাম সরকার এক মাসের সময় চেয়েছে । এই মিল দুটো কে রক্ষা করতে পারছে না বর্তমান সরকার । আমরা লক্ষ্য করছি বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ।নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিদেশ থেকে সমস্ত কালো টাকা এনে দেশের প্রতি জন মানুষের ব্যাংকের একাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেবেন । সেটা তো কিছুই হলো না ।পেপার মিল চালু হবে বলেও ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী তারও কিছু হল না । এই সরকার টা হচ্ছে কেবলমাত্র প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সরকার । হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বরাক উপত্যকায় এসে বলেছিলেন তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণি সমস্ত চাকরি স্থানীয় ছেলেমেয়েদের দেওয়া হবে । তার কি হল । স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিজের দপ্তরে অর্থাৎ স্বাস্থ্য বিভাগে ৪০০ জন নিযুক্ত হয়েছে কিন্তু বরাক উপত্যকার একজন ও চাকরি পায়নি । কৃষি বিভাগে ১১১ জনকে নিযুক্তি দেওয়া হয়েছে বরাক উপত্যকায় কেউ নেই । এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগে যেসব নিযুক্তি হচ্ছে তা ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় থেকে দেওয়া হচ্ছে । ওদের তিনি নিযুক্তি দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বরাক উপত্যকায় । এটা বরাক উপত্যকার মানুষ আর কতদিন সহ্য করবে । এই অবস্থার মধ্যে দিয়ে যদি চলতে থাকে তাহলে বরাক উপত্যকার মানুষ ভিন্ন চিন্তা করতে বাধ্য হবেন । আমি হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কে একজন প্রতিশ্রুতি দেওয়া মন্ত্রী হিসেবে আখ্যায়িত করছি ।তিনি শুধু প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন বাস্তবে কিছু রূপায়ণ করতে পারেন না ।এইযে বরাক উপত্যকায় ৩টি মহিলা কলেজের কথা বলেছেন তাও বাস্তবায়িত হবে না ।স্বাস্থ্যমন্ত্রী আসলে কিছুই করতে পারেননি শুধু জনসাধারণকে ভাওতা দিয়ে যাচ্ছেন । এর জবাব জনগণ আগামী নির্বাচনে অবশ্যই দেবেন । আমি মুখ্যমন্ত্রী কে অনুরোধ করছি এই করণা মহামারীর সময় জনগণের পাশ থেকে সরে যাবেন না মানুষের পাশে থাকুন ।

(এই লেখাটি লেখকের সম্পূর্ণ নিজস্ব মতামত। এর জন্য সম্পাদক কোনো ভাবেই দায়ী নয়)

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.