বিরল প্রজাতির প্রাণী হত্যা করে ভুরিভোজ বিহাড়ায়ঃ চিন্তিত পরিবেশ প্রেমীরা
নয়াঠাহর প্রতিবেদন, শিলচরঃ কেন্দ্র সরকার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য
বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও আসাম সরকারের বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের গৃহ
জেলাতেই অস্তিত্ব সংকটের মুখে বন্যপ্রাণীরা। বুধবার কাছাড় জেলার কাটিগড়া
বিধানসভা কেন্দ্রের বিহাড়ায় ঘটল একটি বিরল প্রজাতির প্রাণী হত্যা কাণ্ড। ঐদিন রাত
আনুমানিক আটটা নাগদ বিহাড়া ২য় খণ্ড এলাকায় একটি বিরল প্রজাতির প্রাণীকে হত্যা করে
পরে সেটির মাংস দিয়ে ভুরিভােজ করল আদিবাসীরা। জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী বড়াইল অভয়ারণ্য থেকে প্রাণীটি
খাবারের সন্ধানে নেমে এসেছিল সমতলে। সন্ধ্যার সময় আদিবাসীরা এটিকে দেখতে পায়।
তারা বনবিভাগকে কোনও খবর না দিয়েই সেটিকে মেরে ফেলে। পরে রাতের বেলা এই বিরল
প্রজাতির প্রাণীটির মাংস দিয়ে ভুরিভােজ করে তারা।
ব্যাপারটি এলাকার পরিবেশপ্রেমীদের ভাবিয়ে তুলেছে। কারন এভাবে বিরল প্রজাতির
প্রাণী ধ্বংস হলে জৈব বৈচিত্রে ব্যাপক আঘাত আসতে পারে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ
করেছেন। তথ্য অনুযায়ী, এই প্রাণীটি
হচ্ছে ইন্ডিয়ান সিভেট, যাকে বাঙালিরা
ভাম বিড়াল বলে জানে। দেখতে অনেকটা বিড়ালের মত তবে বিড়াল থেকে আকারে অনেক বড়।
উল্লেখ্য, বাঘও কিন্তু
বিড়াল শ্রেণীর প্রাণী। এরা সাধারণত রাত্রিবেলা খাদ্য সন্ধানে বেরােয়। বৈজ্ঞানিক
নাম Viverra civetta। এদের দেহে সুগন্ধি গ্ল্যান্ড থাকে। এদিকে
করিমগঞ্জ জেলা বন বিভাগের কাছে এসম্পর্কে কোনাে খবর নেই। প্রথমে এঘটনা সম্পর্কে
কিছু জানে না বলে বনবিভাগের পক্ষ থেকে জানানাে হয়। ঘটনা নিয়ে বনবিভাগের পক্ষ
থেকে অনুসন্ধান চলছে। তবে দুদিন গড়িয়ে গেলেও রহস্যজনকভাবে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীটির
কোন হত্যাকারীকে পাকড়াও করতে পারেনি বন বিভাগ। শুক্রবার কালাইন বন বিভাগের
রেঞ্জার পিঙ্কু সিনহাকে এনিয়ে মোবাইলে জিজ্ঞেস করলে, তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বর্তমানে তিনি গুয়াহাটিতে রয়েছেন। কর্মস্থলে
ফিরে এসে তদন্তক্রমে দোষীদের আটক করে বিহিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
কোন মন্তব্য নেই