কোভিড টেষ্ট না হওয়ায় হাফলঙে হয়নি পাঠদান! ব্যতিক্রম লাংডিঙে
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, হাফলং : রাজ্যের অন্যত্র ছয় মাসের মাথায় আজ থেকে নবম,দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্ৰেণীর পাঠদান শুরু হলেও এতে কিন্তু ব্যতিক্ৰম ডিমা হাসাও।
কোভিড প্রটোকল বলছে কোভিড টেস্ট না
করা হলে কোনও শিক্ষকের স্কুলের শ্রেণী কোঠায় প্রবেশ করতে পারবেন না। কিন্তু ডিমা
হাসাও জেলার অধিকাংশ শিক্ষকদের কোভিড পরীক্ষা শেষ হয়নি। আর তাই পাঠদান সম্ভব
হয়নি। এদিকে হাফলঙে আজ থেকে সবে তাঁদের
কোভিড পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তাই জেলার স্কুলগুলি খুলতে আরও অন্তত এক সপ্তাহ সময়
লাগতে পারে।
সোমবার হাফলং গভৰ্মেন্ট গাৰ্লস এইচ এস স্কুলে স্বাস্থ্য বিভাগ রেপিড টেষ্ট ও
আরটি-পিসিআর পরীক্ষা শুরু করেছে। প্রথম দিনে ওই স্কুলের ৩৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার
মধ্যে একজন শিক্ষকের রেপিড টেস্টে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। অবশ্য ওই শিক্ষকের
স্ত্রী ছাড়া একমাত্র সন্তানও কোভিড পজিটিভ। তাদেরকে হাফলং কোভিড কেয়ার সেন্টারে
ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে আজ হাফলং গভৰ্মেন্ট গার্লস এইচ এস স্কুলে হাফলঙের আরও চারটি
শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠানের শিক্ষক ও অশিক্ষক কৰ্মচারীদের কোভিড টেষ্ট করা হয়। স্কুলগুলি
ক্রমে দিবারাই হাইস্কুল, লংমাং হাইস্কুল,
জি সি লাংথাসা হাইস্কুল ও
ডায়েট, কালাচান্দ।
জেলার অন্যান্য জায়গায় আগামী কাল থেকে শিক্ষকদের কোভিড টেস্ট শুরু হবে।
হাফলং গভৰ্মেন্ট গাৰ্লস স্কুলের ভারপ্ৰাপ্ত অধ্যক্ষ সমীর মজুমদার জানান,
প্ৰট'কল অনুসারে ক'ভিড টেষ্ট না হলে শিক্ষকরা পাঠদান করাতে পারবেন
না। তিনি এবার টেষ্টের রিপোর্ট আসার পর ৫০ শতাংশ শিক্ষককে দিয়ে আমরা পাঠদান আরম্ভ
করব।
এদিকে লাংটিং হাইস্কুলে আজ থেকে যথারীতি পাঠদান আরম্ভ হয়েছে। বিদ্যালয়
প্রধান অসীম কুমার দেব জানান যে তাঁদের কোভিড টেষ্ট আগেই হয়েছে এবং সব শিক্ষক তথা
অশিক্ষক কর্মচারীদের রিপোর্ট নিগেটিভ আসে। তবে আজ নবম শ্রেণীর মাত্র সাতজন ছাত্র
ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। অবশ্য দীর্ঘ ছয়মাসের মাথায় পাঠদান আরম্ভ হওয়ায় সন্তোষ
ব্যক্ত করেন বিদ্যালয় প্রধান দেব।
কোন মন্তব্য নেই