এআইইউডিএফ কংগ্রেস দল মিলন যেন সোনায় সোহাগা, মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ : আমিনুল হক লস্কর
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি :
বিধানসভার উপাধ্যক্ষ
আমিনুল হক লস্কর শুক্রবার এআইইউডিএফ এবং কংগ্রেস দলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি
আজ বরাকে বলেন, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা যে ভবিষ্যৎবাণী করেন তাই ফলে যায়। তিনি বলেছেন,
এবার বিজেপি ১০০ জনকে নিয়ে বিধানসভাতে যাবে। কংগ্রেস দলকে
দুর্নীতিবাজ এবং এআইইউডিএফকে সাম্প্রদায়িক দল বলে অভিমত পোষণ করে বলেন, দুটি দল মুদ্রার
এপিঠ ওপিঠ। দুটি দলে মিলন সোনার সোহাগা। আগামী কংগ্রেস উজান থেকে মুছে যাবে। বর্তমান ২৪ থেকে ২০তে নামবে এআইইউডিএফের
১৩ থেকে বেড়ে ১৫টি হতে পারে। তিন বারের
মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ গোহারাভাবে হারবেন। অজন্তা নেওগ
হারবেন, রুপজ্যোতি কুর্মি
হারবেন, দুর্গা ভুমিজ সব হারবেন। হু ইজ বদরুদ্দীন বলে ঠাট্টা করা তরুণ গগৈ নিজেই
জিততে পারবেন না। সোনাইয়ের বিজেপি বিধায়ক বলেন, কংগ্রেস দলের
বিরোধিতা করে এআইইউডিএফের জন্ম হয়েছিলো। আজ সেই কংগ্রেস দলের সঙ্গে অশুভ সমঝোতা করে বদরুদ্দিন
আজমলরা দিসপুর মসনদ জয়ের স্বপ্ন দেখছেন। তা সফল হবে না। দুটি দলকে নির্লজ্জ দল বলে
মন্তব্য করে আমিনুল বলেন, দল দুটির লজ্জা নেই। ২০২১ সালে বিজেপি
আবার ১০০টি আসনে জিতে সরকার গড়বে। তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। রাজ্যে ভোটের
দামামা বেজে গেছে। কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বরা আজ অভিযোগ করেন, বিজেপি সভাপতি রঞ্জিত
দাসের সঙ্গে কংগ্রেস হাই কমান্ডের সঙ্গে গোপন সম্পর্ক আছে। তিনি এলে কংগ্রেস সভাপতির পদ ছেড়ে দেবো। রিপুন বরা আজ
অখিল গগৈকে কংগ্রেস দলে যোগ দেবার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, তার জন্যে দরজা খোলা
আছে। এদিকে, কংগ্রেস বিধায়ক জাকির হোসেন শিকদারের সঙ্গে বিজেপি সভাপতি রঞ্জিত
দাশের বাকযুদ্ধ অব্যাহত। তিনি বিজেপি সভাপতির সঙ্গে কয়লা সিন্ডিকেটের
সম্পর্ক আছে অভিযোগ করে সভাপতি কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির
মামলা করেছেন। তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন শিকদার। তিনি বলেছেন, 100 কোটি টাকার মানহানির
মামলা করলেও জিততে পারবেন না। আসু এবং জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ যৌথভাবে
রাজনৈতিক দল গঠনের কাজ শুরু করেছে। অখিল গগৈ বলেছেন, সব দল মিলে এক প্রতীক, এক পতাকা। এক দল না করলে
বিজেপিকে হারানো যাবে না। সাংসদ অজিত ভূঞার আঞ্চলিক গণমঞ্চ এবং অরূপ বড় বরা ও জাহ্ন
বড়ুয়ার আঞ্চলিক সুরক্ষা মঞ্চ মাঠে নেমে গেছে।
কোন মন্তব্য নেই