Header Ads

কেন্দ্ৰ সরকারের কৃষক বিরোধী অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে দিল্লিতে প্ৰতিবাদে সরব ‘ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন’এর কর্মকর্তারা

নয়া ঠাহর ওয়েব ডেস্ক, ১৪ সেপ্টেম্বরঃ চলতি বছরের গত ৫ জুন কেন্দ্ৰ সরকার কৃষিক্ষেত্ৰে ৩ টি অধ্যাদেশ জারি করে। কৃষক বিরোধী এই অধ্যাদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে সোমবার সারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কৃষকরা প্ৰতিবাদে সরব হন। কৃষিক্ষেত্ৰে সংস্কারের লক্ষ্যে কেন্দ্ৰ সরকারের গড়ে তোলা ‘এক দেশ, এক বাজার’ অধ্যাদেশের বিরুদ্ধাচরণ করেছে কৃষকদের সংগঠন ‘ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন’ (বি কে ইউ)। 


ইউনিয়নের জাতীয় মুখপাত্ৰ রাকেশ টিকায়েতের নেতৃত্বে এদিন কৃষকদের বিভিন্ন স্থানের সংগঠনের সদস্যরা দিল্লির যন্তর মন্তরে তাঁদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে প্ৰতিবাদে সরব হয়েছেন। 

মূলত তিনটি বিষয়ের দাবিতে কৃষকরা সরব হন। প্রথমত,  কৃষকদের (ক্ষমতায়ন ও সুরক্ষা) মূল্য আশ্বাস এবং খামার পরিষেবা অধ্যাদেশ, ২০২০ সংক্ৰান্ত চুক্তি। দ্বিতীয়ত, কৃষকদের বাণিজ্য ও বাণিজ্য উত্পাদন (প্রচার ও সুবিধার্থে) অধ্যাদেশ, ২০২০ এবং তৃতীয়ত, প্রয়োজনীয় পণ্য (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২০। তাদের আরও একটি দাবি হচ্ছে- সমস্ত ফসলের ন্যূনতম সহায়তা মূল্য (ফল এবং শাকসব্জী সহ) সুরক্ষার জন্য একটি আইন আনতে হবে। এমএসপি-র চেয়ে কম কেনা শস্যকে অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধের শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
এদিন প্ৰধানমন্ত্ৰীর উদ্দেশ্যে এক প্ৰেস বিবৃতিতে  ‘ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন’এর  জাতীয় মুখপাত্ৰ রাকেশে টিকায়েত ১৯৪৩-৪৪ সালে বাংলায় দুৰ্ভিক্ষের কথা উল্লেখ করে বলেন- সে সময় ব্ৰিটিশদের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাদের ভাঁড়ারে খাদ্য শস্য মজুত করে রাখার কারণে প্ৰায় ৪০ লক্ষ মানুষকে অনাহারে মৃত্যুমুখে পড়তে হয়েছে। তাদের বক্তব্য, ন্যূনতম সহায়তা মূল্য (এমএসপি) আইন কার্যকর করার মতো কৃষি সংস্কারগুলি মধ্যস্থতাকারী ও সংস্থাগুলি দ্বারা কৃষকদের অত্যধিক শোষণ বন্ধ হতে পারে এবং এই পদক্ষেপে কৃষকদের আয়ও বাড়বে।

প্ৰসঙ্গত, দেশের ফেডারেল পরিকাঠামো লঙ্ঘন হওয়ার আশঙ্কায় বিভিন্ন রাজ্য থেকে সরকারের জারি করা ‘এক দেশ, এক বাজার’ এই অধ্যাদেশ তুলে নেওয়ার দাবিও উঠেছে। কৃষকদের ধারনা, এই অধ্যাদেশ আইনে পরিণত হলে তাদের কোম্পানির অধীনে বন্দী হয়ে থাকতে হবে।   

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.