হাফলঙে ডিমা হাসাও জেলা কংগ্রেসের প্রতিবাদী ধর্না
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, হাফলং: পঞ্চায়েত রাজ আইন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দীর্ঘ এক বছর ধরে কংগ্রেস দলের তরফে ধর্না আন্দোলন চলছে। কিন্তু এতে পাত্তা দিতে নারাজ শাসক বিজেপি। এদিকে সংসদে কৃষক সংশোধনী বিল পাস হয়ে যায়। আর এতে নড়েচড়ে বসে কংগ্রেস দল। আর তাই আজ হাফলং জেলা শাসক কার্যালয়ের সামনে সংশোধনী কৃষক বিলের বিরোধিতা ছাড়া পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে উত্তাল প্রতিবাদ সাব্যস্থ করে ডিমা হাসাও জেলা মহিলা এবং যুব কংগ্রেস নেতা কর্মীরা। হাতে হাতে প্লেকার্ড এবং কালো ব্যাজ পরিধান করে এদিন সকাল এগারোটা থেকে নেতা কর্মীরা প্রতিবাদ ধর্নায় সামিল হোন। বিশেষ করে শাসকীয় বিজেপি দলের জন বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। কংগ্রেসীদের অভিযোগ যে দেবোলাল গার্লোসা নেতৃত্বাধীন বিজেপি শাসিত পরিষদ ২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে স্বাক্ষর করেছেন। যা ষষ্ঠ অনুসূচির ডিমা হাসাও জেলা এবং স্বশাসিত পরিষদের জন্য কালো অধ্যায়। তাই আজ কালো দিবস পালন করা হয়। এছাড়া সম্প্রতি সংসদে কৃষক সংশোধনী আইন ২০২০ পাস করা হয়।কংগ্রেসীদের মতে এই আইন কৃষক বিরোধী। এতে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
ডিমা হাসাও জেলা মহিলা কংগ্রেস নেত্রী দীপালি হাপিলা বলেন বিজেপি শাসিত পরিষদের পঞ্চায়েত রাজ আইনের হাত ধরে পাহাড়ের জনগণের জন্য সর্বনাশ ডেকে আনছেন। এই ব্যবস্থার দ্বারা জেলার পরম্পরাগত স্বশাসিত পরিষদীদের সংবিধান প্রদত্ত অতিরিক্ত ক্ষমতা খর্ব করা হবে। যার কুফল ভোগ করতে হবে সাধারণ জনগণকে। এমনকি পঞ্চায়েত রাজ আইন সম্পূর্ণ ভাবে গৃহীত হলে স্বায়ত্ব শাসন থাকা না থাকা বরাবর হবে। কারণ ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের নামে ষষ্ঠ অনুসূচি তুলে দেওয়ার এক কুটিল ষড়যন্ত্র চলছে। হাপিলা বলেন অনুরূপ ভাবে কৃষক সংশোধনী আইন পাস করে কৃষকদের পথে বসাতে চাইছে মোদী সরকার। কারণ ইতিমধ্যে মোদী সরকার দেশের একের পর এক সম্পদ কেনাবেচায় মত্ত রয়েছেন। এবার কৃষকদের বেঁচতে প্রস্তুত। আর এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে কি হবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের?
এদিকে জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতি সজেশ থাওসেন বলেন ' ডিমা হাসাও পার্বত্য পরিষদ প্রধান বেশ কৌশলেই পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থাকে লাল কার্পেট বিছিয়ে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। তবে এই ব্যবস্থা পাহাড়ের জনগোষ্ঠীদের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়াবে সন্দেহ নেই। কারণ ভারতীয় সংবিধানের ষষ্ঠ অনুসূচির ২৪৩(এম) ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে যে ষষ্ঠ অনুসূচি এলাকায় পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থা কোনো ভাবেই কায়েম করা যাবে না। কিন্তু সব নীতি নির্দেশিকা তথা জনগণের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে চলছে পাহাড় বিরোধী কাম কাজ। তাই যুবনেতা সজেশ থাওসেন বিশেষ করে ডিমা হাসাও জেলার যুবসমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তাঁর মতে ষষ্ঠ অনুসূচি নাথাকলে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। এদিনের ধর্না কার্যসূচিতে অন্যান্য মহিলা তথা যুব কংগ্রেস নেতারাও বক্তব্য রাখেন। সবাই এক বাক্যে বিজেপি সরকারের কৃষক তথা ষষ্ঠ অনুসূচি বিরোধী নীতির তীব্র সমালোচনা করেন।।।
কোন মন্তব্য নেই