করোনা সংক্রমণ ভয়ঙ্কর, বিশ্বকর্মা পুজো, পবিত্র মহালয়ার দিন কলকাতা, গুয়াহাটি, শিলচর, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, বরাক নদী তীরে ভক্তপ্রাণ মানুষের ভিড়
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি
বিশ্বে আমেরিকার পরই ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে, ৮২ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা তিন লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা চার হাজারের বেশি। অসমের অবস্থা মোটেই সন্তোষজনক নয়। আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষ ছাড়াতে চলেছে। ৫০০-র বেশি মৃত্যু হয়েছে। অসমে ভয়নাক খবর ১৭ বছরের যুবক থেকে ৩০-৩২ বছরের যুবকরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আজ বলেন, মানুষ কোভিড প্রটোকল মানছে না, হোম আই সোলেশনে থাকার ফলে ঘরে নিয়ম নীতি মানছে না। অক্সিজেনের মাত্রা, শরীরের তাপমাত্রা মাপছে না। শেষ অবস্থায় হাসপাতালে আসছে বলে আর রুগীকে বাঁচানো যাচ্ছে না। তিনি বলেন, মানুষ নিজেই হাসপাতাল না এসে হোম আইসোলেশন থাকার জন্যে গো ধরছে, তার কিছু করার নেই। তিনি আজ বিশ্বকর্মা পূজা এবং পবিত্র মহালয়া তিথিতে হাজার হাজার মানুষের ঢল দেখে উদ্বিগ্ন। অধিকাংশ মাস্ক পড়েনি সামাজিক দূরত্ব বিধি ৬ ফুট মেনে চলেনি। গুয়াহাটি পাণ্ডু-মালিগাঁও কাছারি ব্রহ্মপুত্র ঘাটে, কলকাতার গঙ্গা তীরে, বরাকের পারে হাজার হাজার মানুষ পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে নদীর জলে ঘেঁষাঘেষি করে দাঁড়িয়ে তর্পণ করেন। কলকাতা, গুয়াহাটি, শিলচর, করিমগঞ্জ শহরে বিশ্বকর্মা পুজোর ভিড়। অধিকাংশরাই ছোট করেও পূজা করেছে। সবচেয়ে বড় সমাবেশ ছিল বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী কুশিয়ারা নদীতে নৌকা প্রতিযোগিতা। সেখানে নদীর দুই পারে হাজার বিশেক মানুষ ভিড় জমিয়েছিল। কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ্য দে পুরকায়স্থকে মাস্ক না পড়ে লাউডস্পিকার নিয়ে অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে দেখা গেল। রাজ্যে কোভিড সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ঝুঁকি না নিলেও অসম সরকার আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিদ্যালয় শুরুর প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। সপ্তাহে তিনদিন করে ক্লাস হবে। তবে তা বাধ্যবাধকতা মূলক নয়। অভিভাবকদের আপত্তি নেই তা লিখিতভাবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। তবেই ক্লাস করার অনুমতি মিলবে।
কোন মন্তব্য নেই