Header Ads

রাধাকৃষ্ণণের দর্শনের কিছু কথা

আশুতোষ দাস

 দ্রুত পৃথিবী বদলে যাচ্ছে, প্রকৌশলী জগতের ডালা পালায়  বাড়বাড়ন্ত,বাহ্যিক ব্যস্ততার ফাঁকে অন্তরের অন্তশার শূন্যতায় মানুষকে আরও বেশি করে দিয়েছে একাকীত্ব। ইটারনেট্ প্রযুক্তির বহু বিস্তারে মানুষকে তার পূর্বাপর যাপিত জীবন থেকে সরে নিয়ে আসছে, ভোগবাদী জগৎ এর বৃত্তে। তবুও তার ভেতর মূল সত্য জেগে রয়েছে এখন ও  চিরন্তনী প্রদীপের সলতের  মতো। তাই জ্ঞানের প্রদীপ কখনও নিভতে পারেনা। নিয়ত উদ্ভাস আলোয় মানুষকে ঘুম ভাঙানিয়া ভোরের গান শোনাতে জানাতে  সঞ্জীবীত। দোতারা বাউলের গান যেন তাদের হৃদয়ে গানের সঙ্গে অনর্গল বাজে। সেই গানের পংক্তি আার কেউ নয়। মানুষের  চৈতন্যে জেগে ওঠার বোধ। এই বোধের আহ্বানের কথাকলি মানুষ শুনতে ও জানতে চায়। এই জানার আকাঙ্ক্ষাই মানুষকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। এই জানার কৌতুহলের ঝুটি ধরে যে এগিয়ে যাওয়ার গতি ই প্রগতি। আর প্রগতির সিঁড়ি ভেঙে উঠে যাওয়াই শিক্ষা।


 আমাদের চেতনার প্রত্যুষ থেকেই নিজেকে প্রতিনিয়ত যোগ্য হয়ে ওঠার লড়াই চলে। সময় জীবনের সঙ্গে গাঁটসাট বাঁধানো থাকে। এই থাকার অবস্থানে পরিচালিত ও মার্জিত রূপে ক্রমে ক্রমে শুভকামনা, ভাবনার ধ্যান ধ্যারনা যাপনকে আরও  ভিন্নতর অর্থে বলতে পারি সুশিক্ষা।
এই শিক্ষার দার্শনিক ব্যাখাও ভারতীয় সংস্কৃতি পরম্পরাকে বাস্তবিক রূপ দিতে এগিয়ে এসেছিলেন, তিনি আর কেউ নন জ্ঞান  যোগী সর্বপল্লী রাধাকৃষণ। অন্য মনিষীদের সঙ্গে সাযুজ্য থাকলেও কোন কোন ক্ষেত্রে পৃথক দৃষ্টিকোণ ছিল। সেখানেই তিনি একক ব্যক্তিত্বের অধিকারী।" আমার  সত্য সন্ধান "My scratch for Truth) গ্রন্থে বারবার  বলেছেন, জীবন কে পবিত্র করো, তোমার কর্মে,মননে,সৃজনে।
রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল রাধাকৃষ্ণণের, তাঁরা একে অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন,তাই  রবীন্দ্রনাথের এই গানের ভেতর রাধাকৃষ্ণণের সমগ্র দর্শন যেন প্রোথিত রয়েছে।

  অন্তর মম বিকশিত করো অন্তর তর হে/নির্মল করো উজ্জ্বল করো,সুন্দর করো হবে।।/জাগ্রত করো উদ্যত করো নির্ভয় করো হে/
যুক্ত করোহে সবার সঙ্গে  মুক্ত করো হে বন্ধ /সঞ্চার করো সকল কর্মে  শান্ত তোমার ছন্দ /চরণপদ্মে মম চিত নিস্পন্দত করো হে/ নন্দিত করো নন্দিত করো নন্দিত করো হে/

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.