Header Ads

করোনায় সম্মুখযোদ্ধা কেউ মারা গেলে পরিবারের সদস্যের চাকরি !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 
 

করোনাভাইরাসে ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার বা সম্মুখযোদ্ধা কেউ মারা গেলে তাদের পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেয়ার ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, সরকারি কর্মীদের মধ্যে যারা ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার সেসব স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীদের জন্য এ সিদ্ধান্ত। এসব কর্মীর করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে বা স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে গেলে পরিবারের একজনকে চাকরি দেবে সরকার।
নির্দেশিকায় রাজ্যের অর্থ দফতর জানিয়েছে, যেসব সরকারি কর্মী কোভিড ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করছেন তাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
 
রাজ্য সরকারের ঘোষণা মতো যারা এই সুবিধা পাবেন তারা হলেন-- চিকিৎসক, নার্স, প্যারামেডিক্যালসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা, আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, সাফাইকর্মী, সিভিক পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার।
মৃতের স্বামী-স্ত্রী, পুত্র-কন্যা-আইনগতভাবে দত্তক নেয়া সন্তান-অবিবাহিত মেয়ে-বিবাহিত মেয়ে (যদি বিয়ের আগে বাবা বা মা মারা যান)-ভাই বা বোন যদি বাবা-মা ও ভাইবোনরা সম্পূর্ণভাবে মৃত কর্মীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকেন।
সাদা কাগজে আবেদন করতে হবে। দিতে হবে বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতার সব নথি। সঙ্গে মৃত কর্মীর ডেথ সার্টিফিকেট কিংবা শারীরিক প্রতিবন্ধকতার সার্টিফিকেট। পরিবারের অন্যান্য
সদস্যদের ঘোষণা করতে হবে ওই নিয়োগে তাদের কোনো আপত্তি নেই।
পশ্চিমবঙ্গে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২,০০২। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন
আরও ২,৯৩১ জন। ফলে মোট সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,০৪,৩২৬।
রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও স্বস্তি জোগাচ্ছে সুস্থতার হার। বুধবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গে করোনা থেকে সুস্থতার হার ৭২.৯৬ শতাংশ।
রাজ্য সরকারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট আক্রান্ত এক লাখ চার হাজার ৩২৬ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭৬ হাজার ১২০ করোনা রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টাতেই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২,৭২৫ জন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.