Header Ads

সোনাই-কাজিডহর এলাকা থেকে অপহৃত শিশুসন্তানের মৃতদেহ উদ্ধার


সানি রায়, পাঁচগ্ৰাম : হায়দরাবাদ পুলিশের এনকাউন্টারকে নকল করে বরাকে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া শিশু অপহরণের এহেন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধেও এনকাউন্টারের দাবি তুললেন উপত্যকার একাংশ জনতা।  জানা যায়, সোনাই কাজিডহর এলাকা থেকে দুদিন আগে অপহৃত হওয়া শিশুসন্তানের মৃতদেহ উদ্ধার হয় আজ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায়। বিজেপি শাসনকালের শুরুতে যদিও অপহরণ, খুন সহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ঘটনায় কিছুটা যবনিকা পড়েছে, তবে রাজ্যসরকারের কার্যকাল শেষের আগেই ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সমাজবিরোধী কার্যকলাপ। প্রশ্ন উঠছে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও।  এদিকে উক্ত কাণ্ডে জড়িত ৩ অপরাধীকেও গ্ৰেফতার করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। ধৃতরা হল, দেওয়ান বাগানের রাজীব চাষা, লক্ষীপুর বিন্নাকান্দির মণিদ্বীপ রায় এবং সোনাই মতিনগরের বাউরি পদবীর একজন ব্যক্তি। এদের মধ্যে রাজীব চাষা হল পেশাধারী শিশু অপহরণের মূল নায়ক। তাছাড়া এই অপহরণ কাণ্ডের আগে আরও দুটি অপহরণ কাণ্ডেও রাজীব জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। রাজীবের পুলিশকে দেওয়া বয়ান অনুযায়ী পাঁচ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পাঁচ মাসের এই  শিশু সন্তানটিকে তারা অপহরণ করে বলে জানায়। এবং সেইসঙ্গে শিশু সন্তানটিকে অপহরণ করার পর তার হাত থেকে পড়ে গিয়ে শিশুসন্তানটি মারা যায় এবং পরে তারা মৃত শিশুটিকে মাটির তলায় পুঁতে রাখে  বলে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করে সোনাই পুলিশ বলেও জানা গেছে।  পরবর্তীতে ধৃতদের কাছ থেকে এই ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ আদায় করে সোনাই পুলিশ তাদেরকে নিয়ে সোনাই সমষ্টির টেংগারপার নামক একটি স্থানে মাটির তলা থেকে পুঁতে রাখা মৃতদেহটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এদিকে শিশু  অপহরণ তথা হত্যার প্রতিবাদে অসম মিজোরাম রাষ্ট্রীয় সড়ক অবরোধ করে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বাজার এলাকায় এবং সেইসঙ্গে শিশু হত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়ে গোটা এলাকা মুখরিত করে তোলেন স্থানীয় জনগণ। পরিশেষে ঘটনাস্থলে বিশাল নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় পুলিশ প্রশাসন।  এই খবরটি লেখা পর্যন্ত সোনাই পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে সূত্রে মতে জানা গেছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.