Header Ads

২০২১-এর লক্ষ্যে প্রশান্ত কিশোরের স্ট্র্যাটেজি 'ফাঁস'! পাল্টা চালে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়

তৃণমূলে সৎ এবং স্বচ্ছ নেতার বড়ই অভাব। অন্তত প্রশান্ত কিশোরের টিমের পর্যবেক্ষণে তাই ফুটে উঠেছে। প্রথমে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়কের এক অভিযোগ সামনে আসার পর এবার জঙ্গলমহলের বিজেপি নেতাদের একই অভিযোগ। ফোন করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি।

প্রথমে খোঁজখবর করে নির্দিষ্ট জেলার কোনও বিরোধী নেতা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তারপর তাঁকে ফোন করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে নির্দিষ্ট পদপ্রাপ্তির প্রতিশ্রুতি। বিরোধী শিবির এইভাবে ভাঙতে প্রশান্ত কিশোর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেই সূত্রের খবর। এক এবং একমাত্র উদ্দেশ্য বিরোধী শিবির থেকে সৎ ও স্বচ্ছ্ব ভাবমূর্তির নেতানেত্রীদের তৃণমূলে নিয়ে আসা।
উত্তরবঙ্গের মতো দক্ষিণবঙ্গেও একাধিক ভাষা জানা ভিনরাজ্যের যুবককে এই কাজে ব্যবহার করছে প্রশান্ত কিশোরের টিম। দু থেকে তিন জন যুবক যারা হিন্দি ও ইংরেজিতে সাবলীল এবং ভাঙা বাংলা বলতে পারেন তাঁরাই এই কাজে নেমেছেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রশান্ত কিশোরের টিম কংগ্রেস, বাম, বিজেপি সব শিবিরের সৎ ও স্বচ্ছ্ব ভাবমূর্তির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তবে এর মধ্যে বিজেপির শিবির ভাঙার সম্ভাবনাই বেশি বলেই মনে করছে তারা। যেসব জায়গায় বিজেপির বাড়বাড়ন্ত সেসব এলাকাকে প্রথমে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জঙ্গলমহলও।
যদিও প্রশান্ত কিশোরের স্ট্র্যাটেজি আগেভাগেই ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিজেপিও সুবিধাজনক অবস্থায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা বিজেপি সভাপতির দাবি, তৃণমূল দল ভাঙানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হবে। কোনও সুবিধাই তারা করতে পারবে না। কেননা ইতিমধ্যেই বিজেপির একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হয়েছে তারা।
প্রশান্ত কিশোরের টিমের কার্যকলাপ প্রথম প্রকাশ্যে আনেন উত্তরবঙ্গের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক লক্ষীকান্ত রায়। তাঁকে করা হয়েছিল ফোন। এরপর তাঁর বাড়িতে গিয়ে পদের প্রস্তাব। প্রথমে বলা হয়েছিল আপনি সৎ, তৃণমূলে যোগ দিন। প্রৌঢ় মানুষটির বয়ান অনুযায়ী, তাঁকে বলা হয়েছিল প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা থেকে বলছি। কিন্তু এরপরেই বেরিয়ে পড়ে আসল চিত্রটা। বলা হয়, টাকা পয়সার অভাব হবে না। বড় পদও পাবেন। তবুও তাঁকে দরকার, কেননা তিনি সৎ !
শুধু তৃণমূল-বিরোধী শিবির থেকেই নয়, সোশ্যাল মিডিয়াতে যাদের রাজনীতি সচেতনতা যথেষ্ট নজর কাড়ে এবং বেশ জনপ্রিয় তাদেরও ফোন করে তৃণমূলের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে নানান প্রতিশ্রুতি সহ। কেন না, সামাজিক মাধ্যমে দলের পক্ষে হাওয়া তোলার মতো মেধাসম্পন্ন পোস্ট দেওয়ার মতো লোকজনের সংখ্যা খুবই কম--এদিক থেকে বিজেপি তুলনামূলকভাবে বেশ খানিকটা এগিয়ে আছে--এই বিষয়টাকে মাথায় রেখেই সামাজিক মাধ্যমে বিশেষ সক্রিয় মেধার অনুসন্ধান করে তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.