Header Ads

বরাকে এবার করোনা সিন্ডিকেট, অভিযোগ প্রদীপ দত্তরায়ের


শিলচর : বরাক উপত্যকা সিন্ডিকেটের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। কয়লা , সুপারি , বালু-পাথর ,কাঠ এসবের পর এবার নতুন করে সংযোজন হয়েছে  করোনা সিন্ডিকেট । এই করোনা সিন্ডিকেটের নামে কোটি কোটি টাকার খেলা চলছে । প্রতিজন করোনা রোগীর জন্য দেড় লক্ষ টাকা করে মঞ্জুর হয় । অথচ একজনের পিছনে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয় না । রোগীদের যে ধরনের খাবার দেওয়া হচ্ছে বা থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে তা অত্যন্ত নিম্নমানের । বাথরুম গুলো এতই অপরিচ্ছন্ন যেখানে রোগীকে যাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে । এতে রোগীরা আরও অসুস্থ হচ্ছে ।বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে এত প্রতিবাদ হচ্ছে  তারপরও কোন কিছুর পরিবর্তন হচ্ছে না ।
করোনা সিন্ডিকেট চলছে একটি বিশাল চক্রের মাধ্যমে । এই করোনা সিন্ডিকেটে কিছু আমলা , চিকিৎসক , ঠিকাদার জড়িত । শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপাধ্যক্ষ ডাঃ ভাস্কর গুপ্ত হাসপাতালে সুপার ডাঃ অভিজিৎ স্বামী অত্যন্ত সহজ সরল মানুষ । তাদের সততা এবং সরলতার সুযোগ নিয়ে ওইসব ঠিকাদার আমলা এবং একাংশ চিকিৎসক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা চালাচ্ছে । এদের বিরুদ্ধে অতিসত্বর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে তাহলে গোটা স্বাস্থ্য বিভাগ পঙ্গু হয়ে যাবে । করণা রোগীদের যে কষ্ট হচ্ছে তা উপলব্ধি করেই সরকার এখন বলছে বাড়িতে করোনা রোগীরা থাকতে পারবেন । শিলচর মেডিকেল কলেজের আইসিউর সংখ্যা অত্যন্ত সীমিত এছাড়া পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই চিকিৎসার জন্য। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা শিলচরে এসে বলে গিয়েছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে ১ হাজার বেডের কোভিড কেয়ার সেন্টার করা হবে । সেনাবাহিনীর সহায়তায় এই কেয়ার সেন্টার করা হবে । এছাড়া শিলচরে ৩০০ শয্যার একটি কোভিদ হাসপাতাল করা হবে । যার জন্য জায়গায় দেখে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী । পরবর্তীতে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী পীযূষ হাজারিকার এসে বলেছিলেন করিমগঞ্জে ১০০০ শয্যার আরো একটি কোভিদ কেয়ার সেন্টার হবে । কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি । আমি শুনেছি আগামী ১৪ অগাস্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বা শর্মা শিলচর আসছেন । তার কাছে আমার প্রশ্ন শিলচর ডিএসএতে হাজার শয্যার কোভিড কেয়ার সেন্টার এবং ৩০০ শয্যা কোভিড হাসপাতাল কবে হবে । তার জবাব যেন দিয়ে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ।সঠিক জবাব দিতে না পারেন তাহলে আমরা ধরে নেব তিনি যা প্রতিশ্রুতি দেন তা বাস্তবে পরিণত করতে পারেন না । বর্তমানে মেডিকেল কলেজের  অবস্থা ভয়ংকর ।৫০ বছরের পুরনো সেই মেডিকেল কলেজ পাঁচগ্রাম পেপার মিল এবং সুগার মিলের মত ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর । তাই সবাই এগিয়ে আসুন যেকোনোভাবে মেডিকেল কলেজ কে বাঁচাতে হবে । শিলচরের সা়ংসদ একজন নিজে চিকিৎসক । দীর্ঘদিন ধরে মেডিকেল কলেজের একজন কার্ডিওলজিস্ট একজন নিউরোলজিস্ট নেই । কিন্তু ডাক্তার সাংসদ তার ব্যবস্থা করতে পারছেন না এর মত লজ্জাজনক আর কি হতে পারে ।

প্রদীপ দত্তরায়
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আকসা
আইনজীবী গৌহাটি হাইকোর্ট

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.