Header Ads

রেপিড টেস্টের নামে চরম অরাজকতা হাইলাকান্দিতে



সানি রায়, পাঁচগ্ৰাম : করোনা মহামারীকে প্রতিহত করতে রাত-দিন একাকার করে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কঠোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলেও একাংশ আমলাদের ভুল পরিচালনার ফলে তীব্র হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। সম্প্রতি রেপিড টেস্টের নামে চরম অরাজকতা চলছে জিলা হাইলাকান্দিতে। জানা যায়, গতকাল শহরাঞ্চলে এই রেপিড টেস্টকে কেন্দ্র করে এক বাকবিতণ্ডিত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। করোনা ভাইরাসকে প্রতিহত করতে জিলায় জিলায় বসানো হয়েছে স্কিনিং সেন্টার। তবে, জনগণকে হেনস্থা বা হয়রানি করতে নয় বরং উপসর্গ সহ যেকোন রোগীকে বা ব্যক্তিকে পরীক্ষা করে সুস্থ করে তোলার জন্যই এই ব্যবস্থা। উপসর্গ ছাড়া কোন ব্যাক্তিকে আটকিয়ে রেপিড টেস্টের নামে জোরেবলে হেনস্থা করাই  কি স্বাস্থ্যবিভাগের দায়িত্ব বা কর্তব্য ?  নিশ্চয়ই নয় ! এমনটাই অভিযোগ জানিয়ে শেষমেশ সোচ্চার হলেন শাসকদলের কর্মকর্তা সহ হাইলাকান্দি জিলা বিজেপির কিষাণ মোর্চার সাধারণ সম্পাদক বাসু দেব। বাসু দেব গতকাল নয়া ঠাহর প্রতিবেদককে জানান, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে তিনি হাইলাকান্দি থেকে কাটাখাল এক মন্দিরে যাওয়ার পথে ধলেশ্বরস্থিত করোনা স্কিনিং সেন্টারের এক কলিতা পদবীর কর্মী হিন্দু ধর্মীয় শাস্ত্রের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে বাসু দেবকে রেপিড টেস্ট করানোর জন্য জোরজবরদস্তি চালান। এবং প্রায় একঘন্টা ধরে জনৈক কলিতা পদবীর কর্মীর চাপে এক বাকবিতণ্ডিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে তাকে। বাসু্র কোন উপসর্গ নেই জেনেও কর্ণপাত করেনি দায়িত্বে থাকা কলিতা পদবীর কর্মীটি। উল্টো বাসুকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে এবং রেপিড টেস্ট করতেই হবে বলে জোর করে। তখন ক্ষুব্ধ হয়ে বাসু দেব জিলা সভাপতি স্বপন ভট্টাচার্য ও হাইলাকান্দি জিলার অতিরিক্ত জেলাশাসক, স্বাস্থ্যবিভাগ এবং আলগাপুরের চক্রাধিকারীক প্রদীপ গুপ্তকে বিষয়টি নিয়ে টেলিফোনে অবগত করান। তবে অন্যান্যদের থেকে তেমন সদুত্তর না পেলেও আলগাপুর চক্রাধিকারীকের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।  যদিও জল বেশি দূর গড়ায়নি তবে, বর্তমানে এই ধলেশ্বরস্থিত স্কিনিং সেন্টারে রেপিড টেস্টের নামে যে অরাজকতা চলছে তথা সাধারণ জনগণকে যে ব্যাপক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তার জলন্ত উদাহরণ গতকালের ঘটনায় বলে জানান বাসু দেব। তাছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের এই কর্মী প্রায়শই জনগণকে জোর করে কোভিড টেস্ট করানোর জন্য চেষ্টা চালান বলেও আরও অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। এনিয়ে শীঘ্রই তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সহ জিলা উপায়ুক্তের কাছে লিখিত আবেদন জানাবেন এবং বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকেও অবগত করবেন সেইসঙ্গে হাইলাকান্দি জিলায় করোনা প্রতিরোধের নামে বিজেপি সরকারের বদনাম করতে তৎপর থাকা একাংশ আধিকারিকদের 

বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং যাতে ভবিষ্যতে কোভিড টেস্টের নামে কোন উপসর্গহীন ব্যক্তিদের কোনরকম জোর খাটিয়ে হেনস্থা বা হয়রানি না করা হয় এবং জনগণকে সচেতন করে ও তাদের মনোবল জুগিয়ে স্বেচ্ছায় পরীক্ষা করার জন্য আহ্বান জানাতে তিনি অনুরোধ জানাবেন  এবং হাইলাকান্দি প্রশাসনের ব্যর্থতায় যাতে এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানান কিষাণ মোর্চার জেলা সম্পাদক বাসু দেব।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.