Header Ads

আগামী বিধানসভা ভোটে নিয়ন্ত্রক শক্তি হতে চলেছে 'দামাল বাংলা'


মানিক ফকির

সাথীগণিত শাস্ত্র বলছে দুই আর দুইয়ের যোগফল চার। আপাত চোখে তাকে অন্য কিছু মনে হলেও চোখের ঘোর কাটলে আবার যোগফল চার সংখ্যাটাই প্রকাশ পায় । ঠিক এভাবেই চিরন্তন সত্য হচ্ছে ইতিহাসের চাকা সামনের দিকে এগিয়ে যায়। যারা তার গতি রোধ করতে চায় বা পিছনের দিকে ঠেলে নিয়ে যেতে চায়, তারা আসলে মূর্খ, বোকা,অবাস্তব কল্পনাবিলাসী। আজকাল আগামী বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে নানা রকম অঙ্ক তুলে ধরছেন অনেকে। গতকাল আমাদের বন্ধু 'নো এন আর সি মুভমেন্ট' এর অন্যতম সদস্য জনৈক ব্যক্তি  একটি অদ্ভুত হিসাব তুলে ধরেছিলেন তার ফেসবুক ওয়ালে। যেহেতু সে বামফ্রন্ট তথা সিপিএম এর সমর্থক, তাই আগামী 21এর নির্বাচনে সিপিএম
তথা বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস এর জোটের ফল সম্পর্কে যথেষ্ট আশাবাদী । এ প্রসঙ্গে আমি আমার নিজস্ব একটা অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরতে চাইছি। ঘটনাটার সময় কাল 2010। অর্থাৎ  সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলন চলাকালীন কোনো একটা দিনের ঘটনা । কমরেড সৈফুদ্দিন চৌধুরী আমাকে প্রশ্ন করলেন, বলুন তো এবারের বিধানসভা ভোটের রেজাল্ট কী হতে পারে? আমি চটজলদি উত্তর দিলাম -------বামফ্রন্ট ঝড়ে উড়ে যাবে। সফিদা বললেন, এইখানটাতেই তো আপনাদের মুশকিল, আপনারা অনেক কিছু জানেন শুধু নির্বাচন প্রক্রিয়াটা বাদে। এই বলে কমরেড সৈফুদ্দিন চৌধুরী আমাকে কয়েকটি বিধানসভা লোকসভা  নির্বাচনের হিসেব তুলে প্রমাণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করলেন, এবারেও বামফ্রন্টই আসছে। আমি বললাম,না দাদা আমি সত্যিই রাজনীতিটা বুঝি না। রাজনীতিও বুঝিনা আবার নির্বাচন গ্যাঁরাকলও বুঝি না। আমি বুঝি ' চায়ের দোকানের আড্ডা ',আমি বুঝি 'অটোতে যাতায়াত,' আমি বুঝি ভিড়ে ঠাসা ' ট্রেন-বাস এর নিত্যযাত্রী,আমি বুঝি কলকাতার 'কফি হাউস। আর তাতেই আমি বুঝতে পেরেছি, 2011 এর বিধান সভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট উড়ে  যাবে। আর ফল সেটাই হোলো আমরা দেখলাম। সেটা ভালো হোলো কি মন্দ হোলো এ বিচার অন্য একদিন হতে পারে। তবে সে সময় একটা কথা প্রায়শই শোনা যেতো, ভালো-মন্দ যা হবার হোক, আগে শালা সিপিএমটাকে সরাই তো। তবে বামফ্রন্টকে সরাই বলার লোক খুব একটা বেশি ছিল বলে মনে হয় না। কারণ, মানুষ বামফ্রন্ট বলতে ম সিপিএমকেই বুঝতো। আর ওরাও ছলে  বলে কৌশলে ওটাই প্রমাণ করত সব সময় । মানে বামফ্রন্ট মানেই বুঝি সিপিএম । তবে হ্যাঁ,আজকের মতো সেবারেও একটা কথা শোনা যেতো----- এরপর কে?' মানেটা এমন যেন কাকে দেওয়া হবে রাজার পাট।
ঠিক এ ভাবেই আজকাল সোস্যাল মিডিয়া গোদি মিডিয়া এবং ব্যক্তিগত আলাপ চারিতায় উঠে আসছে আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে নিয়ে নানারকম হিসেব নিকেশ । আর তাতেই আমি অতি গুরুত্বপূর্ণ এই বিশেষ লেখাটা লিখতে বাধ্য হলাম। আমি একশ ভাগ সঠিক, এ বছর নির্বাচনে কোনো হিসাবই মিলবে না। এই নির্বাচনের ফলাফল নির্ভর করবে ' দামাল বাংলা' নামক সামাজিক সংগঠনটির ওপর। ' দামাল বাংলাই'-ই হয়ে উঠবে এই নির্বাচনের নির্ণায়ক শক্তি । কারণ, ওই যে বললাম গণিত শাস্ত্র অনুযায়ী দুই আর দুই -এ চারই হয়, অন্য কিছু নয়। সাথী জনৈক ব্যক্তিটি  যদি এনআরসি বিষয়টাতে গভীর ভাবে ঢুকতেন তাহলে তিনিও একই কথা বলতেন । তবে হ্যাঁ ' দামাল বাংলা'র কথা বলতেন কিনা তা জানিনা । তবে তিনি বলতে বাধ্য হতেন, এবারের নির্বাচনের মূল বিষয় ' নাগরিকত্ব আইন '। কারণ, আগে তো প্রমাণ হোক আমি বা আমরা এই ভারতের নাগরিক  বা নাগরিক নই। তারপর ঠিক হবে আমরা কাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছি বা কোন রাজনৈতিক দলকে সরকারে আনতে চাইছি । বলতে দ্বিধা নেই গত এক হাজার বছরের মধ্যে ভারতবর্ষে এমন ভয়াবহ দিন আসেনি। যেখানে দেশের 90% এবং বাংলার কমপক্ষে 6-7 কোটি মানুষ বে-নাগরিক বা ক্রীতদাস হতে চলেছে । তৃণমূল,সিপিএম, কংগ্রেস সমর্থিত, বিজেপি তথা এনডিএ সরকারের আনা আইন সিএএ 2003 রাজ্যের 6-7কোটি মানুষকে বে-নাগরিক করেছে আজ থেকে 17 বছর আগে। আর এখন সেই তথাকথিত বে-নাগরিকদের ধরে নেবার জন্য বা ক্রীতদাস বানানোর জন্য নানারকম কৌশল করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার নানা রকম অছিলায় । করোনার আতঙ্ক ছড়িয়ে তথাকথিত লকডাউন, এক দেশ এক রেশন কার্ড, ভোটার কার্ডে উল্লিখিত জন্ম তারিখকে মূল্যহীন করে দেওয়া,ভয়াবহ শ্রম আইন ,পরিবেশ আইন, সংরক্ষণ আইনে কুঠারাঘাত, ভয়ঙ্কর শিক্ষা নীতি, ইত্যাদি নানারকম কালাকানুন এনে আখেরে caa2003 কে প্রতিষ্ঠিত করে চলেছে কেন্দ্রের হিন্দুত্ববাদী সরকার। ভারতবর্ষকে হিন্দু রাষ্ট্র করার পূর্ব প্রতিশ্রুতিকে পূরণ করার জন্য। এমনকি করোনা আবহে ফিজিক্যাল ডিসটেন্সকে সোস্যাল ডিসটেন্স নামে অভিহিত করা, শ্রমিক বন্ধুদের পরিযায়ী শ্রমিক নামে দেগে দেওয়া ---------এ সব কিছুর অন্তরালে আছে ভয়াবহ এনআরসি । তাই এবারের ভোটের মূল ইস্যু এনআরসি । আরএনআরসি বিরোধী প্রতিটি সন্তান অর্থাৎ  বাঘের বাচ্চা দেশপ্রেমিক ছেলেদের ওপরই নির্ভর করবে এবারের ভোট। কারণ, হাজার  হাজার কোটি কোটি টাকা খরচ করে, বহু মানুষকে খুন করে, গ্রেফতার করে, দেশে একটা চরম নৈরাজ্যের পরিস্থিতি এনে উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন বলে ' ক্যা 19' নামে যে আইনটা আনলো দেশের সরকার, সেটা যে সম্পূর্ণ মিথ্যা ----তা আজ প্রমাণিত দেশবাসীর কাছে।
বলতে দ্বিধা নেই, ' ক্যা ' বা সিএএ 2019  এর মাধ্যমে কেন্দ্রের মনুবাদী- ব্রাহ্মণ্যবাদী- হিন্দুত্ববাদী- মিথ্যাবাদী সরকার প্রচলিত অর্থে ' হিন্দু 'দের ভাঁওতা ও মুসলমানদের আতঙ্ক গ্রস্ত করে হিন্দু-মুসলমানের বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে, যাতে হিন্দুরা কোনো রকম প্রশ্ন না করেই এনপিআর -এ অংশ নেয়। কারণ আইনত এনআরসিতে মুসলমানদের তেমন কোনো ভয় নেই। তারা ফাঁসবে ব্রাহ্মণ্যবাদী সরকারী অফিসারদের দ্বারা। নানা রকম কূট-কৌশল করে ব্রাহ্মণ্যবাদীরা মুসলিমদের বে-নাগরিক করবে। তা নাহলে ভারতবর্ষে বিজেপি তাদের অস্তিত্ব
টিকিয়ে রাখতে পারবে না।কারণ,  ভারতে তাদের উত্থান মুসলিম বিরোধিতার মাধ্যমেই। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আসল মুখ রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ বা আর এস এস এর গুরুজি গোলওয়ালকর তার বিখ্যাত  'উই ' নামক গ্রন্থে বার বার বলেছেন, জার্মানির শত্রু ইহুদিদের মতোই ভারতের প্রধান শত্রু মুসলমানরা। হিন্দু রাষ্ট্রে তাদের তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়ে থাকতে হবে। এমনকি ভারত সরকার যেদিন বলবে,সেদিনই তাদের চলে যেতে হবে। আর গুরুজির কথাকেই বেদবাক্য বলে মেনে চলে আরএসএস। শুধু তাই নয় ,1925 সালে আরএসএস প্রতিষ্ঠা লগ্নের পর থেকে  তাদের প্রতিটি  স্বরসঙ্ঘচালক  হেড গেওয়র,গোলওয়ালকর,দেওরস, মোহনভগবত প্রত্যেকের আকাঙ্ক্ষা একই ভারতে মুসলমানসহ দলিতদের তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করা। তা সেটি আইন মাফিক হোক বা না হোক । সুতরাং আমরা সহজেই যে চরম সত্যিটা অনুমান করতে পারছি সেটা হল, এখনই যদি আমরা রুখে দিতে না পারি তাহলে  ভয়ঙ্কর বিজেপি আমাদের ভয়াবহ বিপদের মুখে ফেলবে চিরকালের জন্য । সাম্রাজ্যবাদী পুঁজিপতিদের দালাল বিজেপি ও তার সামন্তবাদী দোসররা দেশে রাজতন্ত্র ফিরিয়ে এনে তথাকথিত হিন্দুরাষ্ট্রের নামে মনুসংহিতাকে লাগু করবে। যেখানে আইনি পথেই দেশের আশি-নব্বই কোটি মানুষ ' দাস'-এ পরিণত হবে। আর সে কাজটা করতে তাদের বাংলার রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করতেই হবে। তাতে যদি রাজ্যের সমস্ত ভোটারকে টাকা দিয়ে কিনতে হয়, ওরা কিনবে। কারণ, প্রশাসনিক ক্ষমতা না পেলে অতি সহজে তারা এ রাজ্যে এনপিআর করতে পারবে না। আর এনপিআর না করে তারা ' ক্যা ' এর রুল বার করতে পারবে না। কারণটা অতি সহজ। বিজেপির পাতা ফাঁদে পা গলিয়ে এখনো বহু তথাকথিত শিক্ষিত লোক বলছেন,'আরে বাবা আগে রুল বা বিধিটা বার করতে দেবেন তো '। অতি বড়ো শিক্ষিত মানুষেরাও অনেকে এখনো নাগরিকত্ব ঘোরে পাগল,তারা ভুলেই গেছে আইনের বাইরে কখনো রুল হতে পারে না। এমনিতেই  বিতর্কিত ' ক্যাব ' ' ক্য'-' রূপান্তরিত হয়ে গেছে আট মাস আগে। রুল বার করার লাস্ট ডেট ওভার । আবার সময় চেয়ে নিয়েছে। কী হবে জানি না। তবে আমাদের ধারণা সহজে বের করবে না। অথচ caa2003 আইনে রূপান্তরিত হবার আগেই প্রকাশ হয়ে গিয়েছিল সেই আইনের রুল। কিন্তু
এই ' ক্যা২০১৯-এর রুল বের করতে এত টালবাহানা কেন? যেটা নাকি আমলাদের পক্ষে এক দিনের কাজ।
এ সময়  যদি আমরা  দুচোখ খুলে দেখার চেষ্টা করি তাহলে দেখতে পাবো, যতো দিন অতিবাহিত হচ্ছে, তাতে সচেতন হয়ে যাচ্ছে  জনগণ।বিশেষত করে বাংলার জনগণ।অতি বড়ো বিজেপি ভক্তরাও মনে মনে ভাবতে শুরু করেছে, নাঃ কিছু একটা অঘটন ঘটতে চলেছে বুঝি দেশে। সোস্যাল মিডিয়াতে মাত্র কিছুদিন আগেও বিজেপি যে ভাবে লাগাতার মিথ্যা কথা বলে জনগণকে প্রভাবিত করতে পারতো , এখন তা অনেকটাই কেটে গেছে। আমি আশাবাদী তাই বিজেপির হাজার মুসলিম বিরোধিতা সত্বেও রাজ্যের বেশিরভাগ  জনগণ কিন্তু আজকের ঈদ উৎসবকে শ্রদ্ধার সঙ্গে মান্যতা দিয়েছেন । যেটা গত বছরেও আমরা উপলব্ধি করতে পারিনি তেমনভাবে । আসলে ' হিন্দুরাও মনে করতে শুরু করেছে নাগরিকত্ব আইনে শুধু মুসলমানরাই বলি হবে তা নয়, বরং হিন্দুরাই বেশি বিপদে পড়বে। সুতরাং এক অর্থে বাধ্য হয়েই হিন্দু মুসলিম আরো কাছাকাছি হয়ে উঠছে। যদিও বামফ্রন্ট -এর দীর্ঘ 34 বছর রাজত্বকালে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ শব্দটাই প্রায় মুছে গিয়েছিল বাঙালির জীবন থেকে। সে ক্ষেত্রে তৃণমূল বরং সাম্প্রদায়িক বৈরিতাকে অনেকাংশে প্রশ্রয় দিয়েছে জ্ঞানত বা অজ্ঞানতবশত।  বরং বহু  ক্ষেত্রে বিজেপির কড়া হিন্দুত্ববাদের প্রতিযোগী হিসেবে নরম হিন্দুত্ববাদকে প্রতিষ্ঠিত করেছে তারা হিন্দু ভোট ব্যাঙ্ককে পাকাপোক্ত করতে। এটা তৃণমূলের ক্ষমাহীন অপরাধ । কিন্তু আজকে আর এসব কিছু ভাববার অবকাশ নেই। এখন মানুষ বুঝতে পেরেছে, খুবই খারাপ ও ভয়ঙ্কর দিন আসতে চলেছে আমাদের প্রত্যেকের জীবনে। বিজেপির ভয়ঙ্কর ও কুৎসিৎ  চালে আটকে গিয়ে আমরা কত জন ভারতের নাগরিক হিসেবে বেঁচে থাকতে পারবো,তা এক সাংঘাতিক প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রত্যকের জীবনে। বিশেষত, দেশের প্রকৃত ভূমিপুত্র,অর্থাৎ  দলিত আদিবাসী মাইনরিটি মানুষদের জীবনে। অথচ এরাই দেশের ভাগ মানুষ। অর্থাৎ শতকরা পঁচাশি ভাগের বেশি মানুষ। যদি শুধু পশ্চিমবঙ্গের হিসেবটা দেখি, তাহলে দেখতে পাবো রাজ্যের মোট জনসংখ্যার মাত্র 2.8% অর্থাৎ রাজ্যে দশ কোটি জনগণের মধ্যে মাত্র আঠাশ  লাখ ব্রাহ্মণ। যাদের মধ্যে কমপক্ষে পাঁচ লাখ  প্রগতিশীল মানবতাবাদী । বিজেপি সরকার সুযোগ পেলে যাদের হিটলারের কায়দাতেই খতম করে দেবে। আর বাকি 23 লাখ সামন্ততান্ত্রিক ভাবনায় পুস্ট বামুন বা ব্রাহ্মণ। বিজেপির ভয়াবহ কর্মকাণ্ডে যারা যারপরনাই উল্লসিত। আর তারাই হচ্ছে বিজেপির মূল শক্তি। যদিও ব্রাহ্মণ্যবাদী -হিন্দুত্ববাদী-মনুবাদী হতে গেলে শুধু মাত্র ব্রাহ্মণ হতে হয় তা নয়। যে কোনো মানুষই তা হতে পারে, আমাদের আশেপাশে এমন উদাহরণ অসংখ্য । সুতরাং দলিত আদিবাসী মাইনরিটি মানুষদের কাছে বিজেপি যে একটা ভয়ঙ্কর ও কুৎসিত দানব তা অতি বড়ো বিজেপি ভক্ত তথাকথিত শিক্ষিত মানুষও স্বীকার করতে বাধ্য আজ। তাই গানিতিক নিয়মে এই পঁচাশি ভাগ মানুষ যদি একত্রিত হয়ে যেতে পারে তাহলেই বিজেপি তথা হিন্দুত্ববাদী-মনুবাদীদের সমস্ত জারিজুরি শেষ হয়ে যাবে অতি সহজে। এমনকি নিজেরা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হয়ে যাবেন এবং দেশের প্রকৃত ভূমিপুত্রদের নাগরিকত্বহীন করার সমস্ত কুভাবনা তাদের শেষ হয়ে যাবে চিরকালের জন্য । বরং তারাই দেশ ছেড়ে পালানোর পথ পাবেনা কিছুতেই। বরং তখন দেশের পঁচাশি ভাগ জনগনই বে-নাগরিক ঘোষণা করবে সামন্ততান্ত্রিক ভাবনায় পুষ্ট মনুবাদী ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দুত্ববাদী নরকের কিটগুলোকে । আর এই কাজটাই করে চলেছে ' দামাল বাংলা' বিরামহীন ভাবে  । আনন্দের খবর অতি অল্প দিনেই ' দামাল বাংলা ' সফল হতে পেরেছে এই বিষয়ে । মনে রাখা দরকার, দামাল  বাংলা কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দল নয়। কোনোদিনই তারা রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভের অভিলাষে পাগল হবে না। দামাল সচেতন করছে রাজ্যের অসংখ্য দলিত আদিবাসী মাইনরিটি মানুষকে। এ বিষয়ে তারা সফল আর । এই অসাধারণ জোটই রচনা করবে ভবিষ্যত বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাস । প্রয়োজনে ব্রাহ্মণ্যবাদীদের ভয়ঙ্কর থাবা থেকে বাংলা ভাষাভাষী সমস্ত মানুষকে বাঁচাতে তারা গণরাজ্য গঠন করার উৎসাহ দেবে রাজ্যবাসীকে। তাই ' DAMAL ' অর্থাৎ দলিত আদিবাসী মাইনরিটি আন্দোলন লীগই বাংলার ভবিষ্যত। আর আগামী 21 এর বিধানসভা নির্বাচনে তো বটেই।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.