Header Ads

শিলচর মেডিক্যাল কলেজের অষুধপত্র এবং খাদ‍্যসরবরাহ করা ঠিকাদাররা কে, সাহস থাকে তো তাদের নাম প্রকাশ করুক সরকার : প্রদীপ দত্ত রায়


শিলচর : শিলচর মেডিক্যাল কলেজের অষুধপত্র এবং খাদ‍্যসরবরাহ করা ঠিকাদাররা কে, সাহস থাকে তো তাদের নাম প্রকাশ করুক সরকার বলে এক বিবৃতিতে প্রদীপ দত্ত রায় বলেন, শিলচর মেডিকেল কলেজ এখন নরক গুলজার এ পরিণত হয়েছে । মেডিকেল কলেজের দুরাবস্থার কথা বলে লাভ নেই । মেডিকেল কলেজে কোন পরিকাঠামো নেই । ভেঙ্গে পড়ছে বিল্ডিং । কভিডের পথ্য অত্যন্ত নিম্নমানের । অপরিচ্ছন্ন বাথরুম ।করোনা আক্রান্ত রোগীরা মেডিকেল কলেজ থেকে যে অভিজ্ঞতা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন সেটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে । সম্প্রতি শিলচর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান নিহার নারায়ণ ঠাকুর করণা আক্রান্ত হয়ে শিলচর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন । তিনি যে দুর্দশার কথা বর্ণনা করেছেন তা শুনুন মানুষের চোখ কপালে উঠবে । একজন প্রাক্তন পুরপতির সঙ্গে যদি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ এ ধরনের পরিষেবা দেন তাহলে সাধারণ  মানুষের ক্ষেত্রে কি হচ্ছে সেটা সহজে অনুমান করা যায় । শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রশাসন বলতে কিছু নেই । চিকিৎসকরা তাদের সাধ্যমতো পরিষেবা দিয়ে চলছেন । প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নেই । চিকিৎসকের পোস্ট খালি পড়ে আছে । একজন কার্ডিওলজিস্ট নেই ।একজন ইউরোলজিস্ট নেই । ঘন ঘন স্বাস্থ্যমন্ত্রী শিলচর সফরে আসছেন । কিন্তু এর কোনো সুরাহা তারা করতে পারছেন না । অথচ গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অত্যন্ত ভাল অবস্থায় চলছে । কিন্তু শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই দুরবস্থা কেন তার জবাব কে দেবে । শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটা পরিচালন কমিটি রয়েছে তার মধ্যে আমাদের সাংসদ রয়েছেন ।এই সাংসদ আবার ভালো ভালো হোটেলের খাবারের ছবি দিয়ে এই খাবারগুলো শিলচর মেডিকেল কলেজের বলে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করছেন ।এত ভাল ভাল খাবার শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেওয়া হচ্ছে বলে যদি বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন তাহলে আমাদের শিলচরের প্রাক্তন পুরপতি কেন এত অভিযোগ করলেন । তিনি কি মিথ্যা কথা বলছেন। শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কারা খাবার সরবরাহ করছে তাদের তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশ করা হোক । এছাড়া  ঔষধ পত্র কারা সরবরাহ করছে তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হোক । তবেই বোঝা যাবে কোথায় দুর্নীতি চলছে । শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে 50 বছর হয়ে যাবার পরও এমন দুরবস্থার কথা শুনলে সবার মনে ভীষণ কষ্ট লাগে । এইভাবে চললে কাগজ কল , সুগারমিল , টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি মত শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বন্ধ হওয়ার পথে চলে যাবে ।মেডিকেল কলেজের এই দুরাবস্থার কথা আসাম সরকার কি  জানে না । একমাত্র বরাক উপত্যকায় এই মেডিকেল কলেজে থাকায় বিমাতৃসুলভ আচারণ করছে সরকার । আমি শুনেছি স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন রাজ্য অক্সিজেনের অভাব পিপিই কিটও পর্যাপ্ত নেই । । আমি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করছি  যদি সৎ হয়ে থাকে তাহলে শিলচর মেডিকেল কলেজ যারা খাদ্য বা অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করছে তাদের নামের তালিকা যেন প্রকাশ করেন ।
এদিকে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল কলেজ খোলার জন্য বারবার ঘোষণা দিচ্ছেন শিক্ষা মন্ত্রী । কিন্তু কোনো অভিভাবক বা ছাত্র-ছাত্রী এতে রাজি নন । শিক্ষা মন্ত্রী নিজেও একজন অভিভাবক । যদিও তার ছেলে মেয়েরা বাইরে পড়াশোনা করছেন ।কিন্তু তার ছেলে মেয়েরা যদি আসামে পড়াশোনা করত তাহলে এই পরিস্থিতিতে তিনি কি তাদের স্কুল বা কলেজে পাঠাতে পারতেন । অসমে যেভাবে করণা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে এই পরিস্থিতিতে স্কুল কলেজ খোলা কোনোভাবেই সম্ভব নয় ।অন্ততপক্ষে আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত যাতে স্কুল কলেজ খোলার কোনো সিদ্ধান্ত নেন এ সরকার । এ ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যাতে হস্তক্ষেপ করেন তার জন্য দাবি জানাচ্ছি ।

প্রদীপ দত্ত রায়
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আকসা
আইনজীবী গৌহাটি হাইকোর্ট

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.