Header Ads

মহেশ-রিয়ার ৮ জুনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ভাইরাল !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তে মুম্বাই পৌঁছেছে সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল। বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) অভিনেতার মৃত্যুর তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসে।
ওইদিন ইন্টারনেটে ফাঁস হয় মহেশ ভাট ও রিয়া চক্রবর্তীর ৮ জুনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। আর ওইদিনই সুশান্তের ফ্ল্যাট ছেড়েছিলেন রিয়া। এর ঠিক ৬ দিনের মাথায় উদ্ধার হয় সুশান্তের মরদেহ।

সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে মহেশ-রিয়ার গোপন চ্যাট প্রকাশ্যে এনেছে।  যে মেসেজে স্পষ্টভাবেই দেখা যাচ্ছে সুশান্তের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করার ইঙ্গিত এবং এই সম্পর্ক ভেঙে ফেলার ব্যাপারে রিয়াকে উপদেশ দিয়েছিলেন মহেশ ভাট। রিয়া লেখেন, ‘আয়েশা (জলেবি ছবিতে রিয়ার চরিত্রের নাম) মুভস অন..স্যার, মন ভারাক্রান্ত তবে একটা স্বস্তি। ’ এরপর রিয়া যোগ করেন, ‘আমাদের শেষ ফোনালাপ আমার ঘুম ভাঙিয়ে দিয়েছে। তুমি আমার স্বর্গদূত, তুমি ছিলে, তুমি আছো এবং তুমিই থাকবে।’
এর জবাবে মহেশ ভাট লেখেন, ‘পেছনে ফিরে তাকিও না। যা হবার তাই হবে। আমার অনেক ভালোবাসা তোমার বাবাকে। তিনি আজ নিশ্চয় অনেক খুশি।’ এর উত্তরে রিয়া লেখেন, ‘অবশেষে একটু সাহস খুঁজে পেলাম। আর সেইদিন তুমি আমার বাবাকে নিয়ে ফোনে যা বলেছিলে, সেটা আমাকে শক্ত হতে সাহায্য করেছে। তিনিও তোমাকে অনেক ভালোবাসা জানিয়েছেন, ধন্যবাদ সবসময় পাশে থাকার জন্য।’
এরপর ‘সড়ক ২’র পরিচালক লেখেন, ‘আমার হালকা লাগছে।’ এরপর রিয়া মেসেজ করেন, ‘আহ.. কোনও শব্দ নেই স্যার। সেটাই সেরা ইমোশন, যা আমি তোমার জন্য অনুভব করি।’ মহেশ ভাট এরপর লেখেন, ‘তুমি সাহাসী..এজন্য তোমাকে ধন্যবাদ।’
রিয়া এবার লেখেন, ‘তুমি ফের আমার ডানা মেলতে সাহায্য করলে, একই জীবনে দু’বার--ঠিক ভগবানের মতো।’ অপর একটি মেসেজে রিয়া লেখেন, ‘ধন্যবাদ, আমার ভাগ্যকে যে তোমার সঙ্গে আমাকে মিলিয়ে দিয়েছে। তুমি ঠিক বলেছ, আমাদের দেখা হওয়াটা এই দিনের জন্যই। কোনও সিনেমার জন্য নয়, খুব স্পেশাল কিছুর জন্য। তোমার প্রত্যেকটা শব্দ আমার কানে প্রতিধ্বনিত হয়েছে, আমার মনে তোমার নিঃশর্ত ভালোবাসার একটা গভীর প্রভাব কাজ করে।’
সুশান্তের ‘আত্মহত্যার’ কারণ খতিয়ে দেখতে মুম্বাই পুলিশ মহেশ ভাটের বক্তব্য রেকর্ড করে। এই মামলায় মুম্বাই পুলিশ মোট ৫৬ জনের বক্তব্য রেকর্ড করেছে। মুম্বাই পুলিশকে দেওয়া বক্তব্যে মহেশ ভাট জানিয়েছেন, সুশান্তের সঙ্গে জীবনে দু’বার তার দেখা হয়েছে। মহেশ ভাট পুলিশকে আরও জানান, সুশান্ত নিজে থেকেই ‘সড়ক ২’র অংশ হতে চেয়েছিল এবং মহেশ ভাটের সঙ্গে দেখাও করেছিল।
  অন্যদিকে, সুশান্তের মৃত্যুর দিনই মহেশ ভাটের দাদা মুকেশ ভাট টাইমস নাও’কে দেওয়া এক টেলিফোনিক সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আমি দেখতে পাচ্ছিলাম, এরকম একটা কিছু আসছে।’ কীভাবে সেই ধারণা গড়ে উঠেছিল, তারও ব্যাখ্যা দেন মুকেশ।
তিনি বলেন, ‘মহেশ আমাকে বলেছিল, ‘আমি আমার ক্যারিয়ার শুরু করেছি পারভিন ববির সঙ্গে, সে সিজোফ্রেনিয়ার শিকার ছিল। আমারা ভাবতাম, সুশান্ত পারভিন ববির রাস্তায় হাঁটছে। তাই আমি শকড নই, এটা হওয়ার ছিল।’
এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তভার এখন সিবিআইয়ের হাতে। বুধবার (১৯ আগস্ট) বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ খারিজ করে দিয়েছে এই মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীর পিটিশন।
বিচারপতির রায়ে জানানো হয়েছে, সুশান্তের মৃত্যুর পর মুম্বাই পুলিশ এই মামলার আইগত অনুসন্ধান করেছে। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ, মুম্বাই পুলিশ এই মামলায় সিবিআই’কে সহযোগিতা করতে বাধ্য থাকবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.