Header Ads

অসম সহ উত্তরপূৰ্বের প্রত্যন্ত ৯০০টি গ্ৰামবস্তিতে করোনা-সচেতনতা অভিযান ‘সেবা ভারতী’র

গুয়াহাটি, ৪ জুলাইঃ  অতিমারি করোনা ভাইরাসের প্ৰকোপে বৰ্তমানে গোটা মানব জাতির অস্তিত্ব সংকটে। চিনের উহান শহর থেকে এর সংক্ৰমণ সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে অতিমারি বলে আখ্যা দিয়েছে। যা মহামারি থেকেও ভয়াবহ। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত না হয়ে বরং করোনা সম্পৰ্কে সচেতন হন, তাই চলতি বছরের দোসরা ফেব্ৰুয়ারি থেকে অসম সমেত গোটা উত্তর-পূৰ্বাঞ্চলে বহুবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে ‘সেবা ভারতী পূৰ্বাঞ্চল’ নামের এক সৰ্বভারতীয় বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। গোটা কাৰ্যসূচিতে সেবা ভারতী পূৰ্বাঞ্চলের চিকিৎসক তথা গোটা কাৰ্যসূচির প্ৰজেক্ট ডিরেক্টর ডা. অরুণকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, সভাপতি রমেন শৰ্মা, সম্পাদক রাজীব গুপ্তা, উত্তর-পূৰ্বাঞ্চলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুরেন্দ্ৰ তালখেদকর প্ৰমুখের নেতৃত্বে অসমের বিভিন্ন জেলায় সচেতনতামূলক কাৰ্যসূচি অনুষ্ঠিত করা হয়েছে।


ইতিমধ্যে তিনসুকিয়া জেলার ৪০টি গ্রামকে সংযুক্ত করে ২৭টি  সচেতনতা কার্যসূচি (৫,৪৪৬ জনের অংশগ্রহণ), ডিব্ৰুগড়ের ৪০টি গ্রামকে সংযুক্ত করে ৩৬টি সচেতনতা কার্যসূচি (৪,৭৭৮ জনের অংশগ্রহণ), চরাইদেওয়ের ১৬টি গ্রামকে নিয়ে ১৪টি (২,৩৩৯ জনের অংশগ্রহণ), যোরহাট জেলার ৭৮টি গ্রামকে নিয়ে ১৬টি (১,৯৬৭ জনের অংশগ্রহণ), গোলাঘাটে ৩৫টি গ্রামকে নিয়ে ৩৪টি সচেতনতা কার্যসূচি (৪,৯৬৪ জনের অংশগ্রহণ) হয়েছে। এভাবে ধেমাজি, লখিমপুর, মাজুলি, ডিফু, বিশ্বনাথ, শোণিতপুর, ওদালগুড়ি, দরং, নগাঁও, হোজাই, মরিগাঁও, কামরূপ, গোয়ালপাড়া, বাকসা, নলবাড়ি, বরপেটা, চিরাং, কোকরাঝাড়, ধুবড়ি, মেঘালয়ের গারোপাহাড় সমেত ২৬টি জেলায় ৮৯৭টি গ্রামকে সংযুক্ত করে ৪৪৫টি সচেতনতামূলক কাৰ্যসূচি অনুষ্ঠিত করেছেন ‘সেবা ভারতী পূৰ্বাঞ্চল’-এর কার্যকর্তারা।

করোনা ভাইরাসের সংক্ৰমণ ঠেকাতে রাজ্যের প্ৰত্যন্ত গ্ৰামেগঞ্জের অলিগলিকে স্যানিটাইজ করা হয়েছে। সভাগুলোতে বিভিন্ন ক্ষেত্ৰের গবেষক, কৰ্মীরা করোনা থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষের সামনে সচেতনতামূলক বক্তব্য পেশ করেছেন। সৰ্দি, জ্বর, কাশি, একটু কাজ করলেই ক্লান্তি অনুভব করা করোনার প্ৰাথমিক উপসৰ্গ এবং মরশুমি ইনফ্লুয়েঞ্জা সম্পৰ্কে গ্ৰামেগঞ্জের মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করা হয়েছে। ভাইরাসের সংক্ৰমণ থেকে বাঁচতে ঘন ঘন হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা, সামাজিক ব্যবধান মেনে চলা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার পরামৰ্শ দিয়েছেন সংগঠনের কার্যকর্তারা। কিছু কিছু অনুষ্ঠানে কোভিড-১৯ ডিজিট্যাল থাৰ্মাল স্ক্যানার ব্যবহার করা হয়েছে। ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ উপকৃত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বৰ্তমানে সারা দেশে সাড়ে ৬ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ অতিমারি করোনায় আক্ৰান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা ১৮ হাজারের গণ্ডি টপকে গেছে।

সৌজন্যে হিন্দুস্থান সমাচার

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.