বন্যায় ৭১ জনের মৃত্যু, কাজিরাঙাতে ৪টি গন্ডার সহ ৭০ টি জীবজন্তুর মৃত্যু,১২১টি হরিণ উদ্ধার
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : অসমে বন্যার তাণ্ডব অব্যাহত। ২৮ টি জেলা প্লাবিত। বরাক উপত্যক্যাতেও বন্যার পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। গুয়াহাটি, যোরহাট নিমাতি ঘাট, ধুবড়িতে ব্রহ্মপুত্র বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। অপরদিকে, বরাক নদী ফুঁসছে। বন্যার সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এপর্যন্ত ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিম্ন অসমের গোয়ালপাড়া জেলায় প্রায় ২৫০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ধুবড়ি জেলাতে ১৫০ টি গ্রাম, কামরূপ গ্রামীণ খেলার পুঁথিমারী নদীর প্লাবনে বহু অঞ্চল ডুবেছে। প্রায় এক লক্ষ হেক্টর কৃষি জমি প্লাবিত। সরকার রাজ্যে ৭০৪ টি ত্রাণ শিবির স্থাপন করে প্রায় ৫০ হাজার বন্যা দুর্গত মানুষকে স্থান দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল গতকাল কাজিরঙাতে বন্যা দুর্গত মানুদের সঙ্গে বন্য জন্তুদের খোঁজ খবর করেন। আজ কৃষিমন্ত্রী অতুল বরা কাজিরঙা পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, বন্যা দুর্গতদের জন্য সরকার ৭৫ কোটি টাকা রিলিজ করে দিয়েছেন। কাজিরঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যানের প্রায় ৯০ শতাংশ ডুবে গেছে। মাত্র ৩১টি হাই ল্যান্ড গন্ডার, হরিণ, বুনো মোষ, বুনো শুকর, হাতি পাশাপাশি গাদাগাদি করে আছে। তীব্র খাদ্য সংকটে পড়েছে। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এক একটি গন্ডার দিনে প্রায় ১২০ কেজি ঘাস খায়, ঘাসের জঙ্গল ডুবে গেছে। এবার ৭ থেকে ৮ টি বাঘ জন পদে এসে তাণ্ডব চালিয়েছে। একটিকে ট্র্যানকুলাইজে অচেতন করে পরে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। এপর্যন্ত ৪টি গন্ডার সহ ৭০ টি জীবজন্তু মারা গিয়েছে। ১২১টি জন্তুকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে বিভাগীয় সূত্রে জানা গেছে। প্লাবিত উদ্যানের এক বৃহৎ সংখ্যক জীবজন্তু ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অতিক্রম করে কার্বি পাহাড়ে গিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে।
কোন মন্তব্য নেই