ভারতীয় টিকটক স্টারদের কয়েকজনের কার কেমন আয় !!
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
ভারত-চীন সীমান্তে সংঘর্ষের জের ধরে সোমবার থেকে ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ভারত। নিষিদ্ধের তালিকায় রয়েছে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় চীনা ভিডিও অ্যাপ টিকটিক। সংবাদ সূত্র অনুসারে ২০১৯ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি টিকটক ডাউনলোড হয়েছে ভারতে ৩২কোটি ৩০ লাখ বার,যা বিশ্বের মোট টিকটক গ্রাহকদের ৪৪ শতাংশ !
এই অ্যাপটি বন্ধ করে দেয়ার কারণে ভারতের টিকটক স্টারেদের এখন মাথায় হাত দেওয়ার উপক্রম। এখন দেখে নেওয়া যাক টিকটক থেকে কতো আয় করতেন শীর্ষ আয়ের ভারতীয় কয়েকজন স্টার।
মঞ্জুল খট্টর---
টিকটকে নিজের ট্যালেন্ট দেখিয়ে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন মঞ্জুল খট্টর। ভারতসহ বাংলাদেশ, পাকিস্তানেও জনপ্রিয় তিনি। প্রায় ১৪ কোটি ফলোয়ার রয়েছে তার। মঞ্জুলের বাড়ি হরিয়ানার গুরুগ্রামে। বাণিজ্যবিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। হেয়ারস্টাইলের জন্য টিকটকে বেশ জনপ্রিয় মঞ্জুল। শুধু ভিডিও পোস্ট করেই মাসে প্রায় ৫ লাখ টাকা আয় করেন মঞ্জুল।
গিমা আশি---
টিকটক ব্যবহার করেন এবং গিমা আশির মুখখানা চেনেন না এমন কেউ নেই। গিমা এক জন মডেল। টিকটকে ‘বহত হার্ড’ গানে নিজের একটি ভিডিও পোস্ট করে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন গিমা। সেই ভিডিও ৫০ লাখ বার দেখা হয়েছিল। দিল্লির এই মডেলের টিকটকে ১ কোটির ওপর ফলোয়ার রয়েছে। আর টিকটকে ভিডিও পোস্ট করে মাসে ৬ লাখ টাকা আয় করেন গিমা। ইনস্টাগ্রামেও কয়েক লাখর ফলোয়ার রয়েছে তার।
অবেজ দরবার---
টিকটক স্টারদের মধ্যে অন্যতম নাম অবেজ দরবার। টিকটকে নিজের কমেডি ভিডিও পোস্ট করে বেশ জনপ্রিয় তিনি। তিনি একজন কোরিয়োগ্রাফারও। টিকটকে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ২ কোটি। এই আপ থেকে অবেজের আয় মাসে ১৪ লাখ টাকা। এছাড়া তার নিজের ইউটিউব চ্যানেল আছে। সেখানে তার ৩ লাখের মতো ফলোয়ার রয়েছে।
অবনীত কউর---
অবনীত একজন টেলি অভিনেত্রী। ভারতের টিভি চ্যানেলে বেশ কয়েকটি সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন। এছাড়া ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স লিটল মাস্টার, ডান্স কে সুপারস্টারস ইত্যাদিতে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেই পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে টিকটকেও জনপ্রিয় হয়েছেন। টিকটকে তার ৫০ লাখের বেশি ফলোয়ার রয়েছে। সেখান থেকে অবনীত মাসে ১৬ লাখ টাকা আয় করেন !
জান্নাত জুবেইর--
জান্নাত এক জন অভিনেত্রী। ২০১৯-এ ভারতে টিকটকে তার চেয়ে বেশি ফলোয়ার কারও ছিল না। তার টিকটকে ফলোয়ার সংখ্যা ১ কোটির বেশি। এখান থেকে নানা ভিডিও পোস্ট করে জান্নাতের মাসিক আয় ২ লাখের কাছাকাছি।
এ তো গেল কিছু টিকটক স্টারের আয়ের তথ্য। এ ছাড়াও ভারতের নানান প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছেন বহু মানুষ যারা তাদের ট্যালেন্ট ভিডিও’র মাধ্যমে আপলোড করে রীতিমতো সংসার চালাচ্ছেন--শখ শৌখিনতা মেটাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গেও বেশ কিছু সাধারণ থেকে সেলেবও আছেন যারা টিকটকের মাধ্যমে বেশ কিছু রোজগারের ব্যাপারে রীতিমতো সক্রিয় ছিলেন। এখন এদের সকলেরই অবস্থা বেশ করুণ। সরকারি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁদের অনেকেই ক্ষোভ গোপন রাখতে পারছেন না। ফলোয়ারদের একাংশ তো রীতিমতো অশ্রাব্য ভাষায় মোদীকে আক্রমণ করে সামাজিক মাধ্যমে হৈ-চৈ শুরু করে দিয়েছে !!
ভারত-চীন সীমান্তে সংঘর্ষের জের ধরে সোমবার থেকে ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ভারত। নিষিদ্ধের তালিকায় রয়েছে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় চীনা ভিডিও অ্যাপ টিকটিক। সংবাদ সূত্র অনুসারে ২০১৯ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি টিকটক ডাউনলোড হয়েছে ভারতে ৩২কোটি ৩০ লাখ বার,যা বিশ্বের মোট টিকটক গ্রাহকদের ৪৪ শতাংশ !
এই অ্যাপটি বন্ধ করে দেয়ার কারণে ভারতের টিকটক স্টারেদের এখন মাথায় হাত দেওয়ার উপক্রম। এখন দেখে নেওয়া যাক টিকটক থেকে কতো আয় করতেন শীর্ষ আয়ের ভারতীয় কয়েকজন স্টার।
মঞ্জুল খট্টর---
টিকটকে নিজের ট্যালেন্ট দেখিয়ে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন মঞ্জুল খট্টর। ভারতসহ বাংলাদেশ, পাকিস্তানেও জনপ্রিয় তিনি। প্রায় ১৪ কোটি ফলোয়ার রয়েছে তার। মঞ্জুলের বাড়ি হরিয়ানার গুরুগ্রামে। বাণিজ্যবিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। হেয়ারস্টাইলের জন্য টিকটকে বেশ জনপ্রিয় মঞ্জুল। শুধু ভিডিও পোস্ট করেই মাসে প্রায় ৫ লাখ টাকা আয় করেন মঞ্জুল।
গিমা আশি---
টিকটক ব্যবহার করেন এবং গিমা আশির মুখখানা চেনেন না এমন কেউ নেই। গিমা এক জন মডেল। টিকটকে ‘বহত হার্ড’ গানে নিজের একটি ভিডিও পোস্ট করে তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন গিমা। সেই ভিডিও ৫০ লাখ বার দেখা হয়েছিল। দিল্লির এই মডেলের টিকটকে ১ কোটির ওপর ফলোয়ার রয়েছে। আর টিকটকে ভিডিও পোস্ট করে মাসে ৬ লাখ টাকা আয় করেন গিমা। ইনস্টাগ্রামেও কয়েক লাখর ফলোয়ার রয়েছে তার।
অবেজ দরবার---
টিকটক স্টারদের মধ্যে অন্যতম নাম অবেজ দরবার। টিকটকে নিজের কমেডি ভিডিও পোস্ট করে বেশ জনপ্রিয় তিনি। তিনি একজন কোরিয়োগ্রাফারও। টিকটকে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ২ কোটি। এই আপ থেকে অবেজের আয় মাসে ১৪ লাখ টাকা। এছাড়া তার নিজের ইউটিউব চ্যানেল আছে। সেখানে তার ৩ লাখের মতো ফলোয়ার রয়েছে।
অবনীত কউর---
অবনীত একজন টেলি অভিনেত্রী। ভারতের টিভি চ্যানেলে বেশ কয়েকটি সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন। এছাড়া ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স লিটল মাস্টার, ডান্স কে সুপারস্টারস ইত্যাদিতে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেই পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে টিকটকেও জনপ্রিয় হয়েছেন। টিকটকে তার ৫০ লাখের বেশি ফলোয়ার রয়েছে। সেখান থেকে অবনীত মাসে ১৬ লাখ টাকা আয় করেন !
জান্নাত জুবেইর--
জান্নাত এক জন অভিনেত্রী। ২০১৯-এ ভারতে টিকটকে তার চেয়ে বেশি ফলোয়ার কারও ছিল না। তার টিকটকে ফলোয়ার সংখ্যা ১ কোটির বেশি। এখান থেকে নানা ভিডিও পোস্ট করে জান্নাতের মাসিক আয় ২ লাখের কাছাকাছি।
এ তো গেল কিছু টিকটক স্টারের আয়ের তথ্য। এ ছাড়াও ভারতের নানান প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছেন বহু মানুষ যারা তাদের ট্যালেন্ট ভিডিও’র মাধ্যমে আপলোড করে রীতিমতো সংসার চালাচ্ছেন--শখ শৌখিনতা মেটাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গেও বেশ কিছু সাধারণ থেকে সেলেবও আছেন যারা টিকটকের মাধ্যমে বেশ কিছু রোজগারের ব্যাপারে রীতিমতো সক্রিয় ছিলেন। এখন এদের সকলেরই অবস্থা বেশ করুণ। সরকারি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁদের অনেকেই ক্ষোভ গোপন রাখতে পারছেন না। ফলোয়ারদের একাংশ তো রীতিমতো অশ্রাব্য ভাষায় মোদীকে আক্রমণ করে সামাজিক মাধ্যমে হৈ-চৈ শুরু করে দিয়েছে !!
কোন মন্তব্য নেই