Header Ads

শিলাদিত্য দেব সরে গেলে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকাতে বিজেপির বাঙালি ভোটে ভাঙ্গন ধরবে

অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার একমাত্র বাঙলী হিন্দু বিজেপি বিধায়ক শিলাদিত্য দেব, সৎ ভাবমূর্তি থাকা যুব নেতা। হোজাই কেন্দ্রে একচেটিএভাবে বাঙলি হিন্দুদের ৯৯ শতাংশ ভোট পেয়ে রেকর্ড গড়ার পরও বিজেপি নেতৃত্ব তাকে পাত্তাই দেয়নি। নিলবাগান থেকে হোজাই পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ, জেলা হাসপাতাল নির্মাণ করা সহ প্রতিটি উন্নয়ন কাজে এক সফলতা। অপরদিকে কার্বি আংলং জেলার উমরাংশ থেকে লংকা হয়ে আসা কয়লা ট্রাক আর বালি পাথরের লাগামছাড়া দুর্নীতি শাসক দলের ছোট বড় নেতাদের জড়িত থাকার অভিযোগ নিয়ে সদাই সরব ছিলেন শিলাদিত্য দেব। তার এই গুরুতর অভিযোগ নিয়ে দিসপুর কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি। বরঞ্চ প্রতি পদে অপমান করা হয়েছে শিলাদিত্যকে। হোজাই জেলা পরিষদের সভানেত্রী রমাবালা দেবী, এমনকি বিজেপি দলে না থাকা উপ সভাপতি নূর আহমেদ পর্যন্ত বিধায়ককে নানাভাবে অপমান করেছে। লকডাউনের সময় হোজাই জেলার সব বিভাগের পর্যালোচনা বৈঠকে এক মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। বিধায়ককে আমন্ত্রণ পর্যন্ত জানানো হয়নি। হিমন্তবিশ্ব শর্মার মিশন সফল করতে গিয়ে শিলাদিত্য বাংলাদেশি তকমা সেটে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে নিজের উজ্জ্বল ভাবমূর্তিকে কলুষিত করলেন। একবারের জন্যে বাংলাভাষী মুসলিম হিন্দুদের সম্প্রীতির কথা সদ্ভাবের কথা ভাবলেন না। মুসলিমদের বিরুদ্ধে লাগাতার কুৎসা রটাতে গিয়ে দেশ-বিদেশ থেকে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেকথা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছিলেন। একটা নয় শয়ে শয়ে হুমকি এসেছে। এর জন্যে কে দায়ী? বিজেপির হিন্দু মুসলিম বিভাজিনের দর্শনকে সফল করার লক্ষ্যে কাজ করার পুরস্কার কি হত্যার লাগাতার হুমকি? তিনি অভিযোগ করেছেন, তাকে হত্যার  ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। শিলাদিত্য পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করার পর কোনো বিজেপি নেতা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। শিলাদিত্য ৩০ বছর ধরে বিজেপির সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। দিল্লিতে সাংবাদিকতাও করেছেন। তার ভাবমূর্তি  আজও অম্লান। ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার হিন্দু বাঙলি ভোটাররা হাত খুলে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। তারপর কি দেখলো ধোলাইয়ে পাঁচজন বাঙলিকে পাশাপাশি বসিয়ে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হল। কে হত্যা করলো? রাজ্যের একজন শিশুও জানে কে হত্যা করেছে, কিন্তু সরকারের পুলিশ জানে   না।আজও নিরীহ গরিব মানুষরা বিচার পেলো না। দুলাল পালের কথা মনে আছে? ডিটেনশন ক্যাম্পে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল। মিথ্যা বাংলাদেশী অপবাদ দেওয়ায় ঢেকিয়াজুলি থেকে ছেলেরা বাবার মৃতদেহ নিতে আসেনি জি এম সির মর্গে ৬ থেকে ৭ দিন মৃতদেহ পচে গলে পরে ছিল। তারপর বাঙালিদের এক সংগঠন এবং পেড নিউজ করা সাংবাদিকের সাহায্যে সরকার মিথ্যা  আশ্বাস দেওয়ায় দুলাল পালের ছেলেরা বাবার মৃতদেহ গ্রামে নিয়ে যান। সরকার কিন্তু আজও কথা রাখেননি। বাংলাদেশী কলঙ্ক নিয়েই স্বদেশী দুলালবাবুকে চলে যেতে হল। বিজেপি আমলে হিন্দু মুসলিম সংখ্যালঘু মানুষ নাগরিকত্বের নামে  অত্যাচারিত হয়েছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তার প্রভাব ব্যালট বক্সে পড়বে। আর শিলাদিত্য দেবের মত যুব নেতাকে দল ছাড়তে হলে ব্রহ্মপুত্র ও উজানে বিজেপিকে মূল্য দিতে হবে বলে হোজাই, লামডিং অঞ্চলের বাঙালি ভোটারদের অভিমত।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.