Header Ads

মানসিক অবসাদে ভুগছেন ৪৩% ভারতীয় !!

 বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়

সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে ৪৩ শতাংশ ভারতীয় মানসিক অবসাদে দিন কাটাচ্ছেন। করোনা মহামারির কারণে প্রায় পাঁচ মাস ধরে এই চরম সংকটে দিন কাটানো, দিনের পর দিন লকডাউন, চাকরি ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা, আর্থিক সংকট—সব মিলিয়ে মেন্টাল ডিপ্রেশনের চরম পর্যায়ে ভারতীয়রা।

ভারতের শীর্ষস্থানীয় স্মার্ট প্রযুক্তি নির্ভর স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা জিওকিউআইআই কর্তৃক প্রায় ১০ হাজার ভারতীয়র উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়। এই সমীক্ষার প্রধান লক্ষ্যই ছিল নিউ নর্মালের সঙ্গে মানুষ কীভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন, তা খতিয়ে দেখা। আর তাতেই উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২৬ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন তারা হালকা অবসাদে ভুগছেন। ১১ শতাংশ জানিয়েছেন অবসাদ প্রায়ই তাদের ঘিরে ধরে এবং ৬ শতাংশ মানুষের বক্তব্য তারা গভীরভাবে অবসাদগ্রস্ত।
সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, 'গত পাঁচ মাস যে সংকটের মধ্যে দিয়ে মানুষকে যেতে হয়েছে তা অভূতপূর্ব। একাধিক কারণে ক্রমশ বেড়েছে মানসিক চাপ। বর্তমানে লকডাউনের কারণে মানুষের জীবনযাত্রায় যে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে, তাতে ৪৩ শতাংশ ভারতীয় অবসাদগ্রস্ত এবং তারই মধ্যে নতুন জীবনধারায় কোনোরকমে মানিয়ে চলার চেষ্টা করছেন।'
জিওকিউআইআই-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও বিশাল গোন্ডাল জানিয়েছেন, 'ক্রমাগত বেড়ে চলা এই অনিশ্চয়তার সঙ্গে বেড়েছে স্ট্রেস ইন্ডেক্স। আর এর সঙ্গে লড়াই করার একমাত্র উপায় সুষম আহার, লাইফস্টাইলে পরিবর্তন মেনে নেওয়া এবং সেই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে ঘুমের সময় নির্দিষ্টি রাখা।'
অবসাদগ্রস্তরা জানিয়েছেন কোনো কাজেই উৎসাহ বা আনন্দ পান না। সব সময়েই হতাশা যেন গ্রাস করে থাকে, স্ফূর্তির অভাবের পাশাপাশি আত্মসম্মানেও দেখা দিচ্ছে ঘাটতি। কোনো কাজে মনোসংযোগ তো করতে পারছেনই না বরং বাড়ছে অস্থিরতা। মাঝেমধ্যেই নিজেকে আঘাত করার প্রবণতাও দেখা দিচ্ছে কারো কারো মধ্যে।
উল্লেখ্য, লকডাউনের প্রভাব ঠিক কতটা গভীর হচ্ছে ভারতীয়দের মানসিক স্বাস্থ্যে সেটা বোঝার জন্যই এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশজুড়ে অনলাইন সমীক্ষা শুরু করেন ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রি সোসাইটির একদল মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। ইংরেজি ছাড়াও ১১টি আঞ্চলিক ভাষায় তৈরি নির্দিষ্ট প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। একটি ডিভাইস থেকে যাতে একবারই মাত্র উত্তর দেওয়া যায়, করা হয় সে ব্যবস্থাও। সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১৮৭১ জন, যাদের বয়স ১৪-৮৭ বছর।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.