Header Ads

দলাই লাম’র জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানালেন না মোদি !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
গত ১৫ জুনের পর থেকে সীমান্তে ভারত-চিন উত্তেজনা বাড়তেই থাকে। তবে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর গালওয়ান, প্যাংগংয়ের মতো বিতর্কিত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে চিনারা। সীমান্তে শান্তি ফেরার আভাস মিলেছে। এমন পরিস্থিতিতে বেইজিং-এর নতুন করে উষ্মা বাড়াতে চায় না ভারত। সম্ভবত সেই কূটনীতির অংশ হিসেবেই তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মগুরু দলাই লামাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও তিব্বতি ধর্মগুরুর ৮৫তম জন্মদিনের বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন।

সোমবার ছিল দলাই লামার জন্মদিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি শুভেচ্ছা না জানালেও লাদাখের লেফটেন্যান্ট গভর্নর আর কে মাথুর এদিন টুইট করে দলাই লামাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান এবং কিরেণ রিজিজু।
বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধবও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলাই লামাকে। আসলে আপাতত চিনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষিতে কূটনৈতিক কৌশল হিসেবে দলাই লামার সখ্য এড়িয়ে চললেও তাঁকে বন্ধু বলেই মনে করে বিজেপি তথা আরএসএস। ক’দিন আগে চিনের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে তাঁকে ‘ভারতরত্ন’ দেওয়ারও প্রস্তাব দিয়েছিল আরএসএস। সরকার অবশ্য এখনই সে প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মগুরুর থেকে খানিকটা দূরত্ব বজায় রাখারই চেষ্টা করছে।
১৯৫৯ সালে চিনা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে তিব্বত থেকে দলবলসহ পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন দলাই লামা। তারপর থেকেই তাঁকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে মনে করে বেইজিং। দলাই লামা বহুবার ভারতের সাহায্য নিয়ে চিনের হাত থেকে তিব্বতকে স্বাধীন করার চেষ্টা করেছেন। সেই নেহেরুর আমল থেকেই তাঁকে নিয়ে ভারতের সঙ্গে চিনের কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছে। সম্প্রতি তাঁর ভারত ভ্রমণ নিয়েও আপত্তি তুলেছিল চিন।
কূটনৈতিক মহলের মতে, এই মুহূর্তে লাদাখ সীমান্তে যখন দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তখন দলাই লামাকে কাছে টানার বার্তা দিয়ে ভারত আর চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়াতে চাইছে না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.