গুয়াহাটির লক ডাউন শিথিল হল, দোকানপাট খোলা থাকবে তবে যানবাহন চলাচলের অনুমতি নেই
মুখ্যসচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণ ও কেন্দ্রীয় সরকারের সতর্কবার্তা শোনালেন আগস্টের মধ্যে অসমে ৬৫ হাজার ৩০০ জন করোনা আক্রান্ত হবে
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : গুয়াহাটি মহানগর সহ কামরূপ মেট্রো জেলায় গত ২১ দিনের লকডাউন প্রত্যাহার করে আগামীকাল ১৯ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ দিন লকডাউন শিথিল করা হল। একথা ঘোষণা করে মুখ্যসচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণ আজ সাংবাদিক সম্মেলনে ভয়ঙ্কর কথা শোনান, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক অসম সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে অসমে ৬৫ হাজার আক্রান্ত হবে, গুয়াহাটিতে হবে ৩২ হাজার। যে সতর্কবার্তা স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা উজান অসম সফরের পূর্বে গুয়াহাটিতে দিয়েছেন। বিস্ময়ের কথা মুখ্যসচিব কতজন মারণ রোগে সংক্রমিত হবে তার নিদ্দিষ্ট সংখ্যাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ৬৫ হাজার ৩০০ জন আক্রান্ত হবে। কংগ্রেসের প্রশ্ন আগাম আক্রান্তের সংখ্যা নিদিষ্টভাবে কি করে বলা যাবে? এই ভয়াবহ ছবি তুলে ধরে মুখ্যসচিব বলেন, মাস্ক না পড়লে, দূরত্ব বিধি না মানলে ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ রোধ করা যাবে না। মাস্ক না পড়লে হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলে জানান। করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায়
সরকারের আর্থিক কোনও অভাব নেই বললেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা আজ উজানে সাংবাদিকদের কাছে ইঙ্গিত দিয়েছেন, এতদিন সরকার করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় রুগীদের কাছ থেকে কোনো অর্থ নেইনি। এবার আর্থিক দুরবস্থার প্রেক্ষিতে বিনা পয়সায় চিকিৎসা করা সম্ভব নাও হতে পারে। লকডাউনের ফলে শ্রমজীবী শ্রমিকদের দুরবস্থা প্রসঙ্গে মুখ্য সচিব বলেন, সরকার বিনামূল্যে চাল সরবরাহ করছে। তিনি বলেন, সংক্রমণ বেড়েই চলেছে, অপরদিকে, মানুদের আর্থিক দুরবস্থার কথা চিন্তা করে এক ভারসাম্য বজায় রাখতে বেশ কিছু নিয়ম নীতি মেনে লকডাউন শিথিল করা হল। এই বাবস্থাতে সরকারি বেসরকারি বাস পথে চলবে না, তবে ক্যাব, অটো, রিস্কা, চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে। ব্যাক্তিগত গাড়ি বন্ধ থাকবে। দোকানপাট খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, রাস্তার দুই পাশে খোলার অনুমতি থাকবে না। সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ৭ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। পাইকারি,সব্জি, ফলমূল, মাছ, মাংস প্রভৃতি দোকান একই সময়ে খুলতে পারবে। কুরিয়ার সার্ভিস, নির্মাণ কাজ, রেস্টুরেন্ট খুলবে তবে ঘরে প্যাকেজ করে নিয়ে যেতে হবে। পান, গুটকা, সিগারেটের দোকান খোলার অনুমতি নেই। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকার, ব্যাংক, বীমা কোম্পানির অফিস ৩০ শতাংশ কর্মী দিয়ে চালানো যাবে, শপিংমল, জিম, সিনেমাহল, জমায়েত বন্ধ, সেলুন খোলার অনুমতি আছে। অন্য জেলাগুলোতে সংক্রমণ বাড়ার জন্য আর্ন্তজেলা বাস সার্ভিস থাকবে না। তবে জেলার মধ্যে সোমবার ও মঙ্গলবার অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
সরকারের আর্থিক কোনও অভাব নেই বললেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা আজ উজানে সাংবাদিকদের কাছে ইঙ্গিত দিয়েছেন, এতদিন সরকার করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় রুগীদের কাছ থেকে কোনো অর্থ নেইনি। এবার আর্থিক দুরবস্থার প্রেক্ষিতে বিনা পয়সায় চিকিৎসা করা সম্ভব নাও হতে পারে। লকডাউনের ফলে শ্রমজীবী শ্রমিকদের দুরবস্থা প্রসঙ্গে মুখ্য সচিব বলেন, সরকার বিনামূল্যে চাল সরবরাহ করছে। তিনি বলেন, সংক্রমণ বেড়েই চলেছে, অপরদিকে, মানুদের আর্থিক দুরবস্থার কথা চিন্তা করে এক ভারসাম্য বজায় রাখতে বেশ কিছু নিয়ম নীতি মেনে লকডাউন শিথিল করা হল। এই বাবস্থাতে সরকারি বেসরকারি বাস পথে চলবে না, তবে ক্যাব, অটো, রিস্কা, চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে। ব্যাক্তিগত গাড়ি বন্ধ থাকবে। দোকানপাট খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, রাস্তার দুই পাশে খোলার অনুমতি থাকবে না। সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ৭ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। পাইকারি,সব্জি, ফলমূল, মাছ, মাংস প্রভৃতি দোকান একই সময়ে খুলতে পারবে। কুরিয়ার সার্ভিস, নির্মাণ কাজ, রেস্টুরেন্ট খুলবে তবে ঘরে প্যাকেজ করে নিয়ে যেতে হবে। পান, গুটকা, সিগারেটের দোকান খোলার অনুমতি নেই। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকার, ব্যাংক, বীমা কোম্পানির অফিস ৩০ শতাংশ কর্মী দিয়ে চালানো যাবে, শপিংমল, জিম, সিনেমাহল, জমায়েত বন্ধ, সেলুন খোলার অনুমতি আছে। অন্য জেলাগুলোতে সংক্রমণ বাড়ার জন্য আর্ন্তজেলা বাস সার্ভিস থাকবে না। তবে জেলার মধ্যে সোমবার ও মঙ্গলবার অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই