Header Ads

৬০০ কিমি ভিতরে ঢুকে ধ্বংসলীলা চালাতে পারে রাফায়েল !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায় 
 
চুক্তি হয়েছিল চার বছর আগে। জলঘোলাও কম হয়নি।
অবশেষে আজ বহু প্রতীক্ষিত ফ্রান্সের তৈরি যুদ্ধবিমান রাফায়েল হাতে পেয়েছে ভারত। হরিয়ানার আম্বালায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে রাখা হয়েছে বিমানগুলো। কিন্তু কেন এই যুদ্ধবিমান
পেতে এতটা মরিয়া ছিল ভারত? ঠিক কতটা শক্তিশালী এই যু্দ্ধবিমান?
 
এতদিন ভারতের কাছে ছিল লং রেঞ্জ মিসাইল স্কাল্প যা ৩০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত আঘাত হানতে পারে। কিন্তু রাফায়েলের শক্তি এতটাই যে, শত্রু শিবিরে ৬০০ কিলোমিটার ঢুকে আঘাত হানার সক্ষমতা আছে তার। রাফায়েলের বিয়ন্ড ভিজুআল রেঞ্জ ১৫০ কিলোমিটারের বেশি। পাকিস্তানের হাতে যেসব যুদ্ধবিমান আছে তার বিভিআর বড়জোড় ৫০ কিলোমিটার।
এয়ার টু এয়ার মিসাইল ছোঁড়া রাফায়েল যুদ্ধবিমানের অন্যতম শক্তি। এর ফলে ১৫০ কিলোমিটার দূরের টার্গেট সহজেই বিদ্ধ করতে পারবে ভারতীয় বিমানবাহিনী। সীমান্ত অতিক্রম না করেও চীন ও পাকিস্তানের ১৫০ কিলোমিটার ভেতরের টার্গেটে হিট করতে পারবে। এছাড়াও রাফায়ালে আছে এয়ার টু গ্রাউন্ড মিসাইল। এই মিসাইল অন্তত ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বে লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম।
১০০ কিলোমিটার জায়গার মধ্যে ৪৫টি নিশানায় এক সঙ্গে আঘাত হানতে পারে রাফায়েল। রাফায়েলের এয়ার টু এয়ার এবং এয়ার টু সারফেস ফায়ারপাওয়ার ৩৭০০ কিলোমিটার !
পাকিস্তান এবং চীনের বিমানবাহিনী যে জেএফ- ১৭ এবং জে- ২০ যুদ্ধবিমানগুলো ব্যবহার করছে, সেগুলো দিনে এবং রাতে উড়তে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই চালাতে সক্ষম। যদিও চিনের জে-২০’র এখনও কোনো যুদ্ধের অভিজ্ঞতা নেই।
চীনের দাবি অনুযায়ী, জেএফ- ১৭ ফোর্থ জেনারেশন এবং জে- ২০ ফিফথ জেনারেশন এয়ারক্রাফট। অন্যদিকে রাফায়েলকে বলা হচ্ছে ৪.৫ জেনারেশন এয়ারক্রাফট। রাফায়েলের নির্মাণকারী সংস্থা দা সল্ট এভিয়েশনের দাবি, এগুলো ওমনিরোল এয়ারক্রাফট, অর্থাৎ প্রত্যেকটি মিশনে যুদ্ধবিমানকে যে লক্ষ্যে কাজে লাগানো হয়, প্রয়োজনে রাফায়েল তার থেকেও অতিরিক্ত করার ক্ষমতা রাখে। তবে যুদ্ধবিমান যতই অত্যাধুনিক এবং ক্ষমতাসম্পন্ন হোক না কেন, তার সাফল্য নির্ভর করে অস্ত্রশস্ত্র এবং রাডারের উপর৷
ভারতীয় সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাফায়েল যে ধরনের মিসাইল এবং অস্ত্রশস্ত্র বহনে সক্ষম, তা পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম সেরা এবং সর্বাধুনিক৷ রাফায়েল যে ধরনের এয়ার টু এয়ার লং রেঞ্জ মিসাইল ব্যবহার করে, তা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আকাশযুদ্ধের গতি প্রকৃতি আমূল বদলে দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.