বনসম্পদ পাচার ও বনধ্বংসের হিড়িক পড়েছে অরণ্যে
চার্বাক দেব, হাইলাকান্দি : বরাক জুড়ে আবার সক্রিয় বনসম্পদ চোরাচালানকারী। করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি কাছাড় বনবিভাগ নিয়ে অতর্কিত তাল্লাশি অভিযান করে ধরপাকড় চালিয়ে অনেক অবৈধ বনসম্পদ জব্দ করতে সক্ষম হতে দেখা গেছে বনবিভাগকে।
সম্প্রতি, হাইলাকান্দিতে অবৈধ বনসম্পদ উদ্ধারকার্যে দক্ষিণ অসাম চক্রের সিসিএফ সুমন মহাপাত্র (আইএফএস) ভানু সিনহা, সিসিএফ এটাস্ট্ ডেপুটি কনজারভেটর অব ফরেস্ট, হাইলাকান্দির ডিএফও এম এইচ মজুমদার, অখিল দত্ত(এসিএফ), অলক দেব ( রেঞ্জ অফিসার পাঁচগ্ৰাম), সুখদেব সাহা (রেঞ্জ অফিসার প্রটেকশন), মনোয়ার হোসেন বড়ভূইয়া (বিট অফিসার আদরকোনা), সুবিনয় দেব (বিট অফিসার কাটাখাল), মৃনাল নাথ (ফরেষ্টার), ফিরোজ চৌধুরী (ফরেষ্টার) সহ প্রায় ৩০/৩৫ জনের মত বনকর্মীদের নিয়ে হাইলাকান্দি বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে বনজ সম্পদ সহ অবৈধ কাঠ চেরাইয়ের মেশিন জব্দ করে বনবিভাগের ডিভিশন অফিসে নিয়ে আসার খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত আসামী ধড়পাকড়ের কোন খবর নেই। তবে, অবৈধভাবে বনধংসকারী মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বনবিভাগের এই অতর্কিত তল্লাশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে সূত্রটি জানায়।
তাছাড়া, গত ৮ ই জুন, ভিচিংসা পার্ট 2 (টু) ও কাটলিছড়া পুরাতন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয় সঙ্গে ছিলেন সিসিএফ সুমন মহাপাত্র সহ শিলচরের বনকর্মীর দল। এরপরই, গত ১০ জুলাই আবার মাটিজুরির বাঁশডহর এলাকায় তল্লাশি চালিয়েও অবৈধ কাঠ চেরাইয়ের মেশিন ও কিছু সেগুন কাঠ জব্দ করে বনবিভাগের অফিসে নিয়ে আসা হয়।
তাছাড়া, গত ৮ ই জুন, ভিচিংসা পার্ট 2 (টু) ও কাটলিছড়া পুরাতন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয় সঙ্গে ছিলেন সিসিএফ সুমন মহাপাত্র সহ শিলচরের বনকর্মীর দল। এরপরই, গত ১০ জুলাই আবার মাটিজুরির বাঁশডহর এলাকায় তল্লাশি চালিয়েও অবৈধ কাঠ চেরাইয়ের মেশিন ও কিছু সেগুন কাঠ জব্দ করে বনবিভাগের অফিসে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে, করিমগঞ্জ বনবিভাগের তৎপরতায়ও বেশ কিছুদিন থেকে ডিএফও অফিসের আয়ত্তাধীন সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকার বিভিন্ন রেঞ্জ ও বিট অফিসারদের অতর্কিত তল্লাশি অভিযান জোরদার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযানের মাধ্যমে বনসম্পদ লুন্ঠনকারীদের দৌরাত্ম্যে লাগাম টানতে তৎপর রয়েছেন বনবিভাগের ডিএফও জালনুর আলী সহ বনকর্মীরা। এখনও অবৈধ কাঠ চেরাইয়ের মেশিন, অবৈধ মাটির গাড়ি, চেরাকাঠ সহ পাথারিয়া সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে বনসম্পদের উদ্ধারকার্য অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া, পাথারকান্দির ফার্নিচার ও অবৈধ পাথরবোঝাই দুটি লরি জব্দ করে করিমগঞ্জে নিয়ে আসা হয়। বিনোদনি থেকে এক অবৈধ কাঠ চেরার মেশিন জব্দ করেন করিমগঞ্জের ডিএফও জালনুর আলী,সদর রেঞ্জ অফিসার শিবহরি সিনহা, প্রোটেকশনের রেঞ্জঅফিসার সাদত্ আলী সহ এক বিশাল দল। মিজোরামের সেগুনের ট্রাক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিনোদনী থেকে বলে সূত্রটি খবর জানায়। তাছাড়া লোয়াইপোয়া রেঞ্জে সম্প্রতিকালে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অবৈধ বসবাসকারী উচ্ছেদ আভিযান চলানো হয়েছে মাস দুই এক আগেই । বরাকের প্রথমসারির বনকর্মচারির প্রয়োজনের তুলোনায় সংখ্যা অনেক কম। তবুও বনসম্পদ পাচার কার্যেলিপ্ত মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অতর্কিত অভিযান চলছে। কাছাড়ের সংরক্ষিত বনাঞ্চল ধংস সহ পাথর কোয়ারির দূর্নীতি অভিযোগ উঠেছে।
কোন মন্তব্য নেই