Header Ads

শুভেন্দুর গড়ে দুর্নীতির বাসা--২০০ নেতাকে শোকজ !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
ঠগ বাছতে সত্যিই কী তৃণমূল উজাড় হয়ে যাবে ! সম্প্রতি করোনার আবহে রেশন দুর্নীতি এবং আম্ফানের পর ত্রাণ দুর্নীতিতে জেরবার হতে বসেছে তৃণমূল। প্রশান্ত কিশোরের স্বচ্ছতা দাওয়াই মেনে তৃণমূলে স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় দুর্নীতির পাহাড় প্রমাণ তালিকা বেরিয়ে আসছে। নন্দীগ্রামের পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েতে ধরা পড়েছে অস্বচ্ছতা।

শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে এমন ছবি ধরা পড়ায় স্বভাবতই চাপে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এখন ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া নিয়ে অভিযোগের জেরে নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকার প্রায় ২০০ নেতাকে শোকজ করল তৃণমূল কংগ্রেস। তিন দিনের মধ্যে তাদের টাকা ফেরতের বন্দেোবস্ত করতে বলা হয়েছে।
অভিযোগ, তৃণমূল নেতারা ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে স্বজনপোষণ করেছেন। অর্থাৎ নেতাদের আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে এই টাকা বিলিয়ে দিয়েছেন। বিরোধী পক্ষের নেতারা তৃণমূলের এই দুর্নীতি নিয়ে সরব হওয়ার পরই দলের তরফে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের শোকজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের সামসাবাদ, ভেকুটিয়া ও কেন্দামারি জলপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের দলীয় প্রধানদের শোকজ করা হয়েছে। অঞ্চল সভাপতিদেরও শোকজ করে জানতে চাওয়া হয়েছে, তারা নিজের পরিবারের সদস্যের নামে ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কেন এই স্বজনপোষণ, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া ১ নম্বর ও ২ নম্বর ব্লকের অনে্ক তৃণমূল নেতা--ব্লক স্তর থেকে শুরু করে বুথ সভাপতি পর্যন্ত জড়িত তাদের ঘনিষ্ঠদের টাকা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে। বাড়ির ক্ষতি না হওয়া সত্ত্বেও আত্মীয়স্বজনদের টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখিয়েছে, এমনকী তৃণমূলের পতাকা হাতেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতেই স্যানিটাইজেশনের পদক্ষেপ নিয়েছে তৃণমূল। নন্দীগ্রামের প্রায় ২০০ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তাঁদের পাঠানো হয়েছে শোকজ নোটিশ। তার জবাব পেলেই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে দল। তবে তৃণমূল স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়ায় নেমে বেশ ফ্যাসাদে পড়েছে। এত সংখ্যাক নেতা দুর্নীতিতে জড়িত যে, তাঁদের সাফ করতে গিয়ে না তৃণমূল দলটাই উজাড় হয়ে যায় !
প্রাথমিকভাবে নন্দীগ্রামের ২০০ জনের তালিকা তৈরি হয়েছে। এই তালিকায় সংযোজিত হতে পারে আরও নাম। শুক্রবার থেকেই তাদের শোকজের নোটিশ ধরানো হচ্ছে। এই তালিকায় রয়েছে তিনজন অঞ্চল সভাপতি, তিনজন পঞ্চায়েত প্রধানও। আছে অন্যান্য প্রভাবশালী নেতারাও। তৃণমূলের শক্তঘাঁটিতে এভাবে দুর্নীতি বাসা বাঁধায় বিপাকে দল !

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.