Header Ads

লঙ্কা পুরসভা ব্যবসায়ীদের ওপর "জিজিয়া কর" আরোপ করেছে : চিত্তরঞ্জন পাল


নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, গুয়াহাটি :  অস্বাভাবিক দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে হোজাই বিধানসভা কেন্দ্রের লঙ্কা পুর ব্লক কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গত ৩ জুলাই সার্কেল অফিসারের মাধ্যমে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়েছে। পেট্রোল, ডিজেলের পাশাপাশি অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সামগ্ৰীর দাম বৃদ্ধি হওয়ার দরুণ জনসাধারণ নাজেহাল হতে বাধ্য হচ্ছেন। অসম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন পাল এ প্রসঙ্গে বলেন, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল দ্রব্য মূল্য রোধ করার পাশাপাশি "জাতি-মাটি-ভেটি" অর্থাৎ জাতি-মাটি-ভিটে সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শাসন ক্ষমতায় এসেছেন। যদিও সম্প্ৰতি উদ্যোগপতির স্বার্থে রাজ্যের কৃষিভূমি "সেল্ফ ডিক্লারেশনে" দিয়ে জমি কিনতে পারার ক্যাবিনেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঘোষিত প্রতিশ্রুতির বিপরীত স্থিতি নিয়ে বিজেপি সরকার ভূমিপুত্রের স্বার্থকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে। ওদিকে, স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শিলাদিত্য দেব দলের কিছু সংখ্যক শীর্ষ নেতা কয়লা সিণ্ডকেটের মাধ্যমে ভয়ানক দুর্নীতি করছেন বলে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। চিত্তরঞ্জন পাল এ প্রসঙ্গে বলেন, হোজাই কেন্দ্রে কয়লা ছাড়াও সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি হচ্ছে। যদিও মুখ্যমন্ত্ৰী সনোয়াল এসব দুর্নীতির তদন্ত করার সাহস দেখাতে পারছেন না। শিলাদিত্য দেবের অভিযোগ যদি মিথ্যে প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় অনুশাসনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার সৎসাহস দেখাক মুখ্যমন্ত্রী। লঙ্কা পুরসভা কর্তৃপক্ষ পুর ট্যাক্স দু-হাজার টাকার পরিবর্তে চল্লিশ-পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার্য করেছে। অর্থাৎ কুড়ি গুণ ট্যাক্স বৃদ্ধি করে পুর নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের কোমড় ভেঙে দিয়েছে। ওদিকে, লঙ্কা সুপার মার্কেটের দোকান আবন্টনের ক্ষেত্রেও সীমাহীন দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে। আগামি ২০২১ সালে কংগ্রেস দলের সরকার গঠন হওয়ার পর জনগণকে এই "জিজিয়া কর" থেকে মুক্তি দিয়ে আগের ট্যাক্স পুনর্বার ধার্য করা হবে বলে চিত্তরঞ্জন পাল প্রতিশ্রুতি দেন । সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, করোনা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্তবিশ্ব শর্মা বিরোধী কংগ্রেস দলকে আবদ্ধ করে রাখতে চাইছেনে। কারণ বিজেপি আগামী নির্বাচনে সরকার গঠন করতে যে পারবেনা, সেটা বুঝতে পেরেছে । ফলে ছলে বলে কৌশলে কংগ্রেস নেতাদের কোয়ারেন্টন করে সাংগঠনিক কাজে বাধা সৃষ্টি করতে উঠে পড়ে লেগেছে। ওদিকে, হোজাই সার্কেল অফিসারের মাধ্যমেও জেলার সাধারণ সম্পাদক বিজয় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ধর্ণা কার্যসূচী পালন করার পর স্মারকলিপি প্রেরণ করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.