Header Ads

চরিত্র না জানলে ভাইরাসের মোকাবিলা সম্ভব নয় !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
করোনা সংকটের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভাইরাস সম্পর্কে আগ্রহ বাড়ছে। প্রাণীর মাধ্যমে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শুরু করে নানা ধরনের ভাইরাসের চরিত্র ও বিপদ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে।

সুদান থেকে নাজার ওমর হাসান প্রশ্ন রেখেছেন, ভাইরাস আসলে কী? সহজে এর উত্তর দেওয়া কঠিন। তবে ভাইরাসের কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা যেতে পারে। যেমন, এঁটেল পোকা এফএসএমই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সেটি মানুষকে কামড়ালে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। তখন মেনিনজাইটিস হতে পারে। অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে ড্রপলেট বা জলীয় কণা সংক্রমণ ঘটাতে পারে। অর্থাৎ, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার নানা পথ রয়েছে।
 মনে রাখতে হবে, প্যাথোজেন শুধু জিনগত উপাদান ও একটি সুরক্ষা মোড়ক দিয়ে তৈরি। ভাইরাসের নিজস্ব মেটাবলিজম বা বিপাকীয় শক্তি নেই। তাই বংশবৃদ্ধি করতে সেগুলির মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীর মতো ‘হোস্ট' বা পোষকের প্রয়োজন হয়। সংক্রমণ ঘটলে ভাইরাস পোষক কোষ দখল করে তার মধ্যে নিজস্ব জিনোটাইপ ঢুকিয়ে দেয়। তখন সেই কোষকে বাধ্য হয়ে নতুন ভাইরাস উৎপাদন করতে হয়।
ভাইরাস বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে বিচরণ করতে পারে। যেমন, এইডস ও এবোলার প্যাথোজেন বানর থেকে মানুষের কাছে আসে। ইঁদুর গোত্রের প্রাণী হান্টা ভাইরাস এবং পাখি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটাতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে টিকার মাধ্যমে সুরক্ষা পাওয়া যায়। ফ্লুয়ের মতো ভাইরাস বার বার রূপান্তর ঘটায় বলে সেই টিকার নিয়মিত নবায়ন করতে হয়।
সারভিক্স বা গলদেশের ক্যানসারের জন্য দায়ী প্যাথোজেন থেকেও সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব। অন্যদিকে কিছু ভাইরাস আবার হামলার বদলে উপকার করে। যেমন পারভো ভাইরাস আশেপাশের সুস্থ কোষের কোনো ক্ষতি না করেই শুধু ক্যানসার কোষের উপর হামলা চালায়। গবেষকরা গ্লিওব্লাসটোমাস নামের এক ধরনের আগ্রাসী ব্রেন টিউমারের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভাইরাস থেরাপি কাজে লাগাতে চান।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.