Header Ads

দোকানে -দোকানে উপচে পড়া ভিড়,খাদ্য সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি, বাজারে খাদ্যমন্ত্রীর ব্যাপক অভিযান

নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, ৮ জুলাইঃ

গুয়াহাটিতে করোনার সামাজিক সংক্রমনের ভয়ানক রূপ  নেবার পরও একাংশ লোক নীতি-নিয়ম লঙ্ঘন করে চলেছে। লকডাউন শিথিলের দ্বিতীয় দিনও ছিল মহানগরের বাজারে লোকের ভিড় জমায়েত হতে দেখা যায়।  ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সামগ্রী বিক্রির নামে সামাজিক দূরত্ব লংঘন করতে দেখা গেছে। মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস না পরেই জিনিস পত্ৰ বিক্রি করতে দেখা গেছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। এই পরিস্থিতিতে গণেশগুরি ও ফাঁসি বাজারের ব্যবসায়ীদের সরকারি নীতি নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী পীযূষ হাজারিকা। এদিন সকালে একাংশ আধিকারিকদের নিয়ে মন্ত্রী  হাজরিকা সামাজিক দুরুত্ব লংঘন করে সামগ্রী কেনা বেঁচা করা দোকানগুলো বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য যে লকডাউন শিথিল করা বিগত দুই দিনে লোকেরা খাদ্য সামগ্রী ক্রয় করার জন্য বিভিন্ন দোকানে ভিড় জমিয়েছে । দোকানে দোকানে ভিড় করার ফলে প্রশাসনের সাথে স্বাস্থ্য বিভাগও বিপাকে পড়েছে।

 করোনা ভাইরাসের ব্যাপক গণ সংক্রমণ হবার পর এই সংক্রমণ রোধের জন্য রাজ্য সরকার  গুয়াহাটিতে লক ডাউনের ঘোষণা করে। পরিস্থিতির সুযোগ বুঝে একাংশ অসাধু ব্যবসায়ী খাদ্য সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি করার ফলে অভাবনীয়ভাবে বেড়ে গেছে প্ৰয়োজনীয় খাদ্য সামগ্ৰীর দাম। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাজ্যের খাদ্য ও যোগান মন্ত্রী ফণিভূষণ চৌধুরী ফাঁসি বাজার, পাণ্ডু , গণেশগুরি ইত্যাদি এলাকার বিভিন্ন বাজার ও গুদাম পরিদর্শন করেন।  সেইসঙ্গে তিনি খাদ্য সামগ্রী মজুদ সংক্ৰান্ত তথ্যও সংগ্রহ করেন।
 এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন প্রতিটি খাদ্য সামগ্রী পাইকারী ও খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।  নির্ধারণ করে দেওয়া মূল্যের বেশি দাম নিলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি সাধারণ মানুষকে আশ্বাস দিয়ে বলেন -  রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য সামগ্রী মজুদ আছে। 

উল্লেখ্য যে পাণ্ডুর বড়বাজারও খাদ্য মন্ত্রী পরিদর্শন করেছেন । স্থানীয় লোকেরা মন্ত্রীকে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কথা জানান।  কিন্তু কিছু স্থানীয় একাংশ বিজেপি কর্মী খাদ্য মন্ত্রীকে মূল্যবৃদ্ধি হয়নি বলে জানান। এর ফলে স্থানীয় লোকেরা রেগে গিয়ে ১০০ টাকা কিলো টমেটো কিনে এর প্রাতিবাদ করেন। অবস্থা দেখে মন্ত্রী ফণিভূষণ চৌধুরী বাকি বাজার পরিদর্শন না করে সেখান থেকে চলে  যান।

লকডাউন এর সময়ে জনসাধারণের সুবিধার্থে বুধবার থেকে মহানগরে মোট ১৩৩টি ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় মোট ২৬ ধরনের শাক সব্জি বিক্ৰির ব্যবস্থা করেছে কামরূপ (মেট্ৰো) জেলা প্ৰশাসন। জেলা প্ৰশাসনের নিৰ্দেশিকা মতোই শাক সব্জিগুলোর দাম নিৰ্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। 

সেইমতে প্ৰতি কেজি ঝিঙার মূল্য ৪৫ টাকা, চাল কুমড়ো ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বরবটি (ল্যাছরা) ৪৫ টাকা, উচ্ছে ৪৫ টাকা, মিস্টি কুমড়ো ২৫ টাকা, ভেণ্ডি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫ টাকা, মূলা ৪০ টাকা।

অন্যদিকে, কাঁচালঙ্কা ৬৫ টাকা, গাজর ৯৫ টাকা, ফ্ৰেঞ্চবিন ৯৫ টাকা, ভোল ৩৫ টাকা, শশা ৩৫ টাকা, লাউ ৪০টাকা, মটরশুটি (কড়াইশুটি)৯০টাকা, লেবু ৫ টাকা, বেগুন ৪৫ টাকা, কাক্ৰল ৫০টাকা, ধনে পাতা একমুঠো ৫ টাকা, ক্যাপসিকাম ৯০ টাকা, ওলকপি ৪৫ টাকা, আলু ৩০ টাকা, টমেটো ৫৫ টাকা, কচু ৪০ টাকা, ধুন্দুল ৩০ টাকা দরে মহানগরের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।



কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.