সংঘাতের মাঝেই তাইওয়ানে বিশেষ কূটনীতিক পাঠাচ্ছে দিল্লি !!
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
সীমান্ত সংঘাত নিয়ে চিনকে জবাব দিতে তাইওয়ানকে গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত। তাইপেতে বিশেষ দূত পাঠাচ্ছে দিল্লি। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব গৌরাঙ্গলাল দাসকে তাইওয়ানে পরবর্তী বিশেষ দূত নিয়োগ করার কথা রয়েছে।
এক চিন নীতির কারণে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানে কোনও রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করতে পারে না। তবে, কূটনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য তাইপেতে একটি সরকারি দফতর রয়েছে। এই দফতর ভারত-তাইপেই অ্যাসোসিয়েশন নামে পরিচিত। গৌরাঙ্গলাল দাসকে এই অ্যাসোসিয়েশনের ডিরেক্টার জেনারেল পদে নিয়োগ করা হবে। এতদিন এই দায়িত্বে ছিলেন শ্রীধরণ মধুসূধণন। সেই সাথে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ভারতে নতুন রাষ্ট্রদূত হয়ে আসছেন তাইওয়ানের প্রবীণ কুটনীতিবিদ বাউশুয়ান গের।
এদিকে কুটনীতিবিদরা বলছে, নয়া দূত নিযুক্ত করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে নতুন রূপ দিতে চাইছে তাইওয়ান। বাণিজ্য থেকে শুরু করে কৌশলগত সম্পর্ক আরো মজবুত করার চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি-তাইপেই।
অন্যদিকে ভারতে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত সান ওয়েইডং শুক্রবার বিবৃতিতে বলেছিলেন যে, আমাদের (ভারত-চিন) পারস্পরিক স্বার্থ এবং উদ্বেগকে সম্মান করতে হবে, এবং একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলতে হবে।
তবে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার ক্ষেত্রে অনেকটাই সচেতন সাবধান সাউথ ব্লক। কয়েকদিন আগেই তিব্বতী ধর্মগুরু দলাই লামার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাননি প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লাদাখে চলা সংঘাতের আবহে এক চিন নীতিতে আঘাত করতে চাইছে না কেন্দ্র। এই মুহূর্তে লাদাখ সংলগ্ন সীমান্তকে এপ্রিল মাসের অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়াই হচ্ছে দিল্লির প্রধান উদ্দেশ্য। কিন্তু গোপনে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরালো করার কাজও চলছে সমানতালে।
২০১৪ সালে মোদীর শপথ অনুষ্ঠানে ভারতে তাইওয়ানের প্রতিনিধি চুং কুয়াং তিয়েনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। একই সঙ্গে আমন্ত্রিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তিব্বতী প্রশাসনের প্রেসিডেন্ট লবসাং সাঙ্গে। কয়েক সপ্তাহ আগেই বিজেপির দুই সংসদ সদস্য মীনাক্ষী লেখি এবং রাহুল কাসওয়ান তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট টি ওয়েনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালভাবে অংশ নিয়েছিলেন। তারপরই তাইওয়ানের রাষ্ট্রদূত হিসাবে ভারত গৌরাঙ্গলাল দাসকে নিয়োগ করছে।
কোন মন্তব্য নেই