Header Ads

শি জিনপিংকে একঘরে করে ভারতের পাশে গোটা বিশ্ব !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
 
লাদাখে চিন নিজেদের বাহুবল দেখিয়ে ভারতকে কাবু করবে ভেবেছিল। তবে বেজিংয়ের সেই আশায় জল ঢেলেছে ভারতীয় সেনার অদম্য দেশপ্রেম। এরই মাঝে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারত সমর্থন পেয়েছে চিনের দখলদারি মানসিকতার বিরুদ্ধে। এবার সেই তালিকায় যোগ হল জাপানের নাম।
করোনা আবহে শি জিনপিংয়ের জাপান সফর বাতিল করতে চলেছে টোকিও। প্রাথমিক ভাবে এপ্রিল মাসে সেই সফর হওয়ার কথা থাকলেও করোনার জেরে তা পিছিয়ে গিয়েছিল। তবে পরবর্তীতেও এই সফরের উপর প্রশ্ন চিহ্ন ঝুলিয়ে দিয়ে এবার বড় পদক্ষেপ নিতে পারে জাপান। 
 
এদিকে চিনের বিরুদ্ধে আগেই জোট বেঁধেছিল বিশ্বের ৮টি দেশ। বিশ্বের আটটি অন্যতম শক্তিধর দেশের একটি জোট এই সিদ্ধান্ত নিয়ছে। এই জোটে আমেরিকা, গ্রেট ব্রিটেন, জার্মানি, জাপান ছাড়াও রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইডেন, নরওয়ে সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন সাংসদ।
এই দেশগুলির আইনপ্রণেতারা আলোচনায় বসে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, চিন ক্রমেই বিশ্ব অর্থনীতি ও মানবাধিকারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এছাড়া বিশ্ব সুরক্ষার ক্ষেত্রেও চিন বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর জেরে চিনকে রুখতে একজোট হতে চলেছে এই দেশগুলি। হংকং ও উইঘুর মুসলিমদের উপর চিনা অত্যাচারও এই ৮টি দেশের জোটের চিন্তার কারণ।
এই জোট এমন এক সময়ে তৈরি হল যখন আমেরিকা জি ৭-এর মাধ্যমে চিনকে একঘরে করতে উদ্যত হয়েছে। ভারত, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে জি ৭-এর আমন্ত্রিত দেশগুলির তালিকা সম্প্রসারণ করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। এই কারণে জি ৭-এর সম্মেলন স্থগিত রেখেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই আবহেই মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে জি ৭ বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান ট্রাম্প।
এর আগে চিনের লাদাখ নীতি নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন ভারতে নিযুক্তি জাপানের রাষ্ট্রদূত সাতোশি সুজুকি। তাঁর কথায়, ‘বিদেশ সচিব শ্রিংলার সঙ্গে খুব গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। লাদাখের এলএসি নিয়ে ভারতের শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার ইচ্ছার আমি প্রশংসা করি। জাপানও এই অশান্ত পরিস্থিতি যাতে মিটে যায়, তা চায়। জাপান কোনও ভাবেই কোনও একটি শক্তির জোর জবরদস্তির জেরে ভৌগলিক মানচিত্রের বদলের পক্ষে নয়।’
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই জাপানের সঙ্গে মিলে ভারতীয় মহসাগরে যৌথ মহড়া দেয় দুই দেশের নৌবাহিনী। দক্ষিণ চিনের খুব কাছেই দুই দেশের এই নৌবাহিনীর মহড়া নিশ্চিত ভাবে রক্তচাপ বাড়িয়েছে চিনের। লাদাখ নিয়ে উত্তেজনার মাঝেই চিনকে চাপে রাখতে ভারতের এই যৌথ মহড় খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সময়ও ভারতে জাপানের রাষ্ট্রদূত সাতোশি সুজুকি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে এই যৌথ মহড়ার ছবি পোস্ট করে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করার অঙ্গীকার পেশ করেছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.