Header Ads

ডিমা হাসাওয়ে করোনা আক্রান্ত ডাক্তার, জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৪

 বিপ্লব দেব, হাফলং, ২৮ জুলাইঃ ডিমা হাসাও জেলায় এবার কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত হলেন এক মহিলা ডাক্তার। হাফলং সরকারি হাসপাতালের এই চিকিৎসকের দেহে মঙ্গলবার করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানা গেছে কিছু দিন আগে ওই ডাক্তার দিয়ুংমুখ চেক পোষ্টে কর্তব্যরত ছিলেন। যেখানে ডিমা হাসাও জেলার বাইরে থেকে আসা ব্যক্তিদের র‍্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষা করা হয়। সন্দেহ করা হচ্ছে এই চেকপোষ্টে করোও সংস্পর্শে আসার কারণেই  তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

 বর্তমানে কোভিড আক্ৰান্ত ডাক্তারকে হাফলং সরকারি হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে জেলায় কভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬৪ জন। তবে এরমধ্যে ১৪৯ জন রোগীই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বর্তমানে ১৫ জন রোগীর চিকিৎসা চলছে হাফলং সরকারি হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে। এদিকে এখন থেকে বহিঃরাজ্য থেকে আসাদের ১৪ দিনের জায়গায় ১০ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে তা সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হোটেল কোয়ারেন্টাইন বা হোম কোয়ারেন্টাইনে। তবে বহিঃরাজ্য থেকে ফিরে আসা ব্যক্তিরা চাইলে নিজে থেকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পারবেন। এছাড়া করোনা আক্রান্ত রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনের বদলে ৭ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে এমনই নির্দেশ জারি করা হয়েছে জেলা দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগ (ডিডিএম)-র বিভাগ থেকে।

এখানে উল্লেখ্য করা যেতে পারে, রাজ্যে কোভিড ১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তারপর ও হাফলং শহরে একাংশ মানুষের মধ্যে সচেতনতা আসেনি। সামাজিক দূরত্ব স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না বাজারে বিভিন্ন সামগ্রী কিনতে আসা মানুষ। ডিমা হাসাও জেলাপ্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি করা নির্দেশ বাজারে প্রতিটি দোকানে স্যানিটাইজার রাখা বাধ্যতামূলক, এমনকি ব্যবসায়ীদের মাস্ক বাধ্যতামূলক এবং ব্যবসায়ীদের নিজ নিজ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান দোকানের সামনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে, করোনা প্ৰতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আর যে সব ব্যবসায়ীরা এই নির্দেশ অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্ৰশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.