Header Ads

‘তৃণমূল ওর উপর চাপ দিতে শুরু করেছিল’, মেহতাবের দলত্যাগ প্রসঙ্গে সাফাই দিলীপের !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়

  “মেহেতাবের উপর প্রথম থেকেই চাপ ছিল পরিবার ও তৃণমূলের, প্রাক্তন ফুটবলারের দলত্যাগের পিছনে লুকিয়ে থাকা কারণ এগুলিই”, দাবি রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের। “ভয় দেখিয়ে মেহতাব হোসেনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দল ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে”--এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুও। তবে সত্যিই কী পরিবার বা শাসকদলের চাপেই সিদ্ধান্ত বদল? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও স্পষ্ট নয়।

২১ জুলাই তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ভারচুয়াল সভায় বক্তব্য রাখছিলেন সেই সময়ই গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান ময়দানের অতি পরিচিত মুখ মেহতাব হোসেন। সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতেই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বলে জানান তিনি। মেহতাবের হাতে পতাকা তুলে দিয়ে তাঁকে পদ্মশিবিরে স্বাগত জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মেহতাব জানিয়েছিলেন, ধর্মের নামে বিজেপি রাজনীতি করে বলে অনেকেই অভিযোগ তোলে। কিন্তু তাঁর তেমনটা মনে হয়নি। বরং দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কথা বলে তাঁর বেশ ভালই লেগেছে। অনেক চিন্তাভাবনা করেই এই পার্টিতে নাম লিখিয়েছেন তিনি। কিন্তু রাত পেরতে না পেরতেই সিদ্ধান্ত বদল করেন প্রাক্তন ফুটবলার। তিনি জানান, আপাতত রাজনীতির আঙিনায় পা রাখার কথা ভাবছেন না। বিজেপিকে ইতিমধ্যেই নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। দলে যোগ দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মেহতাবের এই সিদ্ধান্তে অস্বস্তি বাড়ে গেরুয়া শিবিরের।
এরপর বুধবার দুপুরে এ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। মেহতাব হোসেনের দলত্যাগের পিছনে পারিবারিক চাপকে দায়ী করেন তিনি। তবে গোটা ঘটনার পিছনে তৃণমূলের বড় ভূমিকা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। বলেন, “তৃণমূল ওর উপর চাপ দিচ্ছে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই।” একই সুর সায়ন্তন বসুর গলায়ও। তাঁর কথায়, “ভয় দেখিয়ে ওকে বিজেপি ছাড়ানো হচ্ছে এবং অন্য দলে জোর করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই তো রাজ্যের গনতন্ত্রের চেহারা।” জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, এ ঘটনাতেই প্রমাণিত যে বাংলার কি অবস্থা। তবে বিজেপির এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সুযোগ নিতে ছাড়েনি বামেরাও। ব্যঙ্গাত্মক সুরে শতরূপ ঘোষ বলেছেন, “বিজেপি-র একদিনের মধ্যে ফাঁকা হয়ে গেল’!”

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.