Header Ads

হংকং থেকে আমেরিকায় গিয়ে চিনের বিশেষজ্ঞ বললেন চিন-ই ছড়িয়েছে করোনা !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়

মহামারী করোনার প্রকোপ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে এখনো পর্যন্ত করোনা নিয়ে অনেকই অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছে। আর এই নিয়ে চারিদিকে পরস্পরবিরোধী বিতর্ক চলছেই। আমেরিকা থেকে ইউরোপের অনেক দেশই করোনার জন্য বারবার চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, চিন করোনার তথ্য গোটা বিশ্বের সামনে লুকিয়েছে। যদিও চিনের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেছে বেজিং। চিন জানিয়েছে যে, তারা যখন এই ভাইরাসের মারক ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে পারে, তখনই তারা বিশ্ব স্বাস্থ সংগঠনকে (World Health Organistaion) জানায়। কিন্তু এখন হংকং এর এক জীনা বিশেষজ্ঞ চিনের এই দাবি নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছেন।

হংকং থেকে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে আমেরিকায় পৌঁছনো এই বৈজ্ঞানিক জানিয়েছেন যে, করোনা ভাইরাস সম্পর্কে চিন অনেক আগে থেকেই জানত, কিন্তু তারা বিশ্বের কাছে সমস্ত তথ্য লুকিয়েছে। উনি এও বলেন যে, তথ্য গোপনের কাজ সরকার নিজেই করেছে।

হংকং স্কুল অফ পাবলিক হেলথের বায়োলজি আর ইম্যুলজির বিশেষজ্ঞ লি-মেঙ্গ ইয়ান (li meng yan) ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিনকে নিয়ে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছেন। উনি জানিয়েছেন যে, প্রথমের দিকেই রিসার্চে ওঁর সুপারভাইজার করোনাকে উপেক্ষা করেছিলেন। উনি এই ফিল্ডে বিশ্বের টপ এক্সপার্ট। লি জানান, চিন যদি তথ্য না গোপন করতে তাহলে অনেক মানুষের প্রাণ বাঁচানো যেত।
লি জানান, করোনা নিয়ে পরীক্ষা করা বিশ্বের প্রথম বিজ্ঞানীদের মধ্যে তিনি একজন। তিনি বলেন, ‘চিন সরকার বিদেশি এমনকি হংকং বিশেষজ্ঞদের এই পরীক্ষায় যুক্ত করবে না বলে জানিয়েছিল। যে সমস্ত ডাক্তার আর বিশেষজ্ঞরা প্রথমেই এই ভাইরাস নিয়ে কথা বলেছিলেন, তাদের চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। উহানের ডাক্তার আর বিজ্ঞানীরাও মুখ বন্ধ করে থাকেন, এবং তাঁদের সবাইকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানানো হয় যে, তাদের থেকে যেন কোন তথ্য না চাওয়া হয়।
লি জানান, ওই ডাক্তাররা আমাদের বলেছিলেন যে, আমরা এটা নিয়ে কোনো কথা বলতে পারব না। কিন্তু আমাদের সবার মাস্ক পরে থাকা অত্যন্ত জরুরী। লি জানান, এরপরই এই মারক ভাইরাস একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই আমি সেখান থেকে পালানোর চিন্তাভাবনা করি।
লি জানান, সেই সময় আমার কাছে শুধু পাসপোর্ট আর পার্স ছিল, আমি বাকি সবকিছু ছেড়ে চলে এসেছি। ওঁরা আমাকে ধরলে জেলে ঢুকিয়ে দিত অথবা গায়েব করে দিত। লি এও জানান যে, চিনের সরকার তাদের ওপর প্রভাব খাটাচ্ছিল আর সরকারি গুণ্ডারা তাদের চুপ করানোর জন্য সাইবার অ্যাটাক করাচ্ছিল। লি জানান, হংকং সরকার আমার বাড়িঘর ভেঙে ফেলে আর আমার মা-বাবাকে জেরার পর জেরা করে। লি জানান, আমার মা-বাবার প্রাণ সংশয় রয়েছে। যে কোনো মযহূর্তে তাদের মেরে ফেলা হতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.