লকডাউন: অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর দাম আকাশছোঁয়া
নয়া ঠাহর প্রতিবেদন।
করোনা সংক্রমণ রুখতে রবিবার ২৯ জুন থেকে গুয়াহাটিতে শুরু হচ্ছে ১৪ দিনের লক ডাউন। সরকারের এই ঘোষণার পরই বাজারে গিয়ে দেখা গেল বাজারে উপচে পরা ভীড়। ক্রেতাদের সকলের মনে একটাই ভয় যদি লক ডাউনে কিছু না পাওয়া যায় তাহলে তো না খেয়ে মরতে হবে। সবারই দাবি আগে নিজেরটা তো হোক, পরের কথা পরে চিন্তা করা যাবে।
উল্লেখ্য যে নগরের বিভিন্ন বাজার যেমন বেলতলা, ফাঁসী বাজার,পাণ্ডু বাজার, বামুনিমৈদাম ইত্যাদি নগরের বিভিন্ন বাজারে সর্বত্রই দেখা গেল উপচে পড়া ভীড়।লক ডাউনের সময় যাতে কোনো কিছুর ত্রুটি না হয় সেদিকে নজর রাখতে তাই বহু মানুষ প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বেরিয়ে পড়েছেন। লকডাউন চলাকালীন কিভাবে চলবে এ নিয়ে ঘোর চিন্তার সাধারণ মানুষ। খাদ্যসংকটে যাতে না পড়তে হয় তাই আগে থেকে চলছে সংগ্রহ করে রাখার প্রক্রিয়া। তবে বাজারে ভিড় দেখে সচেতন লোকেরা স্বভাবতই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। বাজারে এভাবে ভীড় জমানোর ফলে সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে ।
১৪ দিনের লকডাউনের আগে বাজারের জিনিসপত্রের দাম হয়েছে আকাশছোঁয়া। ওদিকে বেড়েছে আলুর দাম। এক কেজি আলুর দাম ৬০ টাকা কিনলে কিনো না কিনলে নাই। এক টাকাও কম নয় ।ফলে অনেকেই বাজার না করে ঘরে ফিরতে হয়েছে।
কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ বুঝে জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ফলে লক ডাউনের সময় দিন হাজিরা করা লোকদের কিভাবে চলবে। ১৪ দিন কিভাবে কাটবে লকডাউন জীবন। অন্যদিকে বাজারে সব্জির দামও আগুন। চাল, ডাল ইত্যাদি সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে । সব্জির বাজারে ঝিঙ্গা ,ভেন্ডি, মিষ্টি কুমড়া ,শসার মূল্য ১০০ টাকা প্রতি কেজি,গাজর ২০০ টাকা প্রতি কেজি ।এই মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ করার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সরকার।নীরব খাদ্য ও যোগান মন্ত্রী ফণীভূষণ চৌধুরী ,নীরব কামরূপ মহানগর খাদ্য ও অসামরিক যোগান বিভাগ। হাতে আছে একটা মাত্র দিন রবিবার। সেই জন্য বাজারে বাড়ছে ভিড়। তবে লক ডাউনের সময় শ্রমজীবী মানুষের বন্ধ হবে উপার্জন। তাদের বাজার করার সামর্থ্য বর্তমানে নেই। তাই অনেকেই মূল্যবৃদ্ধির কথা চিন্তা করে বাজার না করেই খালী হাতে বাড়ি।ফিরেছেন।
কোন মন্তব্য নেই