Header Ads

বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার খরচ বেঁধে দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
আক্রান্তের সংখ্যা যখন হু হু করে বাড়ছে তখন বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসার খরচের সীমা বেঁধে দিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। গতকাল শুক্রবার (২৬ জুন) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার খরচ ২ হাজার ২৫০ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না।

এছাড়া করোনা রোগীর চিকিৎসকদের কনসালট্যান্ট ফি বাবদ এবং পিপিইসহ অন্যান্য সুরক্ষা সরঞ্জামের দৈনিক খরচ এক হাজার টাকার বেশি হবে না। এ তিনটি বিষয়ের পর আরো কিছু খাতেও খরচের সীমা বেঁধে দেবে সরকার। এটি দু-তিন দিনের মধ্যে জানানো হবে।
তবে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনেকে বলছেন, যেসব রোগীর করোনার পাশাপাশি অন্য অসুখ রয়েছে, তাদের জন্যও প্রতিদিন চিকিৎসকদের ‘কনসালট্যান্ট ফি’ বাবদ এক হাজার টাকাই বরাদ্দ কিনা, তা সরকারি নির্দেশিকায় স্পষ্ট করা হয়নি। করোনার পাশাপাশি যাদের কো-মর্বিডিটি (ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি) রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এই খরচে চিকিৎসা দেওয়া কঠিন হবে।
এছাড়া গত মে মাসে সরকারের অর্থবিভাগের মেডিক্যাল সেল দৈনিক ন্যূনতম চারটি এবং সর্বোচ্চ ছ-টি পিপিই ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল। সেখানে তিন ধরনের দামের কথা বলা হয়েছিল, যথা : ৩৮৬, ৪৪২ ও ৪৭৯ টাকা। রাজ্য সরকারের নতুন নির্দেশনার সঙ্গে মে মাসের নির্দেশনার সামঞ্জস্য নেই বলেও মনে করছেন অনেকে। তাছাড়া কভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসকদের উৎসাহ ভাতা দিচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালগুলো, পাশাপাশি সর্বোচ্চ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে গিয়ে আনুষাঙ্গিক খরচও বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অ্যাসোসিয়েশন অব হসপিটালস অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, এই কঠিন সময়ে তারা রাজ্যের নির্দেশিকা মানতে রাজি। কিন্তু চিকিৎসকদের কনসালট্যান্ট ফি ও পিপিইর খরচের সীমা পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করেছেন তারা।
উল্লেখ্য, শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪২ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যায় এটিই সর্বোচ্চ। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.