কাশ্মীরের পুলওয়ামায় খতম জইশ-ই-মহম্মদের বোমা বিশেষজ্ঞ আবদুল রেহমান ওরফে ফৌজি ভাই
নয়া ঠাহর ওয়েব ডেস্ক, ৩ জুন : কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সেনা,
সিআরপিএফ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের স্পেশাল বাহিনীর হাতে বুধবার খতম হল জইশ-ই-মহম্মদের বোমা বিশেষজ্ঞ ফিদাঁয়ে হামলার প্রশিক্ষক আবদুল রেহমান ওরফে ফৌজি ভাই ওরফে লম্বু। পুলওয়ামার কঙ্গন গ্রাম লাগোয়া আস্তান মহল্লা এলাকায় লুকিয়ে থাকা ফৌজি ভাই ও তার সঙ্গীরা ওই এলাকায় সেনার উপস্থিতি টের পেয়ে গোপন আস্তানা থেকে গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করে সেনা। যার জেরে ঘন্টাখানেকের লড়াইয়ের পর ফৌজি ভাই সহ তিন জঙ্গি খতম হয়। ফৌজি ভাইয়ের সঙ্গে নিকেশ হয়েছে পুলওয়ামার করিমবাদ গ্রামের বাসিন্দা জইশের আর এক আগ্নেয়াস্ত্র বিশেষজ্ঞ জাহিদ মনজুর ওয়ানি ও শোপিয়ানের বাসিন্দা মনজুর আহমেদ কার। এই নিয়ে উপত্যকায় গত ২৪ ঘন্টায় জইশের পাঁচ জঙ্গিকে খতম করল সেনা। মঙ্গলবারই দুই জইশ জঙ্গিকে খতম করেছিল সেনা।
গোয়েন্দা সূত্রের মতে , জইশের বোমা বিশেষজ্ঞ ফৌজি ভাই পাকিস্তানের মুলতানের বাসিন্দা। ২০১৮ সালে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে এদেশে ঢোকে। অস্ত্র চালনা সহ বোমা বানানো ও বিস্ফোরক তৈরিতে পাকা হাত ছিল ফৌজি ভাইয়ের। ডেরা ও নাম পাল্টে-পাল্টে উপত্যকায় নানা নাশকতা চালাত সে। মোবাইল ফোন ব্যবহার করত না। স্যাটেলাইট ফোনে যোগাযোগ রাখত পাকিস্তানের জইশ শিবিরের সঙ্গে । কখনও ফৌজি ভাই,
কখনও ইসমাইল,
কখনও হায়দার অথবা লম্বু নামে পরিচয় দিত সে।
গত ২৭ মার্চ রাজপোরা চেকপোস্টের কাছে গাড়িবোমা বিস্ফোরণের ছক কষেছিল ফৌজি ভাই। তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল গত বছরের সিআরপিএফ কনভয়ে হামলার পেছনেও। গাড়িবোমা তৈরি ও আত্মঘাতী হামলা কিভাবে চালাতে হয় তার খুঁটিনাটি নখদর্পণে ছিল ফৌজি ভাইয়ের। কমবয়সীদের মগজ ধোলাই করে ফিদাঁয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া সহ সব কাজই করত সে। একবছর ধরে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় নাম ছিল তার।
কোন মন্তব্য নেই