বাঘজানে তেল গ্যাস ধোঁয়া নির্গত হওয়ার সঙ্গে মৃদু ভু-কম্পন আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী তদন্ত ঘোষণা করলেন
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : তিনসুকিয়া জেলার বাগজানের তেলকূপ থেকে তেল
গ্যাসের সঙ্গে আগুনের লেলিহান শিখা আজ প্রায় ১৫ দিন বাদেও চারপাশে দূষণ ছড়াচ্ছে। গতকাল থেকে নতুন আতঙ্ক ভূগর্ভস্থ থেকে তেল
গ্যাস উত্তোলনের ফলে মাটি কেঁপে কেঁপে উঠছে বলে বাঘজান, মাগুরবিল এলাকার মানুষ অভিযোগ করেছে। অনেক ঘর
বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। কয়েকশো ভুক্তভোগী ঘরবাড়ি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আছেন।
মুখ্যমন্ত্রী আজ বাঘজানের ঘটনা তদন্তের জন্য অতিরিক্ত মুখ্য সচিব মনীন্দ্র সিংয়ের নেতৃত্বে
এক কমিটি গড়ে দিয়েছেন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, অয়েল ইন্ডিয়া ডিলিং বিভাগের দুই অফিসার দেবজিৎ দাস ও পবন দাসকে সাসপেন্ড
করেছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত দুই অগ্নি নির্বাপক বিভাগের কর্মী দুর্লভ গগৈ ও তীর্থেশ্বর
গোহাই শহিদ ঘোষণা করে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও নিকট পরিজনের একজনকে চাকরি দেওয়ার
আশ্বাস দিয়েছে অয়েল কর্তৃপক্ষ। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ আজ গুরুতর অভিযোগ
করে বলেন, ওয়েল ইন্ডিয়ার
ভুলের জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটল।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, এখনো কেন কেন্দ্রীয়
পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ঘটনাস্থলে গেলেন না? মুখ্যমন্ত্রী কেন সেখানে যাওয়ার সময় করে উঠতে পারলেন না। তার অভিযোগ কেন্দ্রীয়
সরকার অয়েল ইন্ডিয়াকে বেসরকারিকরণ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। পেট্টলিয়াম গ্যাস
ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের নেতা নগেন চুতিয়া আজ অভিযোগ করেন বাঘজানে অয়েল ইন্ডিয়ার বদলে
গুজরাটের জন এনার্জি কোম্পানি লিমিটেড কোম্পানি নিয়ম-নীতি না মেনে তেলকূপ খনন করছে। এস ও পি মানছে না বলে দুর্ঘটনা ঘটল। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের ক্ষতিপূরণ দেবার
দাবি জানান। এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে সি পি আই। সিআইটিইউ-র রাজ্য
কমিটি এই ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ভুল নীতিকে দায়ী করেছে। গুইজান ত্রাণ
শিবিরে গতকাল মরান ছাত্রসন্থা সহ অন্যান্য সংগঠন ২০১টি প্রদীপ জ্বালিয়ে মৃত
শ্রমিকের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারী ঘটনাস্থলে
আছেন। তার এক বেফাঁস মন্তব্য, বাঘজানবাসী ভালোভাবে
মেনে নেয়নি। তিনি বলেন, ইরানের মত দেশে এর থেকে বড় ঘটনা ঘটে, উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। দুদিন বাদে সব ঠিক
হয়ে যাবে।
কোন মন্তব্য নেই