Header Ads

কেরলে অন্তঃসত্ত্বা হাতিকে বাজি ঢোকানো আনারস খাইয়ে নৃশংসভাবে খুন! কী দোষ ছিল হাতিটার

  রিংকি মজুমদার 

এমন কাজও মানুষ করতে পারে! লজ্জা হচ্ছে মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েছি। কেরলের মালাপ্পুরম জেলায় অন্তঃসত্ত্বা একটি হাতিকে নৃশংসভাবে খুন করা হল। অ্যাতো নিষ্ঠুরভাবে খুন করতে পারল জগত শ্ৰেষ্ঠ জীব মানুষ। ভাবতেই অবাক লাগে। বুনো হাতিটিকে পাকা আনারসের ভেতরে বাজি ঢুকিয়ে খেতে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই আনারস খেয়েই মুখের ভেতরে বিস্ফোরণ হয়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় হাতিটির মুখ, জিভ, চোয়াল। ভেঙে যায় দাঁত। তারপর অসহ্য যন্ত্ৰণা আর খিদে নিয়ে সারা গ্ৰাম হেঁটে বেড়ায় হাতিটি। জ্বালা যন্ত্ৰণা কমাতে জলাশয় খুঁজছিল হাতিটি। তারপর অতি কষ্টে নিজেই খুঁজতে খুঁজতে পৌঁছে যায় ভেলিয়ার নদীতে। পেটের সন্তানটা যদি বাঁচতো! গত ২৭ মে’র এই ঘটনা মোচর দিয়েছে যে কোনও স্বহৃদয় মানুষের মনকে। তিন দিন পৰ্যন্ত নদীর জলে ঠায় দাঁড়িয়ে ছিল হাতিটি। চিকিৎসার জন্য চেষ্টা করা হলেও কেউ তাকে ওই জায়গা থেকে নড়াতে পারেনি। তিন দিন পর ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে। এই ঘটনা যে কোনও প্ৰকৃতিপ্ৰেমী পশুপ্ৰেমীর কাছে বেদনাদায়ক। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যেই সারা দেশে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। দাবি উঠেছে দোষীর উপযুক্ত শাস্তি হোক। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বন্যপ্ৰাণী সংরক্ষণ আইনের অধীনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার মন্নরকড ফরেস্ট রেঞ্জের এক অফিসার সংবাদ মাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন। 
ছবি, সৌঃ ইন্টারনেট

এই জগতে বেঁচে থাকার অধিকার সকলের আছে। সবথেকে বিষ্ময়ের কথা, যে রাজ্যে হাতিকে স্বয়ং ভগবান হিসেবে পুজো করা হয় সেই রাজ্যে হাতির এমন নৃশংস খুন খবুই বেদনাদায়ক।

একেই অতিমারী কোভিড-১৯এর প্ৰকোপে সারা বিশ্ব জুড়ে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছে মানুষ। চারদিকে লকডাউন, কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা হচ্ছে। মানুষ ঘরের ভেতরে বন্দি হয়েছে। পথে লোকালয়ে মুক্ত ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে জঙ্গলের পশু, পাখি, হরিণ। প্ৰকৃতি, আলো, জল, হাওয়া, মাটি বিশুদ্ধ হয়েছে। প্ৰকৃতি নিজের মতো করে সুস্থ হচ্ছে। প্ৰকৃতি, প্ৰাকৃতিক সম্পদ, পশু- পাখি বাঁচলে আমরা বাঁচবো। তারপরও আমাদের শিক্ষা হচ্ছে না। নৃশংসভাবে অন্তঃসত্ত্বা হাতির খুন করলাম। কী দোষ ছিল হাতিটার। মানুষের কি আরও শিক্ষা হওয়ার বাকি আছে? সচেতন মহলে এই প্ৰশ্নই এখন ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে।      

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.