Header Ads

করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের ফলে আর্থিক সংকটে রাজ্যের মৃৎশিল্পীরা



দেবযানী পাটিকর,গুয়াহাটি
 দেশে ক্রমশই বাড়ছে করোনা আতঙ্ক। করোনা সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে রাজ্যেও ।এই মারাত্মক রোগের ছড়িয়ে পড়া রুখতে প্রায় ছয়  সপ্তাহ ধরে লক ডাউন জারি  রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার ।কিন্তু এর মাঝেও রাজ্যে কনটেইনমেন্ট জোনগুলির সংখ্যা লাফিয়ে - লাফিয়ে বাড়ছে তা সবার কাছেই তীব্র আতঙ্কের  কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
করোনা সংক্রমণের জন্য  পুজো পার্বনও বর্তমানে বন্ধ। ফলে আর্থিক অনটনে পড়েছেন রাজ্যের মৃৎ শিল্পীরা। শারদোৎসবে মণ্ডপে যাদের তৈরি চোখজুড়ানো প্রতিমা থাকে সেই মৃৎশিল্পীরা বর্তমানে  করোনা সংক্রমণের জন্য রয়েছেন আর্থিক কষ্টে। রাজ্যে প্রায় এক লাখ মৃৎশিল্পী রয়েছে এর মধ্যে গুয়াহাটিতে রয়েছে এক হাজারের বেশি মৃৎশিল্পী এদের সবার অবস্থা বর্তমানে খুবই শোচনীয় ।মৃৎশিল্পীদের একমাত্র সংগঠন ব্রহ্মপুত্র ভ্যালি রুদ্রাপাল সমিতি তাঁরা তদের দুঃখ-দুর্দশার বিষয় নিয়ে রাজ্যের শিক্ষা তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সম্প্রতি পত্রযোগে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন যদিও আজ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
বর্তমানে দেশে চলছে পঞ্চম পর্যায়ের লক ডাউন। এই অবস্থায় পরিবার প্রতিপালন করতে যথেষ্ট অসুবিধার সম্মুখীন হতে লাগছে এই শিল্পীদের এবং এর সাথে জড়িত সমস্ত লোকদের।




বিগত ২৪মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণের জন্য  দেশে লক ডাউন চলার ফলে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় বাস করা মৃৎশিল্পী সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকা সমস্ত লোকেরাদের এখন অচল অবস্থা।  এদের বেশিরভাগই মাটির মূর্তি, ,বাসন ,খেলার ও  ঘর সাজানোর সামগ্রী তৈরি করে বিক্রি করে ও পরিবার প্রাতিপালন করেন। কিন্তু বর্তমানে করোনা সংক্রমণের জন্য  সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে ফলে বেকার পড়েছেন মৃৎশিল্পীরা। অনাহারে দিন কাটছে তদের পরিবারে লোকেদের।  মৃৎশিল্পের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকা লোকেঁদের অনেকে যা সামান্য কিছু সাহায্য করেছে সেটা পর্যাপ্ত নয়। মৃৎশিল্পীদের অন্যান্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকার ফলে তাদের শেষ  ভরসা হচ্ছে সরকারি অনুদান। নগরের পান্ডু এলাকায় রয়েছে অনেক মৃৎশিল্পীদের কারখানা ।কুমোরটুলি  খ্যাত  এই  এলাকায় বারো মাসই ব্যস্ততা থাকে তুঙ্গে।বর্তমানে  সমস্ত  কারখানা  খালি পড়ে রয়েছে। নতুন বছরে একে একে পার হয়ে গেছে পয়লা বৈশাখ, অক্ষয় তৃতীয়া ।  বছরের বৈশাখ মাস থেকেই মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়।কিন্তু  করোনার জন্য মৃৎশিল্পীদের এবার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.