Header Ads

শতবছরের প্রাচীন যোরহাট মোক্তাব আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মোক্তাব শব্দটি ছেটে ফেলার প্রতিবাদ বিরোধী দলপতি দেবব্রত শইকিয়ার


অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : অসমে প্রাক স্বাধীনতার সময় থেকে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামের আগে মোক্তাব শব্দটি ব্যবহার হয়ে আসছে আরবি শব্দ মোক্তাব যার অর্থ হল অধ্যয়নের স্থান বা গ্রন্থাগার যার সঙ্গে কোনো সাম্প্রদায়িক ভাবনা নেই, কোন জাতপাতের সঙ্গে সম্পর্কও নেইবহু আরবি শব্দ বাংলা, অসমীয়া, ইংরেজি ভাষাতে মিলে মিশে গেছেঅবাক করার কথা, অসমের শিক্ষা বিভাগের মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার এই সম্মানীয় শব্দটি পছন্দ নয়, ভেবে নিয়েছেন এর সঙ্গে মুসলিম জনগোষ্ঠীর কোন সাম্প্রদায়িক শব্দ মোক্তাব তা কেটে বাদ দিলে মুসলিম সম্প্রদায়কে জব্দ করা যাবেঅসম সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ মে প্ল্যান ৫১ ,২০২০,, নম্বর এবং পি এম , ৫৮,২০২০,,২৪,,২০২০ মেমো নম্বর যোগে ১৮৮৬ সালের, অর্থাৎ শত বছরের বেশি পুরোন যোরহাট মোক্তাব আর্দশ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মোক্তাব শব্দটি বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেনরাজ্যের বহু সংগঠন এই নির্দেশের বিরোধিতা করেছেবিধানসভার বিরোধী দলপতি দেবব্রত শইকিয়া শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মাকে এক চিঠি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেনতিনি চিঠিতে সরকারি আদেশের কথা উল্লেখ করে বলেন, যোরহাটের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ে প্রথম প্রধান শিক্ষক পদের দায়িত্বে ছিলেন কেশরাম শর্মা, পরে বসেন বাবুল নাথ গোস্বামী, অসমের আই এস অফিসার মদন প্রসাদ বেজবরুয়া, রাজ্যের বর্তমান মুখ্যসচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণও এই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেনমোক্তাব শব্দটির সঙ্গে ঐতিহ্য পরম্পরা জড়িয়ে গেছে তা বাতিল করা হলে যোরহাটের ঐতিহাসিক এক স্মৃতি বিনষ্ট হবে

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.