Header Ads

চিনা সরকারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির চেষ্টা টিকটক-এর !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
ভারত-চিন সীমান্তে এখনও স্বাভাবিক হয়নি পরিস্থিতি। আর তারই মাঝে সোমবার টিকটক, হেলো অ্যাপ ও ইউসি ব্রাউজার-সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ভারত। আর এই সিদ্ধান্তের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারত সরকারের কাছে কাতর আবেদন জানাল জনপ্রিয় অ্যাপ টিকটক।

নিষিদ্ধ হওয়ার একদিনের মাথাতেই টিকটক জানিয়ে দিল যে সরকারি নির্দেশ মেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ করবে তারা। একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে টিকটকের তরফে বলা হয়, ভারতীয় আইনের অধীনে তথ্যের গোপনীয়তা এবং সুরক্ষা রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই মেনে চলেছে তারা।
টিকটক সংস্থাটির দাবি, ভারতের টিকটক ব্যবহারকারীদের কোনও তথ্যই তারা 'চিনের সরকার সহ বিদেশি কোনও সরকারের' কাছে প্রকাশ করেনি। 'টিকটক ইন্ডিয়া'-র প্রধান নিখিল গান্ধী পরিষ্কারভাবে বলেন, 'আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে কথা বলার জন্যে ডেকে পাঠানো হয়েছে, আমরা তাতে সাড়া দেবো এবং আমাদের তরফে স্পষ্ট করেই সব ব্যাখ্যা দেব।'
এদিকে সরকারের তরফে জানানো হয়, শুধু মোবাইল নয়, ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে এমন কোনও গ্যাজেটেই এই অ্যাপগুলি আর ব্যবহার করা যাবে না। ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা, প্রতিরক্ষা, রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা ও জনশৃঙ্খলার পক্ষে ক্ষতিকারক এই অ্যাপগুলি। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। 
সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯-এ ধারার অধীনে নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক ৷ কারণ এই 59 টি অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকদের জরুরি তথ্য প্রকাশ্যে চলে আসছে ৷ আর সেই তথ্যগুলিকে এমন কিছু কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা, ভারতের প্রতিরক্ষা, রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা ও জনশৃঙ্খলার পক্ষে ক্ষতিকারক ৷ একইসঙ্গে বিষয়টি একটি আতঙ্কেরও সৃষ্টি করেছে ৷ তাই এই বিষয়গুলি মাথায় রেখে ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই চিনা অ্যাপগুলির তথ্য সুরক্ষা ও গোপনীয়তা বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক নাগরিক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলেও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, 'দ্য কম্পিউটার এমারজেন্সি রেসপন্স টিম’ও নাগরিকদের থেকে তথ্য সুরক্ষা ও গোপনীয়তা লঙ্ঘন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একাধিক অভিযোগ পেয়েছে৷'

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.