Header Ads

রাজ্যে ৩১ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন, সর্বদলীয় বৈঠকের পর ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর !!

বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
রাজ্যে ষষ্ঠদফার লকডাউন চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। এদিন নবান্নে সর্বদলীয় বৈঠকের পর এমনটাই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি অফিসগুলি যেভাবে চলছিল, সেভাবেই চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে সর্বদল বৈঠকে এনিয়ে ঐক্যমত হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, আপাতত রাজ্যে স্কুল কলেজ বন্ধ ৩১ জুলাই পর্যন্ত। ফলে বেশ কিছু ছাড় দিয়ে আপাতত লকডাউন ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। সারা দেশেই বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এই লকডাউন করে রাজ্যের সংক্রমণ যদি রোখা যায়, মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সর্বদলীয় বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক দলগুলির কাছে লকডাউন বাড়ানোর নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন। সেই সময় সিপিএম-এর তরফে জানানো হয়েছে, এবিষয়ে পার্টি হতে পারে না তারা। কেননা বিশেষজ্ঞ কমিটিই এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল লকডাউন নিয়ে আলাদা আলাদা মত প্রকাশ করেছে। কেউ বলেছে ১৫ দিন। কেউ বা আবার কেন ৪ দিনের নোটিশে লকডাউন করা হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে !
এদিকে, সরকারকে স্বীকার করতে হয়েছে, ত্রাণ বিলিতে স্বচ্ছ্বতা কম--এদিন নবান্নে করোনা ভাইরাস নিয়ে সর্বদল বৈঠকের পর এমনটাই দাবি করলেন বৈঠকে অন্যতম অংশগ্রহণকারী বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। এদিন সর্বদল বৈঠকে তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
সুজন চক্রবর্তী বলেন, এদিনের বৈঠকে তৃণমূল ছাড়া সবকটি দলই বলেছে ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। উত্তরে শাসক দল বলছে, ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি সরকারকে স্বীকার করতে ত্রাণ বন্টনে স্বচ্ছ্বতা কম।
সর্বদল বৈঠকে খাদ্য দফতর-সহ বিভিন্ন দফতরের সচিবদের বদলির প্রসঙ্গও তুলেছিলেন তাঁরা। সেখানে তাঁরা বলেছেন, সচিবদের সরানো হয়েছে, কিন্তু মন্ত্রীরা কি সাধু?
বিডিও অফিসের মাধ্যমে আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রকাশের দাবি তোলা হয়েছে সিপিএম-এর তরফে। ত্রাণ নিয়ে অস্বচ্ছ্বতা মানা হবে না বলেও সিপিএম-এর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সুজন চক্রবর্তী এদিন বলেন, সুন্দরবনে যেসব জায়গায় আয়লার পাকা বাঁধ দেওয়া হয়ে গিয়েছিল, সেইসব এলাকায় আম্ফান আঘাত হানতে পারেনি। ফলে যেসব জায়গায় এই বাঁধ হয়নি, তার জন্য তৃণমূলকে অভিযুক্ত করেছেন তিনি। পাশাপাশি আবাস যোজনায় তৈরি বাড়ির পাকা ছাদের বন্দোবস্ত করতে হবে বলেও দাবি তুলেছে সিপিএম।
এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে লকডাউন বৃদ্ধির প্রসঙ্গও তুলেছিলেন। সেখানে সিপিএম-এর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, সরকার নয়, বিশেষজ্ঞরাই বলতে পারেন, লকডাউন কত দিন বাড়ানোর প্রয়োজন। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর সেই কথায় তারা পার্টি হতে পারছেন না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয় সিপিএম-এর তরফে। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.