ব্রহ্মপুত্র উপত্যাকার দশম শ্রেণিতে অসমিয়া শিক্ষা বাধ্যতামূলক, বরাকে বাংলা, বিটিএডি-তে বড়ো ভাষায় শিক্ষা ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর
অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : করোনা সংক্রমণ, লকডাউনের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মানুষের আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। ছাত্র সমাজকে স্বস্তি শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির মাশুল ফ্রি করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন। এর মধ্যে মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার ক্ষেত্রেও আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বিনামূল্যে ভর্তির ব্যবস্থা হয়েছে। এমনকি সরস্বতী পুজো, ম্যাগাজিন, কলেজের প্রসপেক্টাস প্রভৃতির ক্ষেত্রেও ছাত্রদের কাছ থেকে ১ পয়সা নেওয়া যাবে না। তা নিলে বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া, ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশুনা করা ছাত্রছাত্রীদের মেস খরচা মাসে এক হাজার
টাকা এবং কলেজের পাঠ্যবই কেনার জন্য এক হাজার টাকা করে সরকার দেবে। এ পি এল, বি পি এল সকল পরিবার বিনামূল্যে ভর্তি ও এই খরচ পাবেন। আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী শর্মা জানান, ১১২০৬ জন স্টেট পুল, ৫২৪৩ জন ঠিকা ভিত্তিক, ২৯৭০১ জন টেট শিক্ষক সহ ৪৬ হাজার ১৫৩ জন শিক্ষককে সরকারের কর্মচারীদের মত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। ৬০ বছরে অবসর, ডি এ, ক্যাজুয়াল লিভ সহ সব কিছু পাবেন, এক জায়গায় ১২ বছর থাকলে আন্তঃজেলাতে বদলির সুযোগ দেওয়া হবে। আগামী জানুয়ারি থেকে আবেদন গ্রহণ করা হবে। আবার আনন্দরাম বড়ুয়া পুরস্কার দেওয়া শুরু হবে। কম্পিউটারের বদলে ২০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। পুরস্কার পাওয়া ছাত্রদের ব্যাংক আকাউন্টে জমা দেওয়া হবে। ক্যাবিনেট কমিটির সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, দশম শ্রেণি পর্যন্ত সরকারি, বেসরকারি বিদ্যালয়ে অসমিয়া ভাষায় শিক্ষা বাধ্যতামূলক। তবে বরাক উপত্যকার জন্য বাংলা ও বিটিএডি-র জন্য বড়ো ভাষা চালু থাকবে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, এ সম্পর্কে বিধানসভাতে বিল উত্থাপন করা হয়েছিল, তা পাস হয়েছে। রাজ্যপাল বিলের অনুমোদন জানিয়েছেন। এবার মাধ্যমিক ফলাফলে দেখা গেছে, ১০৯টি সরকারি বিদ্যালয়ে ১০০ শতাংশ পাশ করেছে। ১৭টি বিদ্যালয়ে ১ জনও পাশ করতে পারেনি। সেই বিদ্যালয়গুলোকে তুলে দিয়ে, শিক্ষকদের অন্য বিদ্যালয়ে বদলি করে দেওয়া হবে।
কোন মন্তব্য নেই