Header Ads

১৫টি জেলার প্রায় তিন লক্ষ পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত, কাজিরঙা, পবিতরা ডুবেছে


অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি : অসমের ১৫টি জেলার লক্ষ ৬০ হাজার পরিবার বন্যার কবলে পড়েছে আজ রাজ্যের মুখ্যসচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণ একথা জানানতিনি বলেন, ৪০টি রেভিনিউ সার্কেলের কয়েক হাজার গ্রাম প্লাবিত হয়েছে৯০টি ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছেলখিমপুর, ধেমাজি, ধুবড়ি, গোয়ালপাড়া, গহপুর, মঙ্গলদৈ, বঙাগাগাঁও, মাজুলি, চাবুয়া, ডিব্রুগড়, তিনসুকিয়া, দরং, গহপুর, শোণিতপুর প্রভৃতি জেলার বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে গুয়াহাটি, যোরহাট, ধুবড়ি প্রভৃতি এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছেকাজিরঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যানে বহু এলাকা ডুবে গেছেঅধিকাংশ বন শিবির প্লাবিত হয়েছেঅন্যান্যবারের মত কাজিরঙ্গার হরিণ, বাঘ গন্ডার, হাতি, শুকর প্রভৃতি ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অতিক্রম করে পশ্চিম কার্বি আংলং জেলার বুড়া পাহাড়ের দিকে গিয়ে আশ্রয় নিতে দেখা যাচ্ছে কাজিরঙা উদ্যান কর্তৃপক্ষ জাতীয় সড়কে যাতায়াত করে যানবাহনের গতিবিধি ঘন্টায় ৩৫, ৪০ কিলোমিটার বেঁধে দিয়েছেওদিকে, পবিতরা, ওরাং অভ্যায়রণ্যর বিরাট অংশ প্লাবিত হয়েছেঅবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে গুয়াহাটি মহানগরে খারগুলি, কাহিলিপাড়া পাহাড়ে ধস নেমেছেআজ রাজভবনে যাওয়ার পথে ধস নেমেছে রাজ্যে প্রায় ,৪৭৪ কিলোমিটারের নদীবাঁধ অধিকাংশ মেরামত হয়নি বিপদজনক অবস্থায় আছেগত বিধানসভায় জলসম্পদমন্ত্রী কেশব মহন্ত জানিয়েছিলেন ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি ২০২০২ পর্যন্ত ১৯টি জেলাতে ৬৯৬৫,৭৩৯৩০ কোটি টাকা রিলিজ করা হয়েছিল তা ব্যবহার করা হয়েছেবিরোধী দলপতি দেবব্রত শইকিয়ার এক প্রশ্নের জবাবে একথা মন্ত্রী জানানআজ শইকিয়া প্রশ্ন তোলেন, এত কোটি টাকা বরাদ্দ হল, সব টাকায় ব্যাবহার হয়ে গেল? তবে বাঁধগুলিতে ধস নেমেছে কেন? এই কেন প্রশ্নের উত্তর সরকার দিতে পারেনি

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.