Header Ads

মুদ্রাস্ফীতি ও পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে মুখর কৃষকেরা


নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, নতুন দিল্লিঃ ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের জাতীয় মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন বর্তমানে কৃষকদের উপর বিদ্যুৎ শক্তি, সার এবং রাসায়নিকের আক্রমণের সাথে সাথে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এক আক্রমণাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ডিজেলের দাম পেট্রোলের উপরে। ছয় বছর আগে মুদ্রাস্ফিতিকে ইস্যু করে বানানো বিজেপি সরকার আজ মুদ্রাস্ফীতি সম্পর্কে নীরব ভূমিকা পালন করছে। কৃষকরা ফসল কিনতে পারছেন না। মুদ্রাস্ফীতি অনুযায়ী কৃষকরা দাম ও পাচ্ছেন না ঠিকমতো। তাছাড়া, সরকার কৃষকদের কোনরকম ত্রাণ ও দিচ্ছে না।
সরকারের কাজ হলো জনকল্যাণ। তা না করে ট্যাক্সের নামে ভাণ্ডার পূর্ণ করছে। এমনকি এই প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও সরকার পাবলিক লিমিটেডের মতো কাজ করছে। দেশীয় বিমানের জন্য প্রস্তুত দেশগুলি, রুটগুলি সাতটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। টিকিটের হার সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। তাছাড়া, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে দেশে লকডাউন জারি করা হয়েছে।
তাছাড়া, বর্তমানে ডিজেলের উপর প্রায় 50 টাকা এক্সাইজ শুল্ক নেওয়া হচ্ছে। সরকার তেল ও বিদ্যুতের ব্যবসা করছে। শুধু তাই নয়, জনসাধারণের ভুলের জন্য পুলিশ মোটা অংকের টাকা আদায় করছে। সরকারের উদ্দেশ্য হল দোষ-ত্রুটিকে সংশোধন করা। জরিমানা আদায় করা। যেহেতু তা হচ্ছে না, তাই জনগণ এখন প্রতিবাদ করতে প্রস্তুত।
জনসাধারণের প্রতি অবিচারের ক্ষেত্রে উত্তর প্রদেশের সিসৌলির কৃষক সংস্থা সংগ্ৰামের জন্য প্রস্তুত। তাই আগামী 30 জুন, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুতের হার বৃদ্ধি, যানবাহনের বিশাল চালান এবং কৃষকদের নলকূপ সরবরাহ না করা ইত্যাদি সমস্যার কারণে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন তহসিল পর্যায়ে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ করবেন। এই বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে যতক্ষণ না জনগণকে ত্রাণ দেওয়া হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.