Header Ads

বরাকনদীর পার ভাঙন পরিদর্শন ব্রহ্মপুত্র বোর্ডের সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার

নয়া ঠাহর প্রতিবেদন, শিলচর : গত ২০ জুন, কাছাড়ের কাটিগড়া বিধানসভার অন্তর্গত বরাকনদীর পার ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পের সরেজমিনে পরিদর্শক হিসেবে এলেন ব্রহ্মপুত্র বোর্ডের সুপারিন্টেন্ডিং  ইঞ্জিনিয়ার এস. দেববর্মা ও উনার টিম। সঙ্গে ছিলেন বদরপু্র জলসম্পদ বিভাগের এক্সেকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মাঝারুল ইসলাম। ২০০৮-২০০৯ এর স্কীম অনুযায়ী বরাকনদীর পার ভাঙন প্রতিরোধের প্রকল্পটি শুরু হয়। এই প্রকল্প বালিরবন্দ, গোবিন্দপুর, সিদ্ধিপুর ও শিয়ালটেকের প্রকল্প। জানা যায়, গত ২০০৯ এর ফেব্রুয়ারীতে কাজ আরম্ভ হয় এবং শেষ হয় ২০১০-২০১১ তে। শিয়ালটেক প্রকল্পটির সীমা ছিল ৭০০ মিটার লম্বা এবং এরজন্য বরাদ্দ হয়েছিল ৬ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা বালিরবন্দ -গোবিন্দপুরের সীমা ছিল ৩৮৫ মিটার লম্বা ও সিদ্ধিপুরের সীমা ছিল ১৯০ মিটার লম্বা এবং এরজন্য বরাদ্দ হয়েছিল ৫ কোটি  ৯৬ লক্ষ টাকা।
প্রসঙ্গত একটি সুত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পে ঠিকাদাররা কাজ করে কিছু টাকা পেলেও পুরো টাকা পাননি, তাই বাকি টাকা পাওয়ার জন্য তারা বর্তমান সরকারের কাছে আবেদন নিবেদন করেছেন। এদিকে, বালিরবন্দ- গোবিন্দপুর, সিদ্ধিপুর ও শিয়ালটেক প্রকল্পের কেন্দ্রীয় সরকারের শেয়ারের ১ কোটি ৬২লক্ষ টাকা এবং ৩ কোটি  ৭৬ লক্ষ টাকা  পাননি বলেও জানা গেছে। তবে, অসম রাজ্যিক শেয়ারের সব টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে ও কেন্দ্রীয় সরকারের শেয়ারের কিছু টাকা মিটিয়ে দেওয়া হলেও বাকি টাকা এখনও দেওয়া হয়নি। বিশেষকরে এই প্রকল্পটির জন্য বিশেষ ভূমিকা নিয়েছেন অসমের অ্যাডিশন্যাল চিফ সেক্রেটারী সঈয়দ আব্বাসি এবং এরই পরিপ্রেক্ষিতে বরাকনদীর এই পার ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পটি পরিদর্শন করতে ব্রহ্মপুত্র বোর্ডের সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার এস. দেববর্মার আসছেন বলে জানান বদরপু্র জলসম্পদ বিভাগের এক্সেকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার মাঝারুল ইসলাম।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.