চাপ বাড়ল পাকিস্তানের--নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হলো ভারত !!
বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতসহ আয়ারল্যান্ড, মেক্সিকো ও নরওয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। দু-বছর মেয়াদে দশটি দেশ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়। তার মধ্যে বুধবার চারটি দেশ নির্বাচিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ১৯৩ সদস্যের সাধারণ অধিবেশনে ভোটাভুটিতে ১৮৪ ভোট পেয়ে দু-বছর মেয়াদে বিশ্ব সংস্থাটির প্রভাবশালী প্লাটফর্মে অবস্থান নিশ্চিত করে ভারত। ভারতের পাশাপাশি নির্বাচিত হয়েছে আয়ারল্যান্ড, মেক্সিকো ও নরওয়ে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের শেষ পর্যন্ত অস্থায়ী সদস্য দায়িত্ব পালন করবে এই চার দেশ।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আসন সংখ্যা ১৫টি। এর মধ্যে ভেটো ক্ষমতা সম্পন্ন পাঁচটি দেশ স্থায়ী সদস্য। এগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। বাকি দশটি আসন রয়েছে অস্থায়ী সদস্য দেশগুলোর জন্য। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের দেশগুলোকে দু-বছরের অস্থায়ী সদস্যপদ দেওয়ার জন্য প্রতি বছর নির্বাচন হয় জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদে।
আগামী দু-বছরের জন্য ভারত ছাড়াও আরো ৯টি দেশ অস্থায়ী সদস্যপদ পাবে। ভারতসহ চারটি দেশ এরই মধ্যে নির্বাচিত হয়েছে। বাকি ছয়টি দেশ নির্বাচিত হবে। বৃহস্পতিবার রাতে আবার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হওয়ার জন্য ১০টি দেশকে ভোটাভুটির মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয় ৫টি এলাকা থেকে। আফ্রিকা ও এশিয়া, পূর্ব ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা, ক্যারিবিয়ান রাষ্ট্র এবং পশ্চিম ইউরোপসহ অন্যান্য দেশ। আফ্রিকা ও এশিয়া থেকে বেছে নেওয়া হয় সর্বাধিক ৫টি দেশ, পূর্ব ইউরোপ থেকে একটি, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান রাষ্ট্রগুলোর এলাকা থেকে ২টি আর পশ্চিম ইউরোপসহ অন্যান্য দেশ থেকে ২টি।
এদিকে ভারত ষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ফের অস্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ায় চাপ বাড়ল পাকিস্তানের। কারণ ভারতের এই অস্থায়ী সদস্যপদ লাভে সন্ত্রাসবাদ দমনের দিশা দেখা যাবে বলে মনে করছে রাষ্ট্রপুঞ্জ--এমনই জানিয়েছেন সেখানে ভারতের দূত।
একদিকে করোনা পরিস্থিতি, অন্যদিকে দুই প্রতিবেশীর সীমান্তে আস্ফালন। এই দুই চাপের মধ্যে রাষ্ট্রপুঞ্জে সাফল্য পেয়েছে ভারত। ফের রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্যপদ লাভ করেছে ভারত। এতেই প্রমাদ গুণছে পাকিস্তান। কারণ ফের সন্ত্রাস নিয়ে ভারত তৎপর হবে।
ভারত নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদ লাভের পরেই ভারতের সন্ত্রাস দমন নীতির প্রশংসা করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। এমনই জানিয়েছেন ভারতের দূত টিএস তিরুমূর্তি। তিনি বলেছেন সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারত যে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করে সেটা প্রশংসা পেয়েছে। বিশেষ করে সন্ত্রাসের মদতে আর্থিক সাহায্য নিয়ে ভারতের বিরোধিতাও প্রশংসিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত কয়েক বছর ধরেই ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ করেছে পাকিস্তান। যদিও রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ একাধিকবার করেছে ভারত। তার পরেই সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের উপর আন্তর্জাতিক মহলে চাপ বাড়ে। পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই নিয়ে প্রতিবাদ আরও শক্তিশালী করেছিল ভারত। তারপরেই মাসুদ হাজহার সহ একাধিক জঙ্গি নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান।
অন্যদিকে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে চলেছে পাকিস্তান। যদিও ভারত একের পর অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে। একের পর এক জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে কাশ্মীরে। কিন্তু তারপরেও সীমান্তে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করেই চলেছে পাকিস্তান।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতসহ আয়ারল্যান্ড, মেক্সিকো ও নরওয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। দু-বছর মেয়াদে দশটি দেশ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়। তার মধ্যে বুধবার চারটি দেশ নির্বাচিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ১৯৩ সদস্যের সাধারণ অধিবেশনে ভোটাভুটিতে ১৮৪ ভোট পেয়ে দু-বছর মেয়াদে বিশ্ব সংস্থাটির প্রভাবশালী প্লাটফর্মে অবস্থান নিশ্চিত করে ভারত। ভারতের পাশাপাশি নির্বাচিত হয়েছে আয়ারল্যান্ড, মেক্সিকো ও নরওয়ে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের শেষ পর্যন্ত অস্থায়ী সদস্য দায়িত্ব পালন করবে এই চার দেশ।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আসন সংখ্যা ১৫টি। এর মধ্যে ভেটো ক্ষমতা সম্পন্ন পাঁচটি দেশ স্থায়ী সদস্য। এগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। বাকি দশটি আসন রয়েছে অস্থায়ী সদস্য দেশগুলোর জন্য। ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের দেশগুলোকে দু-বছরের অস্থায়ী সদস্যপদ দেওয়ার জন্য প্রতি বছর নির্বাচন হয় জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদে।
আগামী দু-বছরের জন্য ভারত ছাড়াও আরো ৯টি দেশ অস্থায়ী সদস্যপদ পাবে। ভারতসহ চারটি দেশ এরই মধ্যে নির্বাচিত হয়েছে। বাকি ছয়টি দেশ নির্বাচিত হবে। বৃহস্পতিবার রাতে আবার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হওয়ার জন্য ১০টি দেশকে ভোটাভুটির মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয় ৫টি এলাকা থেকে। আফ্রিকা ও এশিয়া, পূর্ব ইউরোপ, লাতিন আমেরিকা, ক্যারিবিয়ান রাষ্ট্র এবং পশ্চিম ইউরোপসহ অন্যান্য দেশ। আফ্রিকা ও এশিয়া থেকে বেছে নেওয়া হয় সর্বাধিক ৫টি দেশ, পূর্ব ইউরোপ থেকে একটি, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান রাষ্ট্রগুলোর এলাকা থেকে ২টি আর পশ্চিম ইউরোপসহ অন্যান্য দেশ থেকে ২টি।
এদিকে ভারত ষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ফের অস্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ায় চাপ বাড়ল পাকিস্তানের। কারণ ভারতের এই অস্থায়ী সদস্যপদ লাভে সন্ত্রাসবাদ দমনের দিশা দেখা যাবে বলে মনে করছে রাষ্ট্রপুঞ্জ--এমনই জানিয়েছেন সেখানে ভারতের দূত।
একদিকে করোনা পরিস্থিতি, অন্যদিকে দুই প্রতিবেশীর সীমান্তে আস্ফালন। এই দুই চাপের মধ্যে রাষ্ট্রপুঞ্জে সাফল্য পেয়েছে ভারত। ফের রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্যপদ লাভ করেছে ভারত। এতেই প্রমাদ গুণছে পাকিস্তান। কারণ ফের সন্ত্রাস নিয়ে ভারত তৎপর হবে।
ভারত নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য পদ লাভের পরেই ভারতের সন্ত্রাস দমন নীতির প্রশংসা করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। এমনই জানিয়েছেন ভারতের দূত টিএস তিরুমূর্তি। তিনি বলেছেন সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারত যে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করে সেটা প্রশংসা পেয়েছে। বিশেষ করে সন্ত্রাসের মদতে আর্থিক সাহায্য নিয়ে ভারতের বিরোধিতাও প্রশংসিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত কয়েক বছর ধরেই ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ করেছে পাকিস্তান। যদিও রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ একাধিকবার করেছে ভারত। তার পরেই সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের উপর আন্তর্জাতিক মহলে চাপ বাড়ে। পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই নিয়ে প্রতিবাদ আরও শক্তিশালী করেছিল ভারত। তারপরেই মাসুদ হাজহার সহ একাধিক জঙ্গি নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান।
অন্যদিকে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে চলেছে পাকিস্তান। যদিও ভারত একের পর অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেছে। একের পর এক জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে কাশ্মীরে। কিন্তু তারপরেও সীমান্তে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করেই চলেছে পাকিস্তান।









কোন মন্তব্য নেই