Header Ads

করোনা সমূলে উৎপাটন নিশ্চিত করবে 'R' নাম্বার !!

বিশবদেব চট্টোপাধ্যায় 
 
বিশ্বজুড়ে প্রলয় সৃষ্টি করেছে আণুবীক্ষণিক জীব নভেল করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে এরই মধ্যে ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়েছে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশ ব্রিটেন, ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্স। করোনার থাবায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে এসব দেশ। সংক্রমণ কিছুটা কমলেও বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন শিগগিরই দ্বিতীয় তরঙ্গের ধাক্কা দেবে ভাইরাসটি। এই দ্বিতীয় তরঙ্গের বিপর্যয় এড়াতে এসব দেশকে অবশ্যই 'R' নাম্বারটি ১ এর নীচে রাখতে হবে বলে বলা হচ্ছে। করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় এখন দেশগুলোর মূল ফোকাসটি হল 'R' নাম্বারকে কিভাবে ১ এর নীচে রাখা যায় সেটা নিশ্চিত করা। তবে এই 'R' নাম্বারটি আসলে কী? কেন এটি এত গুরুত্বপূর্ণ?
'R' নম্বরটি দিয়ে সংক্রমণের হারকে বোঝায়। এটি একজন সংক্রামিত ব্যক্তির থেকে ভাইরাসটি কত জনের মাঝে ছড়িয়ে পড়ছে সেই গড় সংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করে। এটি ভাইরাসের টোটাল সংক্রমণের হার বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয় এবং বর্তমান লকডাউন ব্যবস্থাগুলো তোলার আগে এই সংখ্যাটি অবশ্যই ১ এর নিচে আনতে হবে।
 
করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণের জন্য 'R' রেটকে যতটা সম্ভব কম রাখার চেষ্টা করতে হবে। 'R' রেট যদি ১ এর উপরে হয় তবে আক্রান্ত লোকেরা এটিকে গড়ে একাধিক ব্যক্তির কাছে ছড়িয়ে দেবে। যার অর্থ ভাইরাসের বিস্তার ত্বরান্বিত হচ্ছে। তবে এটি যদি ১‌ এর নীচে হয়, তবে এর অর্থ হল আক্রান্ত লোকেরা ভাইরাসটি গড়ে একজনেরও কম মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে। যার অর্থ সামগ্রিকভাবে সংক্রমণের হার এবং তাই ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা হ্রাস পেতে শুরু করেছে।
মার্চ মাসে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হারের শীর্ষে পৌঁছায় 'R' রেট। সে সময় এটি বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৩। তবে সামাজিক দূরত্বের ব্যবস্থাগুলো চালু হওয়ার পরে এটি এখন ১ এর নিচে নেমে গেছে এবং এটি এখন ০.৫ থেকে ০.৭৫ এর মধ্যে ওঠানামা করছে। এটা অবশ্যই পজিটিভ একটি দিক।
যদি 'R' সংখ্যাটি খুব বেশি হয়ে যায়, তবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করা কঠিন হবে। উদাহরণস্বরূপ, 'R' যদি ০ এ দাঁড়ায় তবে প্রতিটি সংক্রামিত ব্যক্তি সম্ভবত ভাইরাসটি অন্য কারো কাছে পৌঁছে দেবে না। যদি এটি ১ এ দাঁড়ায়, তবে প্রতিটি ব্যক্তি অন্য একজনের কাছে পৌঁছে দেবে। যদি 'R' রেট ২ হয় তাহলে সংক্রমণের হার দ্বিগুণ হয়, যার অর্থ এই রোগটি সারা বিশ্বে এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তিতে দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে।
লকডাউন তুলে নেওয়ার আগে প্রতিটি দেশকে 'R' রেটকে অবশ্যই ১ এর নিচে আনতে হবে। লকডাউন তোলার পরিমাপক এটি। এটা নিশ্চিত না করে যদি লকডাউন তুলে নেওয়া হয়, তবে আক্রান্ত লোকেরা একে অপরের সংস্পর্শে এসে দ্রুত ভাইরাসটির বিস্তার ঘটাবে। ফলে দ্বিতীয় পর্যায়ের বিপর্যয় অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়বে।



কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.